জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সালমা আক্তার (ছদ্মনাম) ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা এপিবিএন-২ অফিসে সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ করে বলেন,ইবতিয়াজ আহমদ ফুয়াদ নামে এক যুবকের সঙ্গে ৬ মাস আগে তার পরিচয় হয়। সেই সুবাধে প্রথমে তারা ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে কথাবার্তা বলত। কিছুদিন পর তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে নিয়মিত কথাবার্তা বলা হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের মধ্যে মাঝে মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ হতো।
গত ৩ মাস আগে অভিযুক্ত ফুয়াদ ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য রাজশাহী হতে ময়মনসিংহে যায়। এরপর ছাত্রীকে জোর করে একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে তার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও করতে বাধ্য হয়।
কিছুদিন পর অভিযুক্ত যুবক ছাত্রীর কাছে টাকা চাওয়া শুরু করে। ছাত্রী টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার কাছে থাকা ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় ভীতি দেখাত।
ছাত্রী তার ও পরিবারের মান সম্মানের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় ৪০ হাজার টাকা ও এক ভরি ওজনের স্বর্ণের কানের দুল ও গলার চেইন দিয়ে দেয়। যার মূল্য প্রায় ৯০ হ্্াজার টাকা।
এরপরও অভিযুক্ত যুবক মোবাইল ফোনে নানা ভাবে ছাত্রীকে আপত্তিকর প্রস্তাব দিত। ছাত্রী তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এবং চাহিদা মত টাকা না দেয়ায় অভিযুক্ত যুবক আবার ছবি ভাইরাল করার হুমকি দেয়। এরপর আপত্তিকর ছবি ফেইসবুকে পোষ্ট করে।
পরবর্তীতে ওই ছাত্রী পরিবারের সঙ্গে আলোজনা করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। তারা ওই ছাত্রীকে ২ এপিবিএন মুক্তাগাছা ময়মনসিংহের সাইবার ক্রাইম শাখায় যোগাযোগ করতে বলে।
২ এপিবিএনের অধিনায়ক আলী আহমদ খানের নির্দেশে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্ত যুবকের অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর ৩১ ডিসেম্বব মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানাধীন পৌরসভাস্থ ৮ নং ওয়ার্ডের দরিরামপুর এলাকা থেকে আসামি ইবতিয়াজ আহমেদ ফুয়াদকে গ্রেফতার করে।
তাৎক্ষণিক ভাবে তার দেহ তল্লাশি করে তার ব্যবহ্নত মোবাইল ফোন জব্দ করে। ওই মোবাইল ফোন থেকে ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করে।
অভিযুক্ত যুবক ইবতিয়াজ আহমেদ ফুয়াদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ ত্রিশাল থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সালমা আক্তার (ছদ্মনাম) ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা এপিবিএন-২ অফিসে সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ করে বলেন,ইবতিয়াজ আহমদ ফুয়াদ নামে এক যুবকের সঙ্গে ৬ মাস আগে তার পরিচয় হয়। সেই সুবাধে প্রথমে তারা ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে কথাবার্তা বলত। কিছুদিন পর তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে নিয়মিত কথাবার্তা বলা হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের মধ্যে মাঝে মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ হতো।
গত ৩ মাস আগে অভিযুক্ত ফুয়াদ ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য রাজশাহী হতে ময়মনসিংহে যায়। এরপর ছাত্রীকে জোর করে একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে তার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও করতে বাধ্য হয়।
কিছুদিন পর অভিযুক্ত যুবক ছাত্রীর কাছে টাকা চাওয়া শুরু করে। ছাত্রী টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার কাছে থাকা ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় ভীতি দেখাত।
ছাত্রী তার ও পরিবারের মান সম্মানের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় ৪০ হাজার টাকা ও এক ভরি ওজনের স্বর্ণের কানের দুল ও গলার চেইন দিয়ে দেয়। যার মূল্য প্রায় ৯০ হ্্াজার টাকা।
এরপরও অভিযুক্ত যুবক মোবাইল ফোনে নানা ভাবে ছাত্রীকে আপত্তিকর প্রস্তাব দিত। ছাত্রী তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এবং চাহিদা মত টাকা না দেয়ায় অভিযুক্ত যুবক আবার ছবি ভাইরাল করার হুমকি দেয়। এরপর আপত্তিকর ছবি ফেইসবুকে পোষ্ট করে।
পরবর্তীতে ওই ছাত্রী পরিবারের সঙ্গে আলোজনা করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। তারা ওই ছাত্রীকে ২ এপিবিএন মুক্তাগাছা ময়মনসিংহের সাইবার ক্রাইম শাখায় যোগাযোগ করতে বলে।
২ এপিবিএনের অধিনায়ক আলী আহমদ খানের নির্দেশে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্ত যুবকের অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর ৩১ ডিসেম্বব মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানাধীন পৌরসভাস্থ ৮ নং ওয়ার্ডের দরিরামপুর এলাকা থেকে আসামি ইবতিয়াজ আহমেদ ফুয়াদকে গ্রেফতার করে।
তাৎক্ষণিক ভাবে তার দেহ তল্লাশি করে তার ব্যবহ্নত মোবাইল ফোন জব্দ করে। ওই মোবাইল ফোন থেকে ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করে।
অভিযুক্ত যুবক ইবতিয়াজ আহমেদ ফুয়াদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ ত্রিশাল থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।