ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা ও সংগঠক মাইকেল চাকমা ২০১৯ সালে গুমের শিকার হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে মৌখিকভাবে এ অভিযোগ করেন তিনি।
গুমের শিকার হওয়ার পর পাঁচ বছরেরও বেশি সময় নিখোঁজ থাকার পর চলতি বছরের ৭ আগস্ট তিনি মুক্তি পান। মুক্তির পর তিনি শেখ হাসিনাকে এ গুমের প্রধান দায়ী হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং আরও যারা জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
মাইকেল চাকমা ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। সে সময় তিনি সাংগঠনিক কাজ শেষ করে ঢাকায় ফিরছিলেন। গুমের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মাইকেল বলেন, ঢাকার কল্যাণপুরে একটি জায়গায় পেছন থেকে কেউ তার নাম ধরে ডাকেন। তিনি ফিরে তাকাতেই কয়েকজন তাকে জাপটে ধরে জামার কলার, কোমরের বেল্ট এবং হাত চেপে ধরে। দ্রুত একটি গাড়ি এসে তাকে তোলার পর চোখে কালো কাপড় বেঁধে এবং হাতে হাতকড়া পরিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
গাড়িতে ওঠার আগ মুহূর্তে তিনি চালকের পাশে একটি ওয়াকিটকি এবং পেছনের সিটে কয়েকটি বাটন ফোন দেখতে পান। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর তিন মাস ২৭ দিন তিনি বন্দি অবস্থায় কাটান। সেই সময়টিতে একাধিকবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে প্রশ্ন করা হয়, কেন তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি গ্রহণ করেননি। তার বিরোধিতা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়।
মাইকেল চাকমা বলেন, "আমি কী গ্রহণ করব আর কী করব না, সেটার অধিকার আমার রয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা গুম, খুন ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে বিরোধী কণ্ঠস্বর দমন করে আজীবন ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছেন।"
মাইকেল চাকমার নিখোঁজ হওয়ার পর তার মুক্তির দাবিতে ইউপিডিএফ, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, শিক্ষক, নাগরিক সমাজ এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হয়। এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে।
তার পরিবারের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশনও দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের একটি জায়গায় মাইকেল চাকমাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে, শেখ হাসিনার সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক দমন-পীড়নের অভিযোগ ওঠে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, মাইকেল চাকমার মৌখিক অভিযোগ তারা গ্রহণ করেছেন এবং তদন্ত শুরু করবেন। তিনি বলেন, "গোপন বন্দিশালায় তাকে দীর্ঘদিন আটক রাখা হয়েছিল, যা আন্তর্জাতিক আইনে অপরাধ। অভিযোগের তদন্ত শেষে আদালতের কাছে বিচার উপস্থাপন করা হবে।"
তিনি আরও বলেন, "মাইকেল চাকমার অভিযোগ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বিগত সরকারের আমলে পদ্ধতিগতভাবে গুমের শিকার হয়েছেন তিনি। একই বিষয়ে তিনি গুম কমিশনের কাছেও অভিযোগ করেছেন।"
মাইকেল চাকমা দাবি করেন, ২০১৩ সালে খাগড়াছড়িতে শেখ হাসিনা একটি সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন। সেদিন তাদের ছাত্র সংগঠন অবরোধ পালন করেছিল। সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল দুপুর ২টায়, কিন্তু অবরোধের কারণে তা বিকেল ৪টায় শুরু হয়। সমাবেশে শেখ হাসিনা তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে এই ধরনের গুমের ঘটনা ছিল বিরোধী আন্দোলন দমনের একটি প্রধান হাতিয়ার। সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর সহায়তায় এই গুমের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে তার দাবি।
মাইকেল চাকমা বলেন, "আমি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনাকে প্রধান দায়ী মনে করি। তার সহযোগীরা যারা ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দেব।"
চিফ প্রসিকিউটর জানান, মাইকেল চাকমার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা তদন্ত করবেন এবং গুমের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করবেন। গুমের ঘটনায় এর আগেও শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সরকার পতনের আগে ব্যাপক দমন-পীড়ন, গুম এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশ জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানের চাপে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। এর মধ্য দিয়ে টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এরপরই মাইকেল চাকমার মুক্তি এবং তার অভিযোগ দায়েরের ঘটনা সামনে আসে।
মাইকেল চাকমার সঙ্গে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও তার স্ত্রী অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ। তারা এ ঘটনায় দ্রুত বিচার এবং গুমের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানান।
শহিদুল আলম বলেন, "গুম একটি ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন। যারা এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা উচিত।"
মাইকেল চাকমার অভিযোগের তদন্তে নতুন করে গুমের শিকার হওয়া অন্যান্য ব্যক্তিদের বিষয়েও আলোকপাত হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন মানবাধিকার কর্মীরা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মাইকেল চাকমার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গুমের বিচার কতদূর অগ্রসর হয়, তা এখন সময়ই বলে দেবে।
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা ও সংগঠক মাইকেল চাকমা ২০১৯ সালে গুমের শিকার হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে মৌখিকভাবে এ অভিযোগ করেন তিনি।
গুমের শিকার হওয়ার পর পাঁচ বছরেরও বেশি সময় নিখোঁজ থাকার পর চলতি বছরের ৭ আগস্ট তিনি মুক্তি পান। মুক্তির পর তিনি শেখ হাসিনাকে এ গুমের প্রধান দায়ী হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং আরও যারা জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
মাইকেল চাকমা ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। সে সময় তিনি সাংগঠনিক কাজ শেষ করে ঢাকায় ফিরছিলেন। গুমের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মাইকেল বলেন, ঢাকার কল্যাণপুরে একটি জায়গায় পেছন থেকে কেউ তার নাম ধরে ডাকেন। তিনি ফিরে তাকাতেই কয়েকজন তাকে জাপটে ধরে জামার কলার, কোমরের বেল্ট এবং হাত চেপে ধরে। দ্রুত একটি গাড়ি এসে তাকে তোলার পর চোখে কালো কাপড় বেঁধে এবং হাতে হাতকড়া পরিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
গাড়িতে ওঠার আগ মুহূর্তে তিনি চালকের পাশে একটি ওয়াকিটকি এবং পেছনের সিটে কয়েকটি বাটন ফোন দেখতে পান। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর তিন মাস ২৭ দিন তিনি বন্দি অবস্থায় কাটান। সেই সময়টিতে একাধিকবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে প্রশ্ন করা হয়, কেন তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি গ্রহণ করেননি। তার বিরোধিতা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়।
মাইকেল চাকমা বলেন, "আমি কী গ্রহণ করব আর কী করব না, সেটার অধিকার আমার রয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা গুম, খুন ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে বিরোধী কণ্ঠস্বর দমন করে আজীবন ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছেন।"
মাইকেল চাকমার নিখোঁজ হওয়ার পর তার মুক্তির দাবিতে ইউপিডিএফ, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, শিক্ষক, নাগরিক সমাজ এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হয়। এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে।
তার পরিবারের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশনও দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের একটি জায়গায় মাইকেল চাকমাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে, শেখ হাসিনার সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক দমন-পীড়নের অভিযোগ ওঠে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, মাইকেল চাকমার মৌখিক অভিযোগ তারা গ্রহণ করেছেন এবং তদন্ত শুরু করবেন। তিনি বলেন, "গোপন বন্দিশালায় তাকে দীর্ঘদিন আটক রাখা হয়েছিল, যা আন্তর্জাতিক আইনে অপরাধ। অভিযোগের তদন্ত শেষে আদালতের কাছে বিচার উপস্থাপন করা হবে।"
তিনি আরও বলেন, "মাইকেল চাকমার অভিযোগ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বিগত সরকারের আমলে পদ্ধতিগতভাবে গুমের শিকার হয়েছেন তিনি। একই বিষয়ে তিনি গুম কমিশনের কাছেও অভিযোগ করেছেন।"
মাইকেল চাকমা দাবি করেন, ২০১৩ সালে খাগড়াছড়িতে শেখ হাসিনা একটি সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন। সেদিন তাদের ছাত্র সংগঠন অবরোধ পালন করেছিল। সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল দুপুর ২টায়, কিন্তু অবরোধের কারণে তা বিকেল ৪টায় শুরু হয়। সমাবেশে শেখ হাসিনা তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে এই ধরনের গুমের ঘটনা ছিল বিরোধী আন্দোলন দমনের একটি প্রধান হাতিয়ার। সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর সহায়তায় এই গুমের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে তার দাবি।
মাইকেল চাকমা বলেন, "আমি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনাকে প্রধান দায়ী মনে করি। তার সহযোগীরা যারা ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দেব।"
চিফ প্রসিকিউটর জানান, মাইকেল চাকমার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা তদন্ত করবেন এবং গুমের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করবেন। গুমের ঘটনায় এর আগেও শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সরকার পতনের আগে ব্যাপক দমন-পীড়ন, গুম এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশ জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানের চাপে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। এর মধ্য দিয়ে টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এরপরই মাইকেল চাকমার মুক্তি এবং তার অভিযোগ দায়েরের ঘটনা সামনে আসে।
মাইকেল চাকমার সঙ্গে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও তার স্ত্রী অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ। তারা এ ঘটনায় দ্রুত বিচার এবং গুমের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানান।
শহিদুল আলম বলেন, "গুম একটি ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন। যারা এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা উচিত।"
মাইকেল চাকমার অভিযোগের তদন্তে নতুন করে গুমের শিকার হওয়া অন্যান্য ব্যক্তিদের বিষয়েও আলোকপাত হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন মানবাধিকার কর্মীরা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মাইকেল চাকমার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গুমের বিচার কতদূর অগ্রসর হয়, তা এখন সময়ই বলে দেবে।