alt

বন্যা, খরা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু জাতের উদ্ভাবনের দিকে জোর কৃষিমন্ত্রীর

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২২ জুন ২০২২

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন সমগ্র বিশ্বের সমস্যা হলেও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে এর ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হয়। এ থেকে বাঁচতে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার মতো নতুন জাতের খাদ্য-শস্যের জাতের উদ্ভাবন করার ওপর জোর দিতে হবে।

বুধবার (২২ জুন) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আঞ্চলিক আন্তঃসরকার সংস্থা সাউথ এশিয়া কো অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর নাইট্রোজেন দূষণ নীতি ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় আলোচকরা এসব বিষয়ের ওপর গুরুত্বাররোপ করেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বিজ্ঞানীরা এ অঞ্চলে নাইট্রোজেন দূষণের ওপর বিদ্যমান নীতির ওপর একটি আঞ্চলিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

দুর্যোগকালীন সময়ে করণীয় হিসেবে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার পরামর্শ দেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘পরিবেশের সঙ্গে অ্যাডাপ্ট (মানিয়ে নেয়া) করতে হবে। সেটি আমাদের জন্য খুবই ইম্পর্ট্যান্ট (গুরুত্বপূর্ণ)।’

পরিবেশ বির্পজয় হলে ধান পানির নিচে চলে যাবে, লবণাক্ততা বাড়বে, খরা বাড়বে। এগুলোর জন্য স্ট্রেস রেসিস্ট্যান্ট ধানের জাত, বিভিন্ন ফসলের জাত আমাদের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার করতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

জমিতে নাইট্রোজেনের ঘাটতির বিপদ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘নাইট্রোজেন ৬০-৭০% লস হয়ে যাচ্ছে। এটা কিন্তু তাড়াতাড়ি উড়ে যায় বাতাসে। এটাকে কমিয়ে আনতে হবে। এফিসিয়েন্সি লেভেল বাংলাদেশে খুব-ই কম। মাত্র ৩০-৩৫%। আমরা চাচ্ছি যে এটাকে কীভাবে বাড়ানো যায় এবং এর জন্য রিজিওনাল কোঅপারেশন খুবই ইম্পর্ট্যান্ট এবং আমি মনে করি সাসেপের সদস্য মেম্বার কান্ট্রিরা সবাই মিলে একটা ভালো পলিসি নেবে। যাতে করে নাইট্রোজেন ইফিশিয়েন্সি আমরা বাড়াতে পারি।’

কৃষি দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের প্রধান জীবিকা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ফসল উৎপাদন এবং পরিবেশ দূষণ রোধে নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনা খুবই ‘চ্যালেঞ্জিং’।’

উপমহাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিতে টেকসই নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনার বিকাশে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সুসংহতভাবে কাজ করার ‘এখনই সময়’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভারত এবং অন্যান্য দেশ পরিবেশের প্রতি ‘কমিটেড’ মন্তব্য করে আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ তো এক্সট্রিমলি ভালনারেবল টু ক্লাইমেট চেইঞ্জ। কাজেই আমাদেরকে সঠিক পথ গ্রহণ করতে হবে।’

ওই অনুষ্ঠানে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি দেখে সরকারের পুনর্বাসন কর্মসূচি নেয়ার কথাজানান মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ‘এখন কোন মেজর ফসল নাই। তবে বাংলাদেশে এই সময়ে তো বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাহলে আমনের একটাই (সম্ভাবনা) রয়েছে ক্ষতি হওয়ার। তারপর আউশও ক্ষতি হচ্ছে। এগুলা দেখে আমরা পুনর্বাসন কর্মসূচি।’

বাংলাদেশের প্রতিবেদন তুলে ধরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার পরিবেশ দূষণ, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নাইট্রোজ দূষণের বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজে পেতে বিজ্ঞানী এবং নীতি নির্ধারকদের সম্মিলিত কাজে ওপর গুরুত্ব দেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং সাউথ এশিয়া কো অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের মহাপরিচালক ড. মাসুমুর রহমান বলেন ‘নাট্রোজেন দূষণ মোকাবেলায় প্রমাণ-ভিত্তিক নীতিমালা তৈরির জন্য দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতার একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত এটি।’ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্যের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রজার জেফারি হানান, ইউকে সেন্টার ফর ইকোলজি অ্যান্ড হাইড্রোলজির অধ্যাপক মার্ক সুটন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান ।

বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য সাময়িকী ‘ল্যানসেট’ তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে যেসব রোগের প্রকোপ দেখা দিতে পারে এরমধ্যে সংক্রমণ ও কীটপতঙ্গবাহিত রোগের ধরণে পরিবর্তন আসবে, তাপপ্রবাহে মৃতের সংখ্যা বাড়বে, জলোচ্ছ্বাস-ঘূর্ণিঝড়

কালবৈশাখী ইত্যাদিতে আক্রান্ত হয়ে সরাসরি জখমের সংখ্যাও বাড়বে।

ছবি

নারীবিদ্বেষী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে, দমন করতে হবে: মহিলা পরিষদ

ছবি

দশ মাসে ১৪শ’র বেশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্দেহভাজন আটক সাড়ে ৪ লাখ

ছবি

অবশেষে গাজীপুর রেডক্রিসেন্টের নির্বাচন স্থগিত

ছবি

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দুবাইফেরত যাত্রীর ব্যাগে মিলল সিগারেট-ক্রিম

ছবি

জুরাইনে যুবক গুলিবিদ্ধ, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে

ছবি

মহাখালীতে বৈশাখী পরিবহনের চলন্ত বাসে আগুন, হতাহত নেই

ছবি

মেট্রোরেল লাইনে ড্রোন পড়ে ৯ মিনিট ট্রেন চলাচল বন্ধ

সেগুনবাগিচায় কমার্শিয়াল বহুতল ভবনে আগুন

গণপিটুনিতে অংশ না নিয়েও মামলার আসামি নারী সাংবাদিক

ছবি

চতুর্থবারের মতো ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন’ শুরু হচ্ছে শনিবার

কাজীপাড়ায় মেট্রোলাইনে হাতবোমা পাওয়া গেছে

ছবি

ভূমিকম্পে আহত ৬৩ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিলেন, সাতজন ভর্তি, আইসিইউতে একজনের মৃত্যু

ছবি

উখিয়ায় সরকারি জমি দখলমুক্ত, ২৫০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ইস্ট ওয়েস্ট ক্যাম্পাসের দুই ভবনের মাঝে পড়ে ছিল ছাত্রের মরদেহ

ছবি

উড়াল সেতুর রেলিং ভেঙে প্রাইভেটকার রাস্তায়, পথচারী নিহত

ছবি

ডিএমপি কমিশনার: অগ্নিসংযোগ–ককটেল হামলাকারীদের আইনের বিধান অনুযায়ী গুলি করা হবে

ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকা প্রকাশ, নেগেটিভ মার্ক থাকছে

ছবি

গাজীপুরে পৃথক দুই অগ্নিকাণ্ডে ঝুট গুদাম ও মশার কয়েল কারখানার গোডাউন পুড়ে ছাই

ছবি

পল্লবীর যুবদল নেতা হত্যায় ‘বড় আর্থিক লেনদেন’ হয়েছে: র‌্যাব

ছবি

বসুন্ধরা সিটিসহ সব মোবাইল মার্কেট বন্ধ, ক্রেতাদের দুর্ভোগ

ছবি

রোজ গার্ডেন কেনায় রাষ্ট্রের ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

ছবি

পল্লবীতে যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যায় ‘বড় অর্থ লেনদেন’ : র‌্যাবের দাবি

ছবি

স্ত্রী-সন্তানসহ কাজী জাফর উল্যাহর আয়কর নথি সিআইডিকে দিতে নির্দেশ

ছবি

ধানমন্ডি ৩২ এর নিরাপত্তায় সেনা-পুলিশ-বিজিবি

ছবি

নজরুল ইসলাম মজুমদারের পূর্বাচলের জমি ও ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ

ছবি

চলতি বছরে ঢাকায় ১৯৮ খুন, রহস্য উদঘাটনে আশাবাদী ডিএমপি

ছবি

৩২ নম্বরে এক্সকেভেটর, পুলিশ-সেনার লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড

ছবি

স্বজনরা সন্তুষ্ট তবে পুরোপুরি নয়

ছবি

পল্লবীতে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

ছবি

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সংলগ্ন মিরপুর সড়কে পুলিশের পিকআপে হামলা, উত্তেজনা রোধে সেনা মোতায়েন

ছবি

উত্তরায় নাদিম হাসানের মাইক্রোবাসে আগুন

ছবি

২১ নভেম্বর সেনানিবাসে যান চলাচল সীমিত থাকবে

ছবি

আগুন-ককটেল: হামলাকারীকে গুলির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের

ছবি

রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে ককটেল বিস্ফোরণ: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে হামলা

ছবি

লাগেজ ভ্যান কেনায় ৩৫৮ কোটি টাকার ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষতি’: রেলের সাবেক ডিজিসহ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

যানবাহনে আগুন ও ককটেল হামলায় গুলির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের

tab

বন্যা, খরা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু জাতের উদ্ভাবনের দিকে জোর কৃষিমন্ত্রীর

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২২ জুন ২০২২

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন সমগ্র বিশ্বের সমস্যা হলেও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে এর ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হয়। এ থেকে বাঁচতে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার মতো নতুন জাতের খাদ্য-শস্যের জাতের উদ্ভাবন করার ওপর জোর দিতে হবে।

বুধবার (২২ জুন) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আঞ্চলিক আন্তঃসরকার সংস্থা সাউথ এশিয়া কো অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর নাইট্রোজেন দূষণ নীতি ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় আলোচকরা এসব বিষয়ের ওপর গুরুত্বাররোপ করেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বিজ্ঞানীরা এ অঞ্চলে নাইট্রোজেন দূষণের ওপর বিদ্যমান নীতির ওপর একটি আঞ্চলিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

দুর্যোগকালীন সময়ে করণীয় হিসেবে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার পরামর্শ দেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘পরিবেশের সঙ্গে অ্যাডাপ্ট (মানিয়ে নেয়া) করতে হবে। সেটি আমাদের জন্য খুবই ইম্পর্ট্যান্ট (গুরুত্বপূর্ণ)।’

পরিবেশ বির্পজয় হলে ধান পানির নিচে চলে যাবে, লবণাক্ততা বাড়বে, খরা বাড়বে। এগুলোর জন্য স্ট্রেস রেসিস্ট্যান্ট ধানের জাত, বিভিন্ন ফসলের জাত আমাদের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার করতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

জমিতে নাইট্রোজেনের ঘাটতির বিপদ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘নাইট্রোজেন ৬০-৭০% লস হয়ে যাচ্ছে। এটা কিন্তু তাড়াতাড়ি উড়ে যায় বাতাসে। এটাকে কমিয়ে আনতে হবে। এফিসিয়েন্সি লেভেল বাংলাদেশে খুব-ই কম। মাত্র ৩০-৩৫%। আমরা চাচ্ছি যে এটাকে কীভাবে বাড়ানো যায় এবং এর জন্য রিজিওনাল কোঅপারেশন খুবই ইম্পর্ট্যান্ট এবং আমি মনে করি সাসেপের সদস্য মেম্বার কান্ট্রিরা সবাই মিলে একটা ভালো পলিসি নেবে। যাতে করে নাইট্রোজেন ইফিশিয়েন্সি আমরা বাড়াতে পারি।’

কৃষি দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের প্রধান জীবিকা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ফসল উৎপাদন এবং পরিবেশ দূষণ রোধে নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনা খুবই ‘চ্যালেঞ্জিং’।’

উপমহাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিতে টেকসই নাইট্রোজেন ব্যবস্থাপনার বিকাশে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সুসংহতভাবে কাজ করার ‘এখনই সময়’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভারত এবং অন্যান্য দেশ পরিবেশের প্রতি ‘কমিটেড’ মন্তব্য করে আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ তো এক্সট্রিমলি ভালনারেবল টু ক্লাইমেট চেইঞ্জ। কাজেই আমাদেরকে সঠিক পথ গ্রহণ করতে হবে।’

ওই অনুষ্ঠানে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি দেখে সরকারের পুনর্বাসন কর্মসূচি নেয়ার কথাজানান মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ‘এখন কোন মেজর ফসল নাই। তবে বাংলাদেশে এই সময়ে তো বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাহলে আমনের একটাই (সম্ভাবনা) রয়েছে ক্ষতি হওয়ার। তারপর আউশও ক্ষতি হচ্ছে। এগুলা দেখে আমরা পুনর্বাসন কর্মসূচি।’

বাংলাদেশের প্রতিবেদন তুলে ধরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার পরিবেশ দূষণ, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নাইট্রোজ দূষণের বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজে পেতে বিজ্ঞানী এবং নীতি নির্ধারকদের সম্মিলিত কাজে ওপর গুরুত্ব দেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং সাউথ এশিয়া কো অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের মহাপরিচালক ড. মাসুমুর রহমান বলেন ‘নাট্রোজেন দূষণ মোকাবেলায় প্রমাণ-ভিত্তিক নীতিমালা তৈরির জন্য দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতার একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত এটি।’ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্যের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রজার জেফারি হানান, ইউকে সেন্টার ফর ইকোলজি অ্যান্ড হাইড্রোলজির অধ্যাপক মার্ক সুটন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান ।

বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য সাময়িকী ‘ল্যানসেট’ তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে যেসব রোগের প্রকোপ দেখা দিতে পারে এরমধ্যে সংক্রমণ ও কীটপতঙ্গবাহিত রোগের ধরণে পরিবর্তন আসবে, তাপপ্রবাহে মৃতের সংখ্যা বাড়বে, জলোচ্ছ্বাস-ঘূর্ণিঝড়

কালবৈশাখী ইত্যাদিতে আক্রান্ত হয়ে সরাসরি জখমের সংখ্যাও বাড়বে।

back to top