image
কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে শনিবার রাজধানীতে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বিক্ষোভ মিছিল বের করে -সংবাদ

হুমকির পরও ‘ব্যবস্থা নেয়নি’ সরকার: বিক্ষোভ সমাবেশে উদীচী

শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সুস্পষ্ট ‘হুমকি দেয়ার পরও’ উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ঠেকাতে সরকার ‘পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন উদীচীর (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। তিনি বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবার (গত) রাতে দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটতরাজ ঘটে। এরপর থেকে উদীচীর ওপর হামলার সরাসরি হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু উদীচীর নিরাপত্তায় কোনো ধরনের ব্যবস্থাই নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার বা প্রশাসন। এ কারণে শুক্রবার (গতকাল) সন্ধ্যায় বিনা বাধায় অগ্নিসংযোগ করে অন্ধকারের অপশক্তি।’

হামলা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে শনিবার,(২০ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদী সমাবেশ করেছে উদীচী। সেখানে কথা বলছিলেন অমিত রঞ্জন দে। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর তোপখানা সড়কে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কার্যালয়ে হামলা ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। আধা ঘণ্টা পর সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।

আগুনে উদীচীর ৫৭ বছরের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, বাদ্যযন্ত্র ও আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অমিত রঞ্জন দে।

রাজধানীর পল্টন মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন উদীচীর শিল্পী-কর্মীরা। মিছিলটি তোপখানা রোডে সত্যেন সেন চত্বর (উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে) গিয়ে শেষ হয়, পরে সেখানে শুরু হয় সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ।

সেখানে অমিত রঞ্জন দে বলেন, ‘স্বাধীনতার আগে থেকেই এদেশের মুক্তিকামী মানুষের যে কোনো ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে উদীচী। মহান মুক্তিযুদ্ধেও উদীচীর শিল্পী-কর্মীরা সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছে। যখনই জাতীয় জীবনে কোনো দুর্যাগ নেমে এসেছে, যখনই সাধারণ মানুষের অধিকার হরণের চেষ্টা করা হয়েছে, যখনই শোষণ-বঞ্চনা-অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গেছে, তখনই সাংস্কৃতিক হাতিয়ার নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে উদীচী।’

‘কিন্তু ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই রাজধানীর বিজয়নগরে আততায়ীদের হামলায় ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় যে ঘৃণ্য রাজনীতি ও মৌলবাদী অপশক্তির আস্ফালন শুরু হয় তার শিকার হতে হয়েছে উদীচীকে।’

উদীচীর একাংশের সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ ঘোষ বলেন, “হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে যারা ব্যর্থ হলো, যারা এ হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করলো, তাদের কারো বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি তথাকথিত ‘বিক্ষুব্ধ জনতা’। এর মানে হলো, তারা ওসমান হাদির হত্যার বিচার চায় না, এ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ঘোলা জলে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।”

এই ‘অপশক্তি’ বাংলাদেশকে ‘ব্যর্থ রাষ্ট্রে’ পরিণত করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন প্রদীপ ঘোষ।

উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি শিবাণী ভট্টাচার্য্যের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন শেখ আনিসুর রহমান এবং সিপিবি ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেল।

‘নগর-মহানগর’ : আরও খবর

সম্প্রতি