ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শ্বশুর বাড়িতে ডেকে স্ত্রী তাছলিমা বেগমের পরিকল্পনায় করিম ভুইয়াকে ইসরাফিল, গোলাম হাক্কানী ও মোজাম্মেল হক তিন ভাই মিলে পিটিয়ে হত্যা করে। মরদেহ গুম করতে প্রথমে ফেলা হয় বাড়ির পাশের খালে। পরদিন মরদেহ ভেসে উঠায় তুলে ফেলে হয় সেপটিক ট্যাঙ্কে। কুমিল্লার দেবিদ্বারে চাঞ্চল্যকর করিম ভূঁইয়া হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশী তদন্ত ও আদালতে আসামীদের দেয়া জবানবন্দিতে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। গত রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার ওসি সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
পুলিশ জানায়, নিখোঁজের এক মাস পাঁচ দিন পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ির একটি টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে হাতমঙ্গলবার,(২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫)পা বাঁধা অবস্থায় করিম ভূঁইয়ার (৪৮) গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত করিম উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মৃত আবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি গত ১৩ আগস্ট সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তদন্তে বেরিয়ে আসে, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী তাছলিমা বেগম দীর্ঘদিন ধরে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভালো ব্যবহার করে করিমকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নেওয়া হয়। পরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পর নিহতের বড় ভাই আমির হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় করিমের স্ত্রী ও তিন শ্যালককে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে চার আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তদন্তে জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট রাতে তাছলিমার পরিকল্পনায় শ্যালক ইসরাফিল মাদক সেবনের প্রলোভন দেখিয়ে করিমকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নেয়। সেখানে তিন ভাই মিলে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ওসি সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, স্ত্রী ও শ্যালকেরা পরিকল্পিতভাবে করিমকে হত্যা করে। মাদক সেবনের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত করিম প্রায়ই স্ত্রী ও মেয়েকে নির্যাতন করতেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শ্বশুর বাড়িতে ডেকে স্ত্রী তাছলিমা বেগমের পরিকল্পনায় করিম ভুইয়াকে ইসরাফিল, গোলাম হাক্কানী ও মোজাম্মেল হক তিন ভাই মিলে পিটিয়ে হত্যা করে। মরদেহ গুম করতে প্রথমে ফেলা হয় বাড়ির পাশের খালে। পরদিন মরদেহ ভেসে উঠায় তুলে ফেলে হয় সেপটিক ট্যাঙ্কে। কুমিল্লার দেবিদ্বারে চাঞ্চল্যকর করিম ভূঁইয়া হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশী তদন্ত ও আদালতে আসামীদের দেয়া জবানবন্দিতে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। গত রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার ওসি সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
পুলিশ জানায়, নিখোঁজের এক মাস পাঁচ দিন পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ির একটি টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে হাতমঙ্গলবার,(২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫)পা বাঁধা অবস্থায় করিম ভূঁইয়ার (৪৮) গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত করিম উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মৃত আবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি গত ১৩ আগস্ট সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তদন্তে বেরিয়ে আসে, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী তাছলিমা বেগম দীর্ঘদিন ধরে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভালো ব্যবহার করে করিমকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নেওয়া হয়। পরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পর নিহতের বড় ভাই আমির হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় করিমের স্ত্রী ও তিন শ্যালককে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে চার আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তদন্তে জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট রাতে তাছলিমার পরিকল্পনায় শ্যালক ইসরাফিল মাদক সেবনের প্রলোভন দেখিয়ে করিমকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নেয়। সেখানে তিন ভাই মিলে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ওসি সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, স্ত্রী ও শ্যালকেরা পরিকল্পিতভাবে করিমকে হত্যা করে। মাদক সেবনের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত করিম প্রায়ই স্ত্রী ও মেয়েকে নির্যাতন করতেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।