alt

মুনিরা সুলতানার ‘আপন ঘর’, চলছে আপন গতিতে

জাহিদা পারভেজ ছন্দা : শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২

‘আপন ঘর’ এর মশলা ৩৫ বছর ধরে ব্যবহার করছেন ফারহানা খন্দকার। যখন ঢাকায় ছিলেন তখন তো করতেনই। এখন কানাডায় থাকেন। ঢাকা থেকে পরিচিত কেউ কানাডা গেলে তার একটাই চাহিদা, তা হলো আপন ঘরের মশলা। ‘আপন ঘর’ এর স্বত্বাধিকারী মুনিরা সুলতানা বললেন, ‘আমার ভালো লাগা, আমার অর্জন এইটাই। এত বছর একজন ক্লায়েন্ট আমাকে মনে রেখেছে, আমার প্রডাক্ট (পণ্য) ব্যবহার করছে, এটাই আমার বড় প্রাপ্তি।’

গত শতকের নয়ের দশকে প্রথম যে দুই তিনজন নারী উদ্যোক্তা প্রথা ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলেন, নিজেদের পরিচিত করেছেন নতুনভাবে তাদের একজন মুনিরা সুলতানা। পরিবারের পূর্ণ সমর্থন থাকা সত্তে¡ও কিছুটা ভয় কিছুটা দ্বিধা নিয়ে শুরু করেছিলেন ‘আপন ঘর’ এর যাত্রা। নতুন ভাবনা, নতুন চেতনায় এক নতুন মুনিরার জন্ম হয় পার্লার দিয়ে।

৬১তে পা দেয়া মুনিরা জানান, লেখাপড়া শেষ করে ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগছিল না। আবার ছোট ছোট তিন বাচ্চাকে রেখে চাকরি করবেন তাতেও মন সায় দিচ্ছিল না। কী করা যায়, পাশাপাশি মেয়েদের জন্য কী করা যায় এসব নিয়ে যখন এলোমেলো চিন্তা করছেন, তখন তার চিন্তাকে সহজ করে দেন তার স্বামী বাটা শু কোম্পানির চিফ ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী খান।

সাজগোজ থেকে শুরু করে রান্না-বান্না, ঘর সাজানো ইত্যাদি বিষয়ে মুনিরা অন্যদের থেকে কিছুটা যে আলাদা তা খেয়াল করে শওকত আলী বলেন, ‘তুমি যে কাজ করে আনন্দ পাও, সেই কাজ করো। তুমি মেয়েদেরকে সাজগোজ শেখাও। রান্না শেখাও। এসবের জন্য বাসার বাইরে যেতে হবে না। বাচ্চাদের দেখাশোনা করেও এসব করতে পারবে। আর এতে করে তুমি আরও শিখতে পারবে, শেখাতে পারবে।’

ব্যাস, স্বামীর অভয় ও সাহসে সিঙ্গাপুর, নিউইয়র্ক থেকে বিউটিফিকেশন বা পার্লারের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে আসেন মুনিরা। ‘আপন ঘর’ নাম দিয়ে শুরু করেন পার্লার। পার্লার দিতে গিয়ে সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েন বাসা ভাড়া নিয়ে। কেউ বাসা ভাড়া দিতে চায় না।

একেতো নারী, তার ওপর নতুন ব্যবসা, বাসা ভাড়া ঠিকমতো দেবেন কিনা বাড়িওয়ালাদের এমন নানা প্রশ্ন ও শঙ্কাই ছিল সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই সমস্যাও কেটে যায় এক সময়। সেই যে ১৯৯০ এ শুরু করেছেন আজও চলছে ‘আপন ঘর’, আপন গতিতে।

পার্লারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন নাস্তা বানানো শুরু করলেন। বিশেষ করে কেক বানাতেন অনেক। আত্মীয়-স্বজনের বাসায় গেলে কেক নিয়ে যেতেন। সবার প্রশংসা তাকে উৎসাহিত করতো আরও ভালো করে বানানোর জন্য। বন্ধুরা একটা ফ্রি নিলে একটার টাকা দিত।

‘এভাবে ধীরে ধীরে কেকের অর্ডার নেয়া শুরু করলাম। এবং অন্য খাবারেরও অর্ডার আসতে শুরু করে। ঘরে বসে বাচ্চা সামলে এ কাজগুলো করতে খুব ভালো লাগতো। একদিকে আমার হাতে তৈরি খাবার সবাই পছন্দ করে খাচ্ছে, অন্যদিকে আমার হাতেও কিছু টাকা পয়সা আসছে, তারচেয়েও বড়ো যে বিষয়টা ভালো লাগতো তা হলো- আমার সঙ্গে কাজ করে অনেক মেয়ে স্বাবলম্বী হতে পারছে,’ বলছিলেন মুনিরা।

এখন তো ইউটিউব থেকে সব কিছু জানা বা শেখা যায় তাহলে কেন তার কাছে কেউ আসবে এমন প্রশ্নে মুনিরা বলেন, ‘হাতেকলমে শেখা আর ভিডিও দেখে শেখার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। যেকোন জিনিসের বেসিক জানতে হয় খুব ভালো করে। ভিডিও দেখে যদি সব শেখা যেত তবে লাখ টাকা কোর্স ফি দিয়ে কেউ রান্না বা পার্লারের কাজ শিখতো না। বিদেশে প্রশিক্ষণ নিতে যেত না। এখন তো অনেকই পার্লার দেয়, রান্নার কাজ করে কয়জন টিকে থাকতে পারে। কারণ তারা অস্থির। শিখতে চায় না। শিখতে হবে। চর্চা করতে হবে। আমার বেসিক ভালো ছিল বলে ৩৫ বছর ধরে আজও টিকে আছি বলবো ভালোভাবে টিকে আছি।’

কিছুদিন আগে চ্যানেল আই উদ্যেক্তা হিসেবে সম্মাননা প্রদান করেছে।

এবার বেকিং অ্যান্ড কুকিং এন্টারপ্রেনারস সম্মাননা দিতে চলেছে। কেমন লাগছে জানতে চাইলে মুনিরা বলেন, ‘নিজের স্যাটিসফেকশন (সন্তুষ্টি) বড় পুরস্কার, আমার সেই স্যাটিসফেকশন আছে। তবে পুরস্কার বা সম্মাননা এক ধরনের স্বীকৃতি। যা অনেক ভালা লাগায়, আরো দায়িত্বশীল হতে শেখায়। বেকিং অ্যান্ড কুকিং এন্টারপ্রেনারসের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। অন্যকে সম্মান দিলে সম্মান বাড়ে। ভালো লাগছে। আমাদের মনে রেখেছে। একসময় এতটা ব্যস্ত ছিলাম, কাজের মধ্যে ছিলাম, কারও সঙ্গে দু’দণ্ড বসে কথা বলার সময় ছিল না। এখন অনেকেই এই পেশায় আসছে ভালো করছে। এটা যেন আমাদের জয়।’

ছবি

আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীর বাংলাদেশ গড়বে : চসিক মেয়র

ছবি

শাহজালাল বিমানবন্দরে পোড়া কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরি

ছবি

প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের যমুনা অভিমুখী পদযাত্রা আটকে দিলো পুলিশ

ছবি

সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেশ টিভির আরিফ ও নাসার নজরুল

ছবি

পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তার নিরীক্ষা ছাড়াই মেট্রোরেল সার্ভিস চালু

ছবি

শ্রীপুরে দুইশ’ হাত হেঁচড়িয়ে নিয়ে যায় ট্রেন, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি জালালের

বাড্ডায় ফ্যাক্টরি থেকে দারোয়ান ও বুয়ার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

ছবি

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন: যানজটে জনভোগান্তি মানুষের

ছবি

সাধারণ বাংলাদেশিদের উচ্ছেদ করা হবে জেনেভা ক্যাম্প থেকে : পুলিশ

ছবি

পাঁচ দফা দাবিতে সড়ক ছেড়েছেন এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা

ছবি

বাড্ডায় বাড়ির গুদাম থেকে যুবক-নারীর গলিত লাশ উদ্ধার

রাজধানীতে পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩ জন

ছবি

মেট্রোরেলে যাতায়াতে অপেক্ষার সময় পাঁচ মিনিটে আনা হবে

ছবি

ইবতেদায়ী শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড

ছবি

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে মৃত্যু: ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ

ছবি

জামায়াতের আইনজীবীর হাতে তিন সাংবাদিক ‘হেনস্তা’, কারাগারে পাঠাতে চাইলেন বিচারক

ছবি

মহম্মদপুরে জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৫

ছবি

গাজীপুরে খতিব অপহরণ: পুলিশ বলছে ‘নাটক’

ছবি

যাত্রাবাড়ীতে ‘সড়ক দুর্ঘটনায়’ একজনের মৃত্যু

ছবি

মেট্রোরেল আবারও উত্তরা থেকে মতিঝিল চালু: তবে ফার্মগেট স্টেশনের কাছ দিয়ে ধীরগতিতে চলছে

ছবি

মেট্রো লাইনের বিয়ারিং প্যাড পড়ে যুবকের মৃত্যু: পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

বিয়ারিং প্যাড দুর্ঘটনায় স্থগিত আগারগাঁও–মতিঝিল মেট্রোরেল চলাচল

ছবি

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র-অ্যামুনিশন ও বিস্ফোরক উদ্ধার

ছবি

পল্লবীতে আগুনে পুড়লো পোশাক কারখানা

ছবি

গ্রেপ্তার বাবাকে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে চর, খতিয়ে দেখছে পুলিশ

ছবি

জেনেভো ক্যাম্পে সংঘর্ষে প্রাণহানি: গ্রেপ্তার চারজন কারাগারে

ছবি

সব জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে ‘রেইনবো নেশন’ গড়ে তোলা হবে: মির্জা ফখরুল

ছবি

ঝটিকা মিছিল করে প্রচার সোশ্যাল মিডিয়াতেই সীমাবদ্ধ: ডিএমপি কমিশনার

ছবি

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে নতুনরূপে ফিরিয়ে আনা হলো সিগন্যাল বাতি

ছবি

রাজধানীতে একরাতে তিন যুবক খুন

ছবি

সাভারে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

জেনিভা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, যুবক নিহত

ছবি

কার্গো ভিলেজে আগুন: শুক্রবার ও শনিবার খোলা ঢাকা কাস্টমস

ছবি

জাতীয়করণের ঘোষণার বাস্তবায়নে পল্টনে সড়ক অবরোধে ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা

ছবি

বাড়িভাড়া ও ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শাহবাগে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ করবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

ছবি

পর্ন ভিডিও তৈরি ও প্রচারের অভিযোগে বান্দরবান থেকে যুগল গ্রেপ্তার

tab

মুনিরা সুলতানার ‘আপন ঘর’, চলছে আপন গতিতে

জাহিদা পারভেজ ছন্দা

শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২

‘আপন ঘর’ এর মশলা ৩৫ বছর ধরে ব্যবহার করছেন ফারহানা খন্দকার। যখন ঢাকায় ছিলেন তখন তো করতেনই। এখন কানাডায় থাকেন। ঢাকা থেকে পরিচিত কেউ কানাডা গেলে তার একটাই চাহিদা, তা হলো আপন ঘরের মশলা। ‘আপন ঘর’ এর স্বত্বাধিকারী মুনিরা সুলতানা বললেন, ‘আমার ভালো লাগা, আমার অর্জন এইটাই। এত বছর একজন ক্লায়েন্ট আমাকে মনে রেখেছে, আমার প্রডাক্ট (পণ্য) ব্যবহার করছে, এটাই আমার বড় প্রাপ্তি।’

গত শতকের নয়ের দশকে প্রথম যে দুই তিনজন নারী উদ্যোক্তা প্রথা ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলেন, নিজেদের পরিচিত করেছেন নতুনভাবে তাদের একজন মুনিরা সুলতানা। পরিবারের পূর্ণ সমর্থন থাকা সত্তে¡ও কিছুটা ভয় কিছুটা দ্বিধা নিয়ে শুরু করেছিলেন ‘আপন ঘর’ এর যাত্রা। নতুন ভাবনা, নতুন চেতনায় এক নতুন মুনিরার জন্ম হয় পার্লার দিয়ে।

৬১তে পা দেয়া মুনিরা জানান, লেখাপড়া শেষ করে ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগছিল না। আবার ছোট ছোট তিন বাচ্চাকে রেখে চাকরি করবেন তাতেও মন সায় দিচ্ছিল না। কী করা যায়, পাশাপাশি মেয়েদের জন্য কী করা যায় এসব নিয়ে যখন এলোমেলো চিন্তা করছেন, তখন তার চিন্তাকে সহজ করে দেন তার স্বামী বাটা শু কোম্পানির চিফ ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী খান।

সাজগোজ থেকে শুরু করে রান্না-বান্না, ঘর সাজানো ইত্যাদি বিষয়ে মুনিরা অন্যদের থেকে কিছুটা যে আলাদা তা খেয়াল করে শওকত আলী বলেন, ‘তুমি যে কাজ করে আনন্দ পাও, সেই কাজ করো। তুমি মেয়েদেরকে সাজগোজ শেখাও। রান্না শেখাও। এসবের জন্য বাসার বাইরে যেতে হবে না। বাচ্চাদের দেখাশোনা করেও এসব করতে পারবে। আর এতে করে তুমি আরও শিখতে পারবে, শেখাতে পারবে।’

ব্যাস, স্বামীর অভয় ও সাহসে সিঙ্গাপুর, নিউইয়র্ক থেকে বিউটিফিকেশন বা পার্লারের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে আসেন মুনিরা। ‘আপন ঘর’ নাম দিয়ে শুরু করেন পার্লার। পার্লার দিতে গিয়ে সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েন বাসা ভাড়া নিয়ে। কেউ বাসা ভাড়া দিতে চায় না।

একেতো নারী, তার ওপর নতুন ব্যবসা, বাসা ভাড়া ঠিকমতো দেবেন কিনা বাড়িওয়ালাদের এমন নানা প্রশ্ন ও শঙ্কাই ছিল সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই সমস্যাও কেটে যায় এক সময়। সেই যে ১৯৯০ এ শুরু করেছেন আজও চলছে ‘আপন ঘর’, আপন গতিতে।

পার্লারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন নাস্তা বানানো শুরু করলেন। বিশেষ করে কেক বানাতেন অনেক। আত্মীয়-স্বজনের বাসায় গেলে কেক নিয়ে যেতেন। সবার প্রশংসা তাকে উৎসাহিত করতো আরও ভালো করে বানানোর জন্য। বন্ধুরা একটা ফ্রি নিলে একটার টাকা দিত।

‘এভাবে ধীরে ধীরে কেকের অর্ডার নেয়া শুরু করলাম। এবং অন্য খাবারেরও অর্ডার আসতে শুরু করে। ঘরে বসে বাচ্চা সামলে এ কাজগুলো করতে খুব ভালো লাগতো। একদিকে আমার হাতে তৈরি খাবার সবাই পছন্দ করে খাচ্ছে, অন্যদিকে আমার হাতেও কিছু টাকা পয়সা আসছে, তারচেয়েও বড়ো যে বিষয়টা ভালো লাগতো তা হলো- আমার সঙ্গে কাজ করে অনেক মেয়ে স্বাবলম্বী হতে পারছে,’ বলছিলেন মুনিরা।

এখন তো ইউটিউব থেকে সব কিছু জানা বা শেখা যায় তাহলে কেন তার কাছে কেউ আসবে এমন প্রশ্নে মুনিরা বলেন, ‘হাতেকলমে শেখা আর ভিডিও দেখে শেখার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। যেকোন জিনিসের বেসিক জানতে হয় খুব ভালো করে। ভিডিও দেখে যদি সব শেখা যেত তবে লাখ টাকা কোর্স ফি দিয়ে কেউ রান্না বা পার্লারের কাজ শিখতো না। বিদেশে প্রশিক্ষণ নিতে যেত না। এখন তো অনেকই পার্লার দেয়, রান্নার কাজ করে কয়জন টিকে থাকতে পারে। কারণ তারা অস্থির। শিখতে চায় না। শিখতে হবে। চর্চা করতে হবে। আমার বেসিক ভালো ছিল বলে ৩৫ বছর ধরে আজও টিকে আছি বলবো ভালোভাবে টিকে আছি।’

কিছুদিন আগে চ্যানেল আই উদ্যেক্তা হিসেবে সম্মাননা প্রদান করেছে।

এবার বেকিং অ্যান্ড কুকিং এন্টারপ্রেনারস সম্মাননা দিতে চলেছে। কেমন লাগছে জানতে চাইলে মুনিরা বলেন, ‘নিজের স্যাটিসফেকশন (সন্তুষ্টি) বড় পুরস্কার, আমার সেই স্যাটিসফেকশন আছে। তবে পুরস্কার বা সম্মাননা এক ধরনের স্বীকৃতি। যা অনেক ভালা লাগায়, আরো দায়িত্বশীল হতে শেখায়। বেকিং অ্যান্ড কুকিং এন্টারপ্রেনারসের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। অন্যকে সম্মান দিলে সম্মান বাড়ে। ভালো লাগছে। আমাদের মনে রেখেছে। একসময় এতটা ব্যস্ত ছিলাম, কাজের মধ্যে ছিলাম, কারও সঙ্গে দু’দণ্ড বসে কথা বলার সময় ছিল না। এখন অনেকেই এই পেশায় আসছে ভালো করছে। এটা যেন আমাদের জয়।’

back to top