পাঁচটি মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম মহানগর হাকিম আবু বকর সিদ্দিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতের সহকারী পিপি রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, আসামি চিন্ময় কৃষ্ণের পক্ষে তার আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলাসহ পাঁচটি মামলায় জামিনের আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে সব মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
এই পাঁচটি মামলা হলো—আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলা, গত বছরের ২৬ নভেম্বরের ঘটনায় ভাঙচুর-হামলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পুলিশের করা তিনটি মামলা এবং আলিফের ভাই খানে আলমের করা আরেকটি মামলা।
সহকারী পিপি জানান, ২৬ নভেম্বরের ঘটনায় পুলিশের করা তিনটি মামলায় এবং আলিফের ভাইয়ের করা একটি মামলায় গত ৬ মে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেয়া হয়। এর আগে আলিফ হত্যা মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ আসে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, পাঁচটি মামলায় চিন্ময়ের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না এবং তিনি পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। তিনি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত এবং তার চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। তাই তিনি আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর পর সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। বিক্ষোভের সময় কিছু যানবাহন ভাঙচুর করা হয় এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।
তৎপরবর্তী সময়ে পুলিশ তিনটি মামলা দায়ের করে। আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন ২৯ নভেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন। আলিফের ভাই খানে আলমও আইনজীবীদের ওপর হামলা, বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগে একটি মামলা করেন, যেখানে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী।
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
পাঁচটি মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম মহানগর হাকিম আবু বকর সিদ্দিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতের সহকারী পিপি রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, আসামি চিন্ময় কৃষ্ণের পক্ষে তার আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলাসহ পাঁচটি মামলায় জামিনের আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে সব মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
এই পাঁচটি মামলা হলো—আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলা, গত বছরের ২৬ নভেম্বরের ঘটনায় ভাঙচুর-হামলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পুলিশের করা তিনটি মামলা এবং আলিফের ভাই খানে আলমের করা আরেকটি মামলা।
সহকারী পিপি জানান, ২৬ নভেম্বরের ঘটনায় পুলিশের করা তিনটি মামলায় এবং আলিফের ভাইয়ের করা একটি মামলায় গত ৬ মে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেয়া হয়। এর আগে আলিফ হত্যা মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ আসে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, পাঁচটি মামলায় চিন্ময়ের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না এবং তিনি পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। তিনি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত এবং তার চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। তাই তিনি আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর পর সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। বিক্ষোভের সময় কিছু যানবাহন ভাঙচুর করা হয় এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।
তৎপরবর্তী সময়ে পুলিশ তিনটি মামলা দায়ের করে। আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন ২৯ নভেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করেন। আলিফের ভাই খানে আলমও আইনজীবীদের ওপর হামলা, বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগে একটি মামলা করেন, যেখানে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী।