চট্টগ্রামে ১৩ প্রকল্পের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ১৩টি প্রকল্পে সম্ভাব্য অনিয়ম খুঁজে বের করার জন্য কাজ শুরু করেছে। শনিবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা সিডিএ কার্যালয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন।
তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প :
যেসব প্রকল্প নিয়ে তদন্ত চলছে, সেগুলোর মোট ব্যয় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ছয়টি প্রকল্প ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং সাতটির কাজ এখনো চলছে। তদন্ত কমিটির প্রধান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, “আমরা প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু করেছি। প্রকল্প পরিচালকদের থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আরও অগ্রগতি আগামী সপ্তাহে জানানো যাবে।”
তদন্তের আওতায় থাকা প্রকল্পগুলো হলো:
লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার
মুরাদপুর ফ্লাইওভার
কদমতলী ফ্লাইওভার
নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প
কালুরঘাট থেকে চাক্তাই পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্প
বাকলিয়া সংযোগ সড়ক
সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্প
সিডিএ স্কয়ার প্রকল্প
কল্পতরু প্রকল্প
সল্টগোলা ডরমেটরি প্রকল্প
বায়েজিদ লিংক রোড
চট্টগ্রাম মহানগরীর মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন প্রকল্প।
বিশেষ করে লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে অনিয়ম নিয়ে আগের সরকার আমলেই প্রশ্ন উঠেছিল। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির উপকমিটি প্রকল্প পরিদর্শন করে ‘অসঙ্গতি’ চিহ্নিত করেছিল।
সিডিএ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়োগ দেওয়া শুরু হয়। সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের আমলে ১৩টি প্রকল্প নেওয়া হয়। যদিও পরে আরও দুই চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ও মোহাম্মদ ইউনুসের মেয়াদে নতুন কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি, তবে আগের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত এই কমিটির সদস্য সচিব সিডিএ’র সচিব রবীন্দ্র চাকমা। অন্য সদস্যরা হলেন- মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাজমুল আলম, সিডিএ বোর্ড সদস্য স্থপতি জেরিনা হোসাইন এবং অ্যাডভোকেট সৈয়দ কুদরত আলী।
তদন্ত কমিটি প্রকল্পগুলোর কাজ বাস্তবায়নের তথ্য বিশ্লেষণ করবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কী কী কাজ হয়নি এবং কেন হয়নি, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তদুপরি, প্রকল্প গ্রহণের প্রেক্ষাপট, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভূমিকা, এবং ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়াও খতিয়ে দেখা হবে।
তদন্ত কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কমিটি প্রয়োজনে কারিগরি বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মতামত নেবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা প্রকল্প পরিচালকদের থেকে বিস্তারিত নথি চেয়েছেন। শনিবার প্রকল্প এলাকাগুলো পরিদর্শনের সময় সংশ্লিষ্টদের চাপে প্রকল্প নেওয়ার বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
সিডিএ’র ১৩টি প্রকল্পের সম্ভাব্য অনিয়ম তদন্তে গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ ক্ষমতার পালাবদলের পর স্বচ্ছতা নিশ্চিতের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তদন্তে প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো গাফিলতি বা দুর্নীতি প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামে ১৩ প্রকল্পের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ১৩টি প্রকল্পে সম্ভাব্য অনিয়ম খুঁজে বের করার জন্য কাজ শুরু করেছে। শনিবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা সিডিএ কার্যালয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন।
তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প :
যেসব প্রকল্প নিয়ে তদন্ত চলছে, সেগুলোর মোট ব্যয় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ছয়টি প্রকল্প ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং সাতটির কাজ এখনো চলছে। তদন্ত কমিটির প্রধান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, “আমরা প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু করেছি। প্রকল্প পরিচালকদের থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আরও অগ্রগতি আগামী সপ্তাহে জানানো যাবে।”
তদন্তের আওতায় থাকা প্রকল্পগুলো হলো:
লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার
মুরাদপুর ফ্লাইওভার
কদমতলী ফ্লাইওভার
নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প
কালুরঘাট থেকে চাক্তাই পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্প
বাকলিয়া সংযোগ সড়ক
সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্প
সিডিএ স্কয়ার প্রকল্প
কল্পতরু প্রকল্প
সল্টগোলা ডরমেটরি প্রকল্প
বায়েজিদ লিংক রোড
চট্টগ্রাম মহানগরীর মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন প্রকল্প।
বিশেষ করে লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে অনিয়ম নিয়ে আগের সরকার আমলেই প্রশ্ন উঠেছিল। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির উপকমিটি প্রকল্প পরিদর্শন করে ‘অসঙ্গতি’ চিহ্নিত করেছিল।
সিডিএ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়োগ দেওয়া শুরু হয়। সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের আমলে ১৩টি প্রকল্প নেওয়া হয়। যদিও পরে আরও দুই চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ও মোহাম্মদ ইউনুসের মেয়াদে নতুন কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি, তবে আগের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত এই কমিটির সদস্য সচিব সিডিএ’র সচিব রবীন্দ্র চাকমা। অন্য সদস্যরা হলেন- মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাজমুল আলম, সিডিএ বোর্ড সদস্য স্থপতি জেরিনা হোসাইন এবং অ্যাডভোকেট সৈয়দ কুদরত আলী।
তদন্ত কমিটি প্রকল্পগুলোর কাজ বাস্তবায়নের তথ্য বিশ্লেষণ করবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কী কী কাজ হয়নি এবং কেন হয়নি, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তদুপরি, প্রকল্প গ্রহণের প্রেক্ষাপট, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভূমিকা, এবং ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়াও খতিয়ে দেখা হবে।
তদন্ত কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কমিটি প্রয়োজনে কারিগরি বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মতামত নেবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা প্রকল্প পরিচালকদের থেকে বিস্তারিত নথি চেয়েছেন। শনিবার প্রকল্প এলাকাগুলো পরিদর্শনের সময় সংশ্লিষ্টদের চাপে প্রকল্প নেওয়ার বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
সিডিএ’র ১৩টি প্রকল্পের সম্ভাব্য অনিয়ম তদন্তে গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ ক্ষমতার পালাবদলের পর স্বচ্ছতা নিশ্চিতের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তদন্তে প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো গাফিলতি বা দুর্নীতি প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।