নিরাপদ সড়ক চাই
ফের সায়েন্সল্যাবের মোড়ে অবরোধ-বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার চার বছর পূর্তি উপলক্ষে ৭ দফা দাবিতে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা -সংবাদ
নিরাপদ সড়কের দাবিতে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাব, ঝিগাতলায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সে সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হেলমেট পরিহিত একদল যুবক ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও পথচারী আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনায় তখন মামলা হলেও আদৌ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পারেনি আনইশৃঙ্খলা বাহিনী। তাই চার বছর আগের হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে এবং এই হামলার চার বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল ও বয়েস কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। পরে তারা হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ধানমন্ডি মডেল থানার সামনে অবস্থান নেয়। গত বছর ও চলতি বছরের শুরুতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সড়কে নেমেছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক, যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই তাদের ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছিলেন তারা। উত্তপ্ত ছিল পুরো রাজধানী। বেশ কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর ফের নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজপথে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। দেখা যায়, দুপুরের দিকে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, হামলাকারীদের বিচার চাই, জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’ স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ওই এলাকায় এবং আশপাশের এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আশপাশের থানার পুলিশ সদস্যরা। তবে শিক্ষার্থীরা সেখানে অল্প সময় বিক্ষোভ করে চলে যান ধানমন্ডি থানায়।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম আপন বলেন, ২০১৮ সালে ৯ দফা দাবি পেশ করা হয়েছিল। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট মহল বিভিন্ন টালবাহানায় এখনও সেই ৯ দফা বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমরা চাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেন এই ৯ দফার পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, চার বছর আগে যারা নিরীহ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করেছিল, আজও তারা বিচারের মুখোমুখি হয়নি। আমরা তাদের বিচার দাবি করছি। ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট ধানমন্ডি থানার সায়েন্সল্যাব থেকে ঝিগাতলা পর্যন্ত সড়কে শিক্ষার্থীদের ওপর হেলমেট বাহিনী ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা হামলা করেছিল। হামলায় অসংখ্য শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ গুরুতর আহত হয়েছিল। তখন থেকেই আমরা এসব সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সরকার ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করেছে। আজ আমরা ধানমন্ডি থানায় এসেছি এবং এখানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জমা দেব যেন দ্রুত সময়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি হলো- দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে শিক্ষার্থীসহ সব সড়ক হত্যার বিচার করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের দায়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহলকে নিতে হবে এবং পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; ঢাকাসহ সারাদেশে সব গণপরিবহনে (সড়ক, নৌ, রেল ও আসন্ন মেট্রোরেল) শিক্ষার্থীদের জন্য শর্তহীন হাফ পাস নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে; যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য গণপরিবহনের মানোন্নয়ন ও জনসাধারণের চলাচলের জন্য ফুটপাত, ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
সর্বোপরি ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন ও স্বয়ংক্রিয়করণসহ পরিকল্পিত নগরায়ণ নিশ্চিত করতে হবে; পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ, কর্মঘণ্টা ও নির্দিষ্ট মাসিক বেতন নির্ধারণ এবং সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সব যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকের যথাযথ পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে; গণপরিবহনে সংরক্ষিত আসন ও নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক কার্যকরী জরুরি হেল্পলাইন সেন্টার গড়ে তুলতে হবে; বৈধ ও অবৈধ যানবাহন চালকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধতার আওতায় আনতে হবে এবং বিআরটিএর সব কর্মকান্ডের ওপর নজরদারি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে; দেশের প্রতিটি রুটে পর্যাপ্ত মানসম্মত রাষ্ট্রায়াত্ত গণপরিবহন নিশ্চিত করতে হবে এবং ব্যক্তিগত যানবাহন সীমিতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে; ট্রাফিক আইনের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে এবং সব গণপরিবহনে সরকারিভাবে ধার্যকৃত ভাড়া নিশ্চিতকরণ ও কাউন্টারভিত্তিক টিকেট সিস্টেম চালুর মাধ্যমে যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা।
ধানমন্ডি থানার ওসি একরামুল হক বলেন, বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী দুপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে তাদের একটি প্রতিনিধি দল থানায় এসে একটি স্মারক পেশ করে। সেখানে ২০১৮ সালে সড়ক আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না হওয়ার বিষয়টি তারা তুলে ধরেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছিল। এতে সড়কে তেমন একটা যানজটের সৃষ্টি হয়নি বলেও জানিয়েছেন ওসি।
 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            নিরাপদ সড়ক চাই
ফের সায়েন্সল্যাবের মোড়ে অবরোধ-বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার চার বছর পূর্তি উপলক্ষে ৭ দফা দাবিতে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৪ আগস্ট ২০২২
নিরাপদ সড়কের দাবিতে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাব, ঝিগাতলায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সে সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হেলমেট পরিহিত একদল যুবক ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও পথচারী আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনায় তখন মামলা হলেও আদৌ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পারেনি আনইশৃঙ্খলা বাহিনী। তাই চার বছর আগের হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে এবং এই হামলার চার বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল ও বয়েস কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। পরে তারা হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ধানমন্ডি মডেল থানার সামনে অবস্থান নেয়। গত বছর ও চলতি বছরের শুরুতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সড়কে নেমেছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক, যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই তাদের ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছিলেন তারা। উত্তপ্ত ছিল পুরো রাজধানী। বেশ কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর ফের নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজপথে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। দেখা যায়, দুপুরের দিকে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, হামলাকারীদের বিচার চাই, জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’ স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ওই এলাকায় এবং আশপাশের এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আশপাশের থানার পুলিশ সদস্যরা। তবে শিক্ষার্থীরা সেখানে অল্প সময় বিক্ষোভ করে চলে যান ধানমন্ডি থানায়।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম আপন বলেন, ২০১৮ সালে ৯ দফা দাবি পেশ করা হয়েছিল। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট মহল বিভিন্ন টালবাহানায় এখনও সেই ৯ দফা বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমরা চাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেন এই ৯ দফার পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, চার বছর আগে যারা নিরীহ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করেছিল, আজও তারা বিচারের মুখোমুখি হয়নি। আমরা তাদের বিচার দাবি করছি। ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট ধানমন্ডি থানার সায়েন্সল্যাব থেকে ঝিগাতলা পর্যন্ত সড়কে শিক্ষার্থীদের ওপর হেলমেট বাহিনী ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা হামলা করেছিল। হামলায় অসংখ্য শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ গুরুতর আহত হয়েছিল। তখন থেকেই আমরা এসব সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সরকার ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করেছে। আজ আমরা ধানমন্ডি থানায় এসেছি এবং এখানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জমা দেব যেন দ্রুত সময়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি হলো- দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে শিক্ষার্থীসহ সব সড়ক হত্যার বিচার করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের দায়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহলকে নিতে হবে এবং পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; ঢাকাসহ সারাদেশে সব গণপরিবহনে (সড়ক, নৌ, রেল ও আসন্ন মেট্রোরেল) শিক্ষার্থীদের জন্য শর্তহীন হাফ পাস নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে; যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য গণপরিবহনের মানোন্নয়ন ও জনসাধারণের চলাচলের জন্য ফুটপাত, ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
সর্বোপরি ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন ও স্বয়ংক্রিয়করণসহ পরিকল্পিত নগরায়ণ নিশ্চিত করতে হবে; পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ, কর্মঘণ্টা ও নির্দিষ্ট মাসিক বেতন নির্ধারণ এবং সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সব যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকের যথাযথ পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে; গণপরিবহনে সংরক্ষিত আসন ও নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক কার্যকরী জরুরি হেল্পলাইন সেন্টার গড়ে তুলতে হবে; বৈধ ও অবৈধ যানবাহন চালকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধতার আওতায় আনতে হবে এবং বিআরটিএর সব কর্মকান্ডের ওপর নজরদারি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে; দেশের প্রতিটি রুটে পর্যাপ্ত মানসম্মত রাষ্ট্রায়াত্ত গণপরিবহন নিশ্চিত করতে হবে এবং ব্যক্তিগত যানবাহন সীমিতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে; ট্রাফিক আইনের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে এবং সব গণপরিবহনে সরকারিভাবে ধার্যকৃত ভাড়া নিশ্চিতকরণ ও কাউন্টারভিত্তিক টিকেট সিস্টেম চালুর মাধ্যমে যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা।
ধানমন্ডি থানার ওসি একরামুল হক বলেন, বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী দুপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে তাদের একটি প্রতিনিধি দল থানায় এসে একটি স্মারক পেশ করে। সেখানে ২০১৮ সালে সড়ক আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না হওয়ার বিষয়টি তারা তুলে ধরেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছিল। এতে সড়কে তেমন একটা যানজটের সৃষ্টি হয়নি বলেও জানিয়েছেন ওসি।
