ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় পরিবেশ আইন উপেক্ষা করে বছরের পর বছর ধরে পরিচালিত হচ্ছে ইটভাটার কার্যক্রম। এসব ভাটার কারণে এলাকায় বায়ুদূষণ বেড়েছে। ইটভাটার সুবিধার্থে মাটি দিয়ে ভরাট করে তিতাসের বুক চিরে তৈরি করা হয়েছে রাস্তা। ফলে নদীর স্বাভাবিক পরিবেশ ও জলপ্রবাহ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কসবা এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, ‘কসবা ব্রিকস’ নামে একটি ইটভাটা জনবসতির একেবারে কাছাকাছি স্থাপিত। এর পাশেই একটি বিদ্যালয় রয়েছে। ইটভাটার কালো ধোঁয়া আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। স্থানীয় বাসিন্দারা ভাটার মালিকের প্রভাবশালী পরিচয়ের কারণে মুখ খুলতে সাহস পান না।
আখাউড়ার উজানিসার ব্রিজের কাছ থেকে দেখা যায়, তিতাস নদীর পাড় দখল করে মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। মাটি দিয়ে ভরাট করে নদীর বুক চিরে রাস্তা তৈরি করে ‘মেসার্স সনি ব্রিকস’ ও ‘নিরা ব্রিকসসহ কয়েকটি ইটভাটা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
উজানিসার এলাকার বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তিতাস নদী আমাদের জীবনরেখা। এখানকার ইটভাটাগুলো নদীর পাড় দখল করে রাস্তা বানিয়েছে। যদি এভাবে নদী দখল চলতে থাকে, কয়েক বছরের মধ্যে তিতাসের অস্তিত্ব থাকবে না।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যলয়ে এই বিষয় জানতে চাইলে তারা জানান, ২০২৪ সালের ২৭ মার্চ কসবা ব্রিকসকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইসমাইল একজন ছাত্রলীগ নেতা এবং সাবেক আইনমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জরিমানার টাকা জমা দেননি। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট নতুন করে চিঠি দেয়া হলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সাল থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নবায়ন করেনি। তথ্য অনুযায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১৭৭টি ইটভাটার মধ্যে ১০৭টিই অনুমোদনহীন। এসব ভাটায় নিম্নœমানের কয়লা ব্যবহার করে ইট পোড়ানোর কারণে ব্যাপক বায়ুদূষণ ঘটছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, ‘যদি ইটভাটাগুলো পরিবেশ আইনের নিয়ম পূরণ করতে পারে, তাহলে তাদের কার্যক্রম চলতে দেয়া হবে। অন্যথায়, অবৈধ ভাটাগুলো ধ্বংস করার নির্দেশনা আমাদের দেয়া আছে।’
শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় পরিবেশ আইন উপেক্ষা করে বছরের পর বছর ধরে পরিচালিত হচ্ছে ইটভাটার কার্যক্রম। এসব ভাটার কারণে এলাকায় বায়ুদূষণ বেড়েছে। ইটভাটার সুবিধার্থে মাটি দিয়ে ভরাট করে তিতাসের বুক চিরে তৈরি করা হয়েছে রাস্তা। ফলে নদীর স্বাভাবিক পরিবেশ ও জলপ্রবাহ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কসবা এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, ‘কসবা ব্রিকস’ নামে একটি ইটভাটা জনবসতির একেবারে কাছাকাছি স্থাপিত। এর পাশেই একটি বিদ্যালয় রয়েছে। ইটভাটার কালো ধোঁয়া আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। স্থানীয় বাসিন্দারা ভাটার মালিকের প্রভাবশালী পরিচয়ের কারণে মুখ খুলতে সাহস পান না।
আখাউড়ার উজানিসার ব্রিজের কাছ থেকে দেখা যায়, তিতাস নদীর পাড় দখল করে মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। মাটি দিয়ে ভরাট করে নদীর বুক চিরে রাস্তা তৈরি করে ‘মেসার্স সনি ব্রিকস’ ও ‘নিরা ব্রিকসসহ কয়েকটি ইটভাটা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
উজানিসার এলাকার বাসিন্দা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তিতাস নদী আমাদের জীবনরেখা। এখানকার ইটভাটাগুলো নদীর পাড় দখল করে রাস্তা বানিয়েছে। যদি এভাবে নদী দখল চলতে থাকে, কয়েক বছরের মধ্যে তিতাসের অস্তিত্ব থাকবে না।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যলয়ে এই বিষয় জানতে চাইলে তারা জানান, ২০২৪ সালের ২৭ মার্চ কসবা ব্রিকসকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইসমাইল একজন ছাত্রলীগ নেতা এবং সাবেক আইনমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জরিমানার টাকা জমা দেননি। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট নতুন করে চিঠি দেয়া হলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সাল থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নবায়ন করেনি। তথ্য অনুযায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১৭৭টি ইটভাটার মধ্যে ১০৭টিই অনুমোদনহীন। এসব ভাটায় নিম্নœমানের কয়লা ব্যবহার করে ইট পোড়ানোর কারণে ব্যাপক বায়ুদূষণ ঘটছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, ‘যদি ইটভাটাগুলো পরিবেশ আইনের নিয়ম পূরণ করতে পারে, তাহলে তাদের কার্যক্রম চলতে দেয়া হবে। অন্যথায়, অবৈধ ভাটাগুলো ধ্বংস করার নির্দেশনা আমাদের দেয়া আছে।’