ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নাম ব্যবহার করে ১৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে সিআইডি মানিলন্ডারিং আইনে পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার,(০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিআইডির কর্মকর্তা জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এ মামলা দায়ের করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোতাল্লেছ হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিজেকে খালেদা জিয়ার লিয়াজোঁ অফিসার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। তার নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২০ কোটি টাকার লেনদেনের প্রমাণও মিলেছে।
সিআইডির অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, মোতাল্লেছ হোসেনের এমএল ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান বাস্তবে অস্তিত্বহীন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও অনুসন্ধানকালে প্রতিষ্ঠানটির কোনো কার্যক্রম বা ঠিকাদারি, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ রয়েছে, মোতাল্লেছ হোসেন নিজেকে কখনও গার্মেন্টস মালিক, কখনও চা-বাগানের উদ্যোক্তা বা ঠিকাদারি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। পরে তিনি বিএনপির দলীয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বলে তার নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ ও আত্মসাৎ করেন।
বর্তমানে তার বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে থাকা ৫ কোটি ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮২ টাকা আদালতের আদেশে ফ্রিজ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গত ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী পল্লবী থানায় মামলা (নম্বর-১৯) দায়ের করা হয়।
মামলায় মোতাল্লেছ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নাম ব্যবহার করে ১৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে সিআইডি মানিলন্ডারিং আইনে পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার,(০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিআইডির কর্মকর্তা জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এ মামলা দায়ের করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোতাল্লেছ হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিজেকে খালেদা জিয়ার লিয়াজোঁ অফিসার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। তার নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২০ কোটি টাকার লেনদেনের প্রমাণও মিলেছে।
সিআইডির অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, মোতাল্লেছ হোসেনের এমএল ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান বাস্তবে অস্তিত্বহীন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও অনুসন্ধানকালে প্রতিষ্ঠানটির কোনো কার্যক্রম বা ঠিকাদারি, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ রয়েছে, মোতাল্লেছ হোসেন নিজেকে কখনও গার্মেন্টস মালিক, কখনও চা-বাগানের উদ্যোক্তা বা ঠিকাদারি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। পরে তিনি বিএনপির দলীয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বলে তার নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ ও আত্মসাৎ করেন।
বর্তমানে তার বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে থাকা ৫ কোটি ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮২ টাকা আদালতের আদেশে ফ্রিজ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গত ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী পল্লবী থানায় মামলা (নম্বর-১৯) দায়ের করা হয়।
মামলায় মোতাল্লেছ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।