alt

ছুটির ফাঁদে ব্যবসা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২

সাধারণ সময়ে রাজধানীর বায়তুল মোকররমে শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) গম গম করতে থাকে ক্রেতা-বিক্রেতার সোরগোলে। আজ ছিল শুক্রবার, তারওপর একবারে ঈদ আসন্ন। সেই হিসেবে উপচেপড়া ভিড় থাকার কথা থাকলেও দেখা যায় উল্টো চিত্র। অলস সময় পার করছেন বায়তুল মোকাররম ও তার আশপাশের মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।

শিশুদের তৈরি পোশাকের দোকানি শাহাজাহান ভূঁইয়া হতাশ সুরে বলেন, ‘ ছুটি ব্যবসা খাইয়া ফেলছে। একসঙ্গে এত ছুটি। ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। কেনাকাটার চাইতে বাড়ি যাওয়া জরুরি।’

প্রায় ৩০ বছর ধরে বায়তুল মোকাররমের ফুটপাতে ব্যবসা করে আসছেন শাহাজাহান। তিনি বলেন, ‘এবার ব্যবসা ভালো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্যবসা হয় নাই। একসঙ্গে ছুটি পরছে অনেক। ছুটি পাইলেই কেউ আর ঢাকায় থাকতে চায় না। আর আমাদের ফুটপাত দোকানের মূল কাস্টমার ঢাকার বাইরের মানুষ। তারা না থাকলে ব্যবসাও থাকে না।’

শাহজাহান বলেন, ‘আমাদের এখানে শুক্রবারই ঈদের মতো ব্যবসা হয়। আইজকা একে শুক্রবার তারওপর ঈদ। আপনে দেখেন মানুষজন আছে (?) মানুষের হাতে টাকা পয়সা নাই বুঝছেন।’

কথা বলার ফাঁকে দেবাশীষ রায় নামের একজন ক্রেতা ছেলে বাচ্চার পোশাক পছন্দ করে দাম মেটালেন। একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন দেবাশীষ। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) অফিস ছুটির পর গ্রামের বাড়ি ভোলা যাওয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত জানজটের ভয়ে যাননি। তিনি বলেন, ‘এত গরমে এত কষ্ট করে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু এতদিন ছুটি। ঢাকায় কিছু করার নেই।’

৫ বছর আর ২ বছর বয়সী ২ ছেলের জন্য দুটো ড্রেস কিনে দাম মেটাতে মেটাতে দেবাশীষ বলেন, আমার চারপাশের সবাই মুসলিম। সবাই নতুন পোশাক পরবে আমার ছেলেরা বাদ যাবে কেন। আর ওই যে সবাই বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’

দু’জন কম বয়সী যুবক বাচ্চাদের দুটো রোদ চশমা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে দরদাম করছিলেন। এক পর্যায়ে বিক্রেতা কিছু দাম কমালেন আর বিক্রেতা বাড়িয়ে দুটো লাল রঙের বাচ্চাদের রোদ চশমা কিনে নিলেন। বেশ খুশি হয়ে একজন ব্যগে পুড়লেন চশমার প্যাকেট। কার জন্য চশমা কিনলেন জানতে চাইলে বলেন, ‘বোনের দুই ছেলের জন্য।’

এখনো লেখাপড়া করেন, বেশি কিছু কিনতে পারবেন না জানিয়ে তারা বলেন, ‘এই চশমা দুই বছর আগেও ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যেত এখন ১২০ টাকায় কিনলাম।’ তাদের কথার সঙ্গে সায় দিয়ে বিক্রেতা ফুল মিয়া বলেন, ‘আগে আমিও বিক্রি করছি এই দামে। কিন্তু এখন পারি না।’

ফুল মিয়া বলেন, ‘স্বাধীনতার ১৭ দিন পর থেকে এই বায়তুল মোকাররমে ব্যবসা করছি। ব্যবসায় লাভ-লস থাকবে। কিন্তু দুই বছর করোনার পর ভাবছিলাম ভালো ব্যবসা করবো। কিন্তু তা আর হইলো না। চীন থেকে সময়মতো মাল আসে না বলে পাইকাররা ঠিকমতো মালামাল সাপ্লাই দিতে পারে না। আবার সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। আমাদেরও তো চলতে হবে।’

ঈদের দুই তিন দিন আগে থেকে কসমেটিকস, জুয়েলারি, জুতা, টুপি, আতরের দোকানে ভিড় বাড়তে থাকে। কিন্তু শুক্রবার বায়তুল মোকাররম, স্টেডিয়াম, গুলিস্তান ও আশপাশের বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, ঈদে যেমন ক্রেতা সমাগম হওয়ার কথা এবার তেমন নাই।

ইমিটেশন জুয়েলারির ব্যবসায়ী আল-আমিনও সন্তুষ্ট নন ঈদ ব্যবসায়। তিনিও একই কথা বলে সংবাদকে জানান, ‘সারামাস টুকটাক ব্যবস হইছে। ঈদে যেমন জমজমাট হয় তেমন হয় নাই। এই দুইদিনও ভালো ব্যবসা হবে না জানি। টুকটাক যা হবে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।’

মতিঝিলে একটা করপোরেট অফিসে কাজ করেন আবদুল আলীম। বাসা ভাড়া নিয়ে রামপুরায় থাকনে। আজ রাতের ট্রেনে যাবেন দিনাজপুর। স্ত্রীকে নিয়ে টুকিটাকি সামান্য কিছু ঈদ উপহার কিনতে এসেছেন বাবা মা ও ভাই বোনদের জন্য।

আলীম বলেন, ‘করোনার সময় বেতন কমিয়ে ফেলেছে, তা আর বাড়েনি। কিন্তু অন্য সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে দৈনন্দিন সবকিছুর। ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই আত্মীয়-স্বজনদের জন্য অনেক উপহার নেয়ার। যা প্রয়োজন তাই কিনছি।’

ফুটপাতে ক্রোকারিজ সামগ্রীর পসরা নিয়ে বসেছেন জাহিদুল ইসলাম সৈকত। একদাম, ১০০ টাকার দোকান। যা কিনবেন তাই ১০০ টাকা। তার কাছে জানতে চাইলে নতুন কিছু বলতে পারলেন না। ঈদে যে হৈচৈ হওয়ার কথা তা নেই জানিয়ে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘ঈদের আগের তিন দিন কথা বলার সময় পায় না ব্যবসায়ীরা। তারা এখন অলস বসে আছে।’

ব্যবসা খারাপ হওয়ার কারণ হিসেবে তিনিও বলেন দীর্ঘ ছুটির কথা। সৈকত আরও বলেন, ‘মানুষের হাতে এখন টাকা পয়সা কম। সবাই এখন যা দরকার তাই কেনাকাটা করেন। ঈদে ব্যবসা না হলে ঈদের পর কি হবে তাই ভাবতেছি।’

ছবি

রাজধানীতে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের মহড়া

টঙ্গীতে তুলার গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

নিরাপত্তাহীনতায় লক্ষীবাজার সিটি করপোরেশন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা

রাজধানীতে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের মহড়া

ছবি

বিএনপিকে আদেশ করার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে টিটিপাড়া আন্ডারপাস

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের ‘হামলা’, কর্মসূচি পণ্ড

ছবি

শহীদ মিনারে অবস্থান, বিদ্যালয়গুলোতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি: নতুন কর্মসূচিতে প্রাথমিক শিক্ষকেরা

ছবি

গান গেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানালো ছায়ানট

ছবি

শাহবাগে প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের অভিযোগ

ছবি

কাকরাইলে সেন্ট মেরি’স চার্চে হাতবোমা হামলা, দুই মোটরসাইকেল আরোহীর খোঁজে পুলিশ

ছবি

ছুটির দিনে বিশ্বে বায়ুদূষণে ঢাকা দশম, ৩ বিভাগীয় শহরে দূষণ তার চেয়ে অনেক বেশি

ছবি

আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীর বাংলাদেশ গড়বে : চসিক মেয়র

ছবি

শাহজালাল বিমানবন্দরে পোড়া কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরি

ছবি

প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের যমুনা অভিমুখী পদযাত্রা আটকে দিলো পুলিশ

ছবি

সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেশ টিভির আরিফ ও নাসার নজরুল

ছবি

পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তার নিরীক্ষা ছাড়াই মেট্রোরেল সার্ভিস চালু

ছবি

শ্রীপুরে দুইশ’ হাত হেঁচড়িয়ে নিয়ে যায় ট্রেন, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি জালালের

বাড্ডায় ফ্যাক্টরি থেকে দারোয়ান ও বুয়ার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

ছবি

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন: যানজটে জনভোগান্তি মানুষের

ছবি

সাধারণ বাংলাদেশিদের উচ্ছেদ করা হবে জেনেভা ক্যাম্প থেকে : পুলিশ

ছবি

পাঁচ দফা দাবিতে সড়ক ছেড়েছেন এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা

ছবি

বাড্ডায় বাড়ির গুদাম থেকে যুবক-নারীর গলিত লাশ উদ্ধার

রাজধানীতে পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩ জন

ছবি

মেট্রোরেলে যাতায়াতে অপেক্ষার সময় পাঁচ মিনিটে আনা হবে

ছবি

ইবতেদায়ী শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড

ছবি

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে মৃত্যু: ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ

ছবি

জামায়াতের আইনজীবীর হাতে তিন সাংবাদিক ‘হেনস্তা’, কারাগারে পাঠাতে চাইলেন বিচারক

ছবি

মহম্মদপুরে জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৫

ছবি

গাজীপুরে খতিব অপহরণ: পুলিশ বলছে ‘নাটক’

ছবি

যাত্রাবাড়ীতে ‘সড়ক দুর্ঘটনায়’ একজনের মৃত্যু

ছবি

মেট্রোরেল আবারও উত্তরা থেকে মতিঝিল চালু: তবে ফার্মগেট স্টেশনের কাছ দিয়ে ধীরগতিতে চলছে

ছবি

মেট্রো লাইনের বিয়ারিং প্যাড পড়ে যুবকের মৃত্যু: পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

বিয়ারিং প্যাড দুর্ঘটনায় স্থগিত আগারগাঁও–মতিঝিল মেট্রোরেল চলাচল

ছবি

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র-অ্যামুনিশন ও বিস্ফোরক উদ্ধার

tab

ছুটির ফাঁদে ব্যবসা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২

সাধারণ সময়ে রাজধানীর বায়তুল মোকররমে শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) গম গম করতে থাকে ক্রেতা-বিক্রেতার সোরগোলে। আজ ছিল শুক্রবার, তারওপর একবারে ঈদ আসন্ন। সেই হিসেবে উপচেপড়া ভিড় থাকার কথা থাকলেও দেখা যায় উল্টো চিত্র। অলস সময় পার করছেন বায়তুল মোকাররম ও তার আশপাশের মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।

শিশুদের তৈরি পোশাকের দোকানি শাহাজাহান ভূঁইয়া হতাশ সুরে বলেন, ‘ ছুটি ব্যবসা খাইয়া ফেলছে। একসঙ্গে এত ছুটি। ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। কেনাকাটার চাইতে বাড়ি যাওয়া জরুরি।’

প্রায় ৩০ বছর ধরে বায়তুল মোকাররমের ফুটপাতে ব্যবসা করে আসছেন শাহাজাহান। তিনি বলেন, ‘এবার ব্যবসা ভালো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্যবসা হয় নাই। একসঙ্গে ছুটি পরছে অনেক। ছুটি পাইলেই কেউ আর ঢাকায় থাকতে চায় না। আর আমাদের ফুটপাত দোকানের মূল কাস্টমার ঢাকার বাইরের মানুষ। তারা না থাকলে ব্যবসাও থাকে না।’

শাহজাহান বলেন, ‘আমাদের এখানে শুক্রবারই ঈদের মতো ব্যবসা হয়। আইজকা একে শুক্রবার তারওপর ঈদ। আপনে দেখেন মানুষজন আছে (?) মানুষের হাতে টাকা পয়সা নাই বুঝছেন।’

কথা বলার ফাঁকে দেবাশীষ রায় নামের একজন ক্রেতা ছেলে বাচ্চার পোশাক পছন্দ করে দাম মেটালেন। একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন দেবাশীষ। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) অফিস ছুটির পর গ্রামের বাড়ি ভোলা যাওয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত জানজটের ভয়ে যাননি। তিনি বলেন, ‘এত গরমে এত কষ্ট করে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু এতদিন ছুটি। ঢাকায় কিছু করার নেই।’

৫ বছর আর ২ বছর বয়সী ২ ছেলের জন্য দুটো ড্রেস কিনে দাম মেটাতে মেটাতে দেবাশীষ বলেন, আমার চারপাশের সবাই মুসলিম। সবাই নতুন পোশাক পরবে আমার ছেলেরা বাদ যাবে কেন। আর ওই যে সবাই বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’

দু’জন কম বয়সী যুবক বাচ্চাদের দুটো রোদ চশমা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে দরদাম করছিলেন। এক পর্যায়ে বিক্রেতা কিছু দাম কমালেন আর বিক্রেতা বাড়িয়ে দুটো লাল রঙের বাচ্চাদের রোদ চশমা কিনে নিলেন। বেশ খুশি হয়ে একজন ব্যগে পুড়লেন চশমার প্যাকেট। কার জন্য চশমা কিনলেন জানতে চাইলে বলেন, ‘বোনের দুই ছেলের জন্য।’

এখনো লেখাপড়া করেন, বেশি কিছু কিনতে পারবেন না জানিয়ে তারা বলেন, ‘এই চশমা দুই বছর আগেও ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যেত এখন ১২০ টাকায় কিনলাম।’ তাদের কথার সঙ্গে সায় দিয়ে বিক্রেতা ফুল মিয়া বলেন, ‘আগে আমিও বিক্রি করছি এই দামে। কিন্তু এখন পারি না।’

ফুল মিয়া বলেন, ‘স্বাধীনতার ১৭ দিন পর থেকে এই বায়তুল মোকাররমে ব্যবসা করছি। ব্যবসায় লাভ-লস থাকবে। কিন্তু দুই বছর করোনার পর ভাবছিলাম ভালো ব্যবসা করবো। কিন্তু তা আর হইলো না। চীন থেকে সময়মতো মাল আসে না বলে পাইকাররা ঠিকমতো মালামাল সাপ্লাই দিতে পারে না। আবার সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। আমাদেরও তো চলতে হবে।’

ঈদের দুই তিন দিন আগে থেকে কসমেটিকস, জুয়েলারি, জুতা, টুপি, আতরের দোকানে ভিড় বাড়তে থাকে। কিন্তু শুক্রবার বায়তুল মোকাররম, স্টেডিয়াম, গুলিস্তান ও আশপাশের বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, ঈদে যেমন ক্রেতা সমাগম হওয়ার কথা এবার তেমন নাই।

ইমিটেশন জুয়েলারির ব্যবসায়ী আল-আমিনও সন্তুষ্ট নন ঈদ ব্যবসায়। তিনিও একই কথা বলে সংবাদকে জানান, ‘সারামাস টুকটাক ব্যবস হইছে। ঈদে যেমন জমজমাট হয় তেমন হয় নাই। এই দুইদিনও ভালো ব্যবসা হবে না জানি। টুকটাক যা হবে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।’

মতিঝিলে একটা করপোরেট অফিসে কাজ করেন আবদুল আলীম। বাসা ভাড়া নিয়ে রামপুরায় থাকনে। আজ রাতের ট্রেনে যাবেন দিনাজপুর। স্ত্রীকে নিয়ে টুকিটাকি সামান্য কিছু ঈদ উপহার কিনতে এসেছেন বাবা মা ও ভাই বোনদের জন্য।

আলীম বলেন, ‘করোনার সময় বেতন কমিয়ে ফেলেছে, তা আর বাড়েনি। কিন্তু অন্য সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে দৈনন্দিন সবকিছুর। ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই আত্মীয়-স্বজনদের জন্য অনেক উপহার নেয়ার। যা প্রয়োজন তাই কিনছি।’

ফুটপাতে ক্রোকারিজ সামগ্রীর পসরা নিয়ে বসেছেন জাহিদুল ইসলাম সৈকত। একদাম, ১০০ টাকার দোকান। যা কিনবেন তাই ১০০ টাকা। তার কাছে জানতে চাইলে নতুন কিছু বলতে পারলেন না। ঈদে যে হৈচৈ হওয়ার কথা তা নেই জানিয়ে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘ঈদের আগের তিন দিন কথা বলার সময় পায় না ব্যবসায়ীরা। তারা এখন অলস বসে আছে।’

ব্যবসা খারাপ হওয়ার কারণ হিসেবে তিনিও বলেন দীর্ঘ ছুটির কথা। সৈকত আরও বলেন, ‘মানুষের হাতে এখন টাকা পয়সা কম। সবাই এখন যা দরকার তাই কেনাকাটা করেন। ঈদে ব্যবসা না হলে ঈদের পর কি হবে তাই ভাবতেছি।’

back to top