alt

ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

সাকরাইন উৎসবকে সামনে রেখে শাখারী বাজারে চলছে নানা রঙের ঘুড়ি বেচাকেনা -সংবাদ

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীনতম উৎসব ‘সাকরাইন’। উৎসবটি পৌষসংক্রান্তি ও ঘুড়ি উৎসব নামেও পরিচিত। এই দিন বাহারি রঙের ঘুড়িতে আকাশ হয়ে উঠে রঙিন। ছোট-বড় সবার অংশগ্রহণে প্রতিটি বাড়ির ছাদ হয়ে উঠে উৎসবমুখর। বাংলা বর্ষপঞ্জিকার নবম মাস পৌষ মাসের শেষ দিনে আয়োজিত হয় যা গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জিকার হিসাবে এরপর ৩০ পৌষ অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ শুক্রবার। বাংলায় দিনটি পৌষ সংক্রান্তি এবং ভারতীয় উপমহাদেশে মকর সংক্রান্তি নামে পরিচিত।

এ উৎসবে অংশ নেন সব ধর্ম, পেশার বিভিন্ন বয়সের মানুষ। পৌষ সংক্রান্তি ও মাঘ মাসের শুরুর এ দিনটিতে আগুন নিয়ে খেলা ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজির মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রথম প্রহর। সকাল থেকে গান-বাজনার তালে তালে শুরু হয় ঘুড়ি ওড়ানোর উন্মাদনা। ছোট-বড় সবার অংশগ্রহণে মুখরিত হয় প্রতিটি বাড়ির ছাদ, চলে ঘুড়ির সাম্যবাদ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে উৎসবের মুখরতা। বাড়ে আকাশে ঘুড়ির সংখ্যাও। এ দিন পুরান ঢাকার শাঁখারি বাজার, রায়সাহেব বাজার, বংশাল, বাংলাবাজার, সদরঘাট, দয়াগঞ্জ, মুরগিটোলা, কাগজিটোলা, গেন্ডারিয়া, বাইনানগর, লক্ষ্মীবাজার, সিংটোলা, সূত্রাপুর, ধূপখোলা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সদরঘাট, কোটকাচারি এলাকার মানুষ সারা দিনব্যাপী ঘুড়ি উড়ায় আর আয়োজন করা হয় পুরান ঢাকার নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবারের। মোড়ে-মোড়ে, বাড়ির ছাদে-ছাদে, ক্লাব, সংঘ অথবা বন্ধুদের দল মিলে গান বাজিয়ে নেচে-গেয়ে সারাদিন সবাইকে মাতিয়ে রাখে।

এদিনটিতে পুরান ঢাকার আকাশে শোভা পায় নানা রং আর বাহারি আকৃতির ঘুড়ি। এ ছাড়া আগুন নিয়ে খেলা, আতশবাজি ফাটানো এ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ। তবে সকালের তুলনায় বিকেলে এ উৎসব বেশি মুখরিত হয়।

পুরান ঢাকায় কবে, কখন, কোথায় প্রথম ঘুড়ি উৎসব শুরু হয়েছিল তা ইতিহাস থেকে ভালোভাবে জানা যায় না। তবে ঐতিহাসিকদের মতে, সেই মোগল আমলে ১৭৪০ সালের দিকে নায়েব-ই-নাজিম নওয়াজেশ মোহাম্মদ খানের আমলে ঘুড়ি ওড়ানো একটি উৎসবে পরিণত হয়েছিল বলে জানা যায়। আরও জানা যায়, নবাববাড়ীতে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা হতো। নবাব পরিবাররা এ উৎসবের উৎসাহদাতা ছিলেন। সেই সময় ঘুড়ি উড়ানো আনন্দ অভিজাত মহলে সীমাবদ্ধ ছিল। যা এখন সর্বসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিযোগিতার মাসখানেক আগেই শুরু হতো প্রস্তুতি। ঘুড়ি ও নাটাই তৈরি, সুতায় মাঞ্জা দেয়াথ সব মিলিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ। ঘুড়ি-কাটাকাটির জন্যই সুতায় মাঞ্জা দেয়া হতো। দুই বাড়ির ছাদে অথবা কোন মাঠে দুই দল সামনাসামনি দাঁড়িয়ে ঘুড়ি কাটাকাটির প্রতিযোগিতা হতো। ঘুড়ি ওড়ানির সঙ্গে বাজত দুই দলের ব্যান্ডের বাজনা। ঘুড়ি কাটা পড়লে সে লজ্জা ঢাকার জায়গা নেই, অন্য পক্ষের আনন্দ ধরে না। যার ঘুড়ি দিয়ে বোকাট্টা হয়েছে তাকে কাঁধে করে বাদক দলসহ সারা মহল্লা চক্কর দেয়া হতো।

সাকরাইনের সেই জৌলুস কমেনি একটুও, বরং বেড়েছে। এই উৎসবে যোগ হয়েছে ডিজিটাল অনুষঙ্গ ডিজে নাচ, প্রজেক্টর আর উন্নতমানের সাউন্ড সিস্টেম। সারাদিন ঘুড়ি উড়িয়ে সন্ধ্যায় আগুন খেলা দিয়ে সাকরাইন বিদায় দেয়া পুরনো প্রচলন। একজন মুখে কেরোসিন নিয়ে মুখের সামনে আগুনের মশাল ধরে, ফু দিয়ে কেরোসিন আগুনের মশালে নিক্ষেপের ফলে আগুনের দলার সৃষ্টি হয়। এটাই আগুন খেলা। ঢাকার ঘুড়ি ওড়ানি উৎসবকে স্থানীয়রা সাকরাইন বলেন। পৌষ মাসের শেষ দিন এই উৎসবে মেতে ওঠেন ঢাকাবাসী।

উৎসবটি সম্পর্কে স্থানীয়রা বলেন, ৩০ পৌষ সারা দিন চলে ঘুড়ি ওড়ানো আর আলোর খেলা। ভোরের সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পুরান ঢাকার বিভিন্ন বাড়ির ছাদে ঘুড়ি ওড়ানো শুরু করে শিশু থেকে তরুণ-যুবকেরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে বাড়তে থাকে ঘুড়ির সংখ্যা। বিকেল গড়াতেই বাড়ির ছাদে ছাদে বাজতে থাকে গান। সন্ধ্যার পর শুরু হয় আলোর খেলা। আতশবাজি ও লাইটিং চলে মধ্যরাত পর্যন্ত।

ছবি

রাজধানীতে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের মহড়া

টঙ্গীতে তুলার গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

নিরাপত্তাহীনতায় লক্ষীবাজার সিটি করপোরেশন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা

রাজধানীতে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের মহড়া

ছবি

বিএনপিকে আদেশ করার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে টিটিপাড়া আন্ডারপাস

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের ‘হামলা’, কর্মসূচি পণ্ড

ছবি

শহীদ মিনারে অবস্থান, বিদ্যালয়গুলোতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি: নতুন কর্মসূচিতে প্রাথমিক শিক্ষকেরা

ছবি

গান গেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানালো ছায়ানট

ছবি

শাহবাগে প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের অভিযোগ

ছবি

কাকরাইলে সেন্ট মেরি’স চার্চে হাতবোমা হামলা, দুই মোটরসাইকেল আরোহীর খোঁজে পুলিশ

ছবি

ছুটির দিনে বিশ্বে বায়ুদূষণে ঢাকা দশম, ৩ বিভাগীয় শহরে দূষণ তার চেয়ে অনেক বেশি

ছবি

আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীর বাংলাদেশ গড়বে : চসিক মেয়র

ছবি

শাহজালাল বিমানবন্দরে পোড়া কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরি

ছবি

প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের যমুনা অভিমুখী পদযাত্রা আটকে দিলো পুলিশ

ছবি

সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেশ টিভির আরিফ ও নাসার নজরুল

ছবি

পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তার নিরীক্ষা ছাড়াই মেট্রোরেল সার্ভিস চালু

ছবি

শ্রীপুরে দুইশ’ হাত হেঁচড়িয়ে নিয়ে যায় ট্রেন, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি জালালের

বাড্ডায় ফ্যাক্টরি থেকে দারোয়ান ও বুয়ার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

ছবি

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন: যানজটে জনভোগান্তি মানুষের

ছবি

সাধারণ বাংলাদেশিদের উচ্ছেদ করা হবে জেনেভা ক্যাম্প থেকে : পুলিশ

ছবি

পাঁচ দফা দাবিতে সড়ক ছেড়েছেন এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা

ছবি

বাড্ডায় বাড়ির গুদাম থেকে যুবক-নারীর গলিত লাশ উদ্ধার

রাজধানীতে পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩ জন

ছবি

মেট্রোরেলে যাতায়াতে অপেক্ষার সময় পাঁচ মিনিটে আনা হবে

ছবি

ইবতেদায়ী শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড

ছবি

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে মৃত্যু: ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ

ছবি

জামায়াতের আইনজীবীর হাতে তিন সাংবাদিক ‘হেনস্তা’, কারাগারে পাঠাতে চাইলেন বিচারক

ছবি

মহম্মদপুরে জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৫

ছবি

গাজীপুরে খতিব অপহরণ: পুলিশ বলছে ‘নাটক’

ছবি

যাত্রাবাড়ীতে ‘সড়ক দুর্ঘটনায়’ একজনের মৃত্যু

ছবি

মেট্রোরেল আবারও উত্তরা থেকে মতিঝিল চালু: তবে ফার্মগেট স্টেশনের কাছ দিয়ে ধীরগতিতে চলছে

ছবি

মেট্রো লাইনের বিয়ারিং প্যাড পড়ে যুবকের মৃত্যু: পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

বিয়ারিং প্যাড দুর্ঘটনায় স্থগিত আগারগাঁও–মতিঝিল মেট্রোরেল চলাচল

ছবি

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র-অ্যামুনিশন ও বিস্ফোরক উদ্ধার

tab

ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সাকরাইন উৎসবকে সামনে রেখে শাখারী বাজারে চলছে নানা রঙের ঘুড়ি বেচাকেনা -সংবাদ

বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীনতম উৎসব ‘সাকরাইন’। উৎসবটি পৌষসংক্রান্তি ও ঘুড়ি উৎসব নামেও পরিচিত। এই দিন বাহারি রঙের ঘুড়িতে আকাশ হয়ে উঠে রঙিন। ছোট-বড় সবার অংশগ্রহণে প্রতিটি বাড়ির ছাদ হয়ে উঠে উৎসবমুখর। বাংলা বর্ষপঞ্জিকার নবম মাস পৌষ মাসের শেষ দিনে আয়োজিত হয় যা গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জিকার হিসাবে এরপর ৩০ পৌষ অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ শুক্রবার। বাংলায় দিনটি পৌষ সংক্রান্তি এবং ভারতীয় উপমহাদেশে মকর সংক্রান্তি নামে পরিচিত।

এ উৎসবে অংশ নেন সব ধর্ম, পেশার বিভিন্ন বয়সের মানুষ। পৌষ সংক্রান্তি ও মাঘ মাসের শুরুর এ দিনটিতে আগুন নিয়ে খেলা ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজির মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রথম প্রহর। সকাল থেকে গান-বাজনার তালে তালে শুরু হয় ঘুড়ি ওড়ানোর উন্মাদনা। ছোট-বড় সবার অংশগ্রহণে মুখরিত হয় প্রতিটি বাড়ির ছাদ, চলে ঘুড়ির সাম্যবাদ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে উৎসবের মুখরতা। বাড়ে আকাশে ঘুড়ির সংখ্যাও। এ দিন পুরান ঢাকার শাঁখারি বাজার, রায়সাহেব বাজার, বংশাল, বাংলাবাজার, সদরঘাট, দয়াগঞ্জ, মুরগিটোলা, কাগজিটোলা, গেন্ডারিয়া, বাইনানগর, লক্ষ্মীবাজার, সিংটোলা, সূত্রাপুর, ধূপখোলা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সদরঘাট, কোটকাচারি এলাকার মানুষ সারা দিনব্যাপী ঘুড়ি উড়ায় আর আয়োজন করা হয় পুরান ঢাকার নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবারের। মোড়ে-মোড়ে, বাড়ির ছাদে-ছাদে, ক্লাব, সংঘ অথবা বন্ধুদের দল মিলে গান বাজিয়ে নেচে-গেয়ে সারাদিন সবাইকে মাতিয়ে রাখে।

এদিনটিতে পুরান ঢাকার আকাশে শোভা পায় নানা রং আর বাহারি আকৃতির ঘুড়ি। এ ছাড়া আগুন নিয়ে খেলা, আতশবাজি ফাটানো এ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ। তবে সকালের তুলনায় বিকেলে এ উৎসব বেশি মুখরিত হয়।

পুরান ঢাকায় কবে, কখন, কোথায় প্রথম ঘুড়ি উৎসব শুরু হয়েছিল তা ইতিহাস থেকে ভালোভাবে জানা যায় না। তবে ঐতিহাসিকদের মতে, সেই মোগল আমলে ১৭৪০ সালের দিকে নায়েব-ই-নাজিম নওয়াজেশ মোহাম্মদ খানের আমলে ঘুড়ি ওড়ানো একটি উৎসবে পরিণত হয়েছিল বলে জানা যায়। আরও জানা যায়, নবাববাড়ীতে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা হতো। নবাব পরিবাররা এ উৎসবের উৎসাহদাতা ছিলেন। সেই সময় ঘুড়ি উড়ানো আনন্দ অভিজাত মহলে সীমাবদ্ধ ছিল। যা এখন সর্বসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিযোগিতার মাসখানেক আগেই শুরু হতো প্রস্তুতি। ঘুড়ি ও নাটাই তৈরি, সুতায় মাঞ্জা দেয়াথ সব মিলিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ। ঘুড়ি-কাটাকাটির জন্যই সুতায় মাঞ্জা দেয়া হতো। দুই বাড়ির ছাদে অথবা কোন মাঠে দুই দল সামনাসামনি দাঁড়িয়ে ঘুড়ি কাটাকাটির প্রতিযোগিতা হতো। ঘুড়ি ওড়ানির সঙ্গে বাজত দুই দলের ব্যান্ডের বাজনা। ঘুড়ি কাটা পড়লে সে লজ্জা ঢাকার জায়গা নেই, অন্য পক্ষের আনন্দ ধরে না। যার ঘুড়ি দিয়ে বোকাট্টা হয়েছে তাকে কাঁধে করে বাদক দলসহ সারা মহল্লা চক্কর দেয়া হতো।

সাকরাইনের সেই জৌলুস কমেনি একটুও, বরং বেড়েছে। এই উৎসবে যোগ হয়েছে ডিজিটাল অনুষঙ্গ ডিজে নাচ, প্রজেক্টর আর উন্নতমানের সাউন্ড সিস্টেম। সারাদিন ঘুড়ি উড়িয়ে সন্ধ্যায় আগুন খেলা দিয়ে সাকরাইন বিদায় দেয়া পুরনো প্রচলন। একজন মুখে কেরোসিন নিয়ে মুখের সামনে আগুনের মশাল ধরে, ফু দিয়ে কেরোসিন আগুনের মশালে নিক্ষেপের ফলে আগুনের দলার সৃষ্টি হয়। এটাই আগুন খেলা। ঢাকার ঘুড়ি ওড়ানি উৎসবকে স্থানীয়রা সাকরাইন বলেন। পৌষ মাসের শেষ দিন এই উৎসবে মেতে ওঠেন ঢাকাবাসী।

উৎসবটি সম্পর্কে স্থানীয়রা বলেন, ৩০ পৌষ সারা দিন চলে ঘুড়ি ওড়ানো আর আলোর খেলা। ভোরের সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পুরান ঢাকার বিভিন্ন বাড়ির ছাদে ঘুড়ি ওড়ানো শুরু করে শিশু থেকে তরুণ-যুবকেরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে বাড়তে থাকে ঘুড়ির সংখ্যা। বিকেল গড়াতেই বাড়ির ছাদে ছাদে বাজতে থাকে গান। সন্ধ্যার পর শুরু হয় আলোর খেলা। আতশবাজি ও লাইটিং চলে মধ্যরাত পর্যন্ত।

back to top