শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মূল আসামি ফয়সল করিম মাসুদের মা–বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে র্যাব-১০ ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ হাউজিং এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযানে ফয়সলের বাবা মো. হুমায়ুন কবির (৭০) ও মা মোসা. হাসি বেগম (৬০) গ্রেপ্তার হন।
উল্লেখ্য, রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় গত শুক্রবার চলন্ত একটি মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে। তিনি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক। হামলার পর থেকে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িত মূল সন্দেহভাজন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফয়সল করিম মাসুদ এবং তাঁর সহযোগী আলমগীর শেখ। তাঁরা দুজনই ঘটনার পর ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, হুমায়ুন–হাসি দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সল তৃতীয়। ফয়সল রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন মোসা. জেসমিন আক্তারের বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন রাতে তিনি একটি ব্যাগ নিয়ে জেসমিনের বাসায় ওঠেন। পরে বাসার ফাঁকা জায়গা দিয়ে ব্যাগটি ফেলে দেন এবং তাঁর ভাগনে জামিলকে (১৮) দিয়ে সেটি আবার তুলে আনান।
এ সময় ফয়সল তাঁর ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোনের একটি বাসার ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তাঁর মায়ের কাছে দেন। পরে তিনি তাঁর মা–বাবার সঙ্গে সেখানে দেখা করেন। তবে ওই জায়গায় অবস্থান নিরাপদ মনে না হওয়ায় ফয়সল আগারগাঁও থেকে প্রথমে মিরপুর, এরপর শাহজাদপুরে তাঁর চাচাত ভাই আরিফের বাসায় যান। এ যাত্রায় তাঁর মা–বাবাও সঙ্গে ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিরপুর থেকে ফয়সলকে তাঁর বাবা হুমায়ুন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং সঙ্গে কিছু টাকাও প্রদান করেন। এরপর হুমায়ুন–হাসি দম্পতি তাঁদের ছোট ছেলে হাসান মাহমুদের কেরানীগঞ্জের বাসায় চলে যান। সেখানে অবস্থানকালে তাঁরা জুরাইন এলাকা থেকে দুটি সিম কার্ড কিনে ব্যবহার করেন।