ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রংপুরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে মব তৈরি করে মারধর ও সিটি করপোরেশনে তুলে নিয়ে গিয়ে হেনস্থা করার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে গণমাধ্যমকর্মীরা। সমাবেশ থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় রংপুর সিটি করপোরেশনের সব ধরনের ইতিবাচক খবর বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে সাংবাদিক বাদলকে হেনস্থার ঘটনায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমা, লাইসেন্স শাখার মিজু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শান্ত, এবং মাস্টারমাইন্ড বিএনপি নেতা লিটন পারভেজ ও রকিসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান মামলা দায়ের হবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আসামিদের গ্রেপ্তারে সাংবাদিকদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়ার পরেও আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে গণমাধ্যমকর্মীরা। এতে রংপুর জেলা, মহানগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক, ফটো সাংবাদিক, ভিডিও জার্নালিস্টসহ দেড় শতাধিক গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মানব ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে সমাবেশে রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন- সাধারণ সম্পাদক মাযহার মান্নান, সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি, যুগান্তর প্রতিনিধি মাহবুব রহমান, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টুয়েন্টি ফোরের প্রতিনিধি রেজাউল ইসলাম মানিক, এনসিপি নেতা আলমগীর নয়ন, এবি পার্টির রেদওয়ানুল বারী, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের সাংবাদিক ফকরুল ইসলাম শাহিন, কালবেলা প্রতিনিধি রেদওয়ান রনি, কালের কন্ঠ প্রতিনিধি রফিকসহ আরও অনেকে।
সমাবেশে সাংবাদিক বাদল তার ওপর হামলার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশনে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে অবৈধ অটোরিকশার লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। নগরীর প্রধান সড়কে ৫ হাজার অটোরিকশা ও ৬ হাজার যন্ত্রচালিত রিকশা চলাচল করে। অবৈধ চলাচল করে ৫০ হাজারের বেশি। এমনি রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক জুলাই যোদ্ধা আর জুলাই রাজবন্দীদের নাম ব্যবহার করে গোপনে ৫শ’ অটোরিকশার লাইসেন্স দেয়ার জন্য গোপনে আবেদন পত্র নিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর গোপন সভা করে ৫শ’ লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। এর মাধ্যমে ৫ কোটি টাকার বাণিজ্যের পায়তারা নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংবাদের প্রথম পাতায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর অটোরিকশার লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে সিটি করপোরেশন। এ ঘটনা প্রকাশিত হলে টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স প্রদানে জড়িত ব্যক্তিরা পড়েন বিপাকে। এরই প্রতিশোধ নিতেই গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলরের প্রত্যক্ষ নির্দেশে সাংবাদিক বাদলকে নগরীর কাছারী বাজার এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে মব তৈরি করে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। বলা হয়, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমার কাছে গিয়ে বলতে হবে- খবরটি মিথ্যা ছিল, খবরটি প্রত্যাহার করবো ইত্যাদি। এরপর সাংবাদিক বাদলকে অপহরণ করে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে দোতলায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চেম্বারের সামনে জোর করে বসিয়ে রেখে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে তার চেম্বারের ভেতরে নিয়ে যাবার জন্য চাপ দেয়া হয়। খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা দ্রুত সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে এসে সাংবাদিক বাদলকে উদ্ধার করে।
কোনো প্রতিবেদন কারও স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেই যদি মব তৈরি করে নির্যাতন করা হয় তাহলে বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করা দুরূহ হয়ে পড়বে। এজন্যই সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
সেই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেবার পরেও আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় আবারও ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া হয়। আজকের মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে আগামীকাল রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনারে কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয়।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রংপুরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলকে মব তৈরি করে মারধর ও সিটি করপোরেশনে তুলে নিয়ে গিয়ে হেনস্থা করার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে গণমাধ্যমকর্মীরা। সমাবেশ থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় রংপুর সিটি করপোরেশনের সব ধরনের ইতিবাচক খবর বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে সাংবাদিক বাদলকে হেনস্থার ঘটনায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমা, লাইসেন্স শাখার মিজু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শান্ত, এবং মাস্টারমাইন্ড বিএনপি নেতা লিটন পারভেজ ও রকিসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান মামলা দায়ের হবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আসামিদের গ্রেপ্তারে সাংবাদিকদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়ার পরেও আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে গণমাধ্যমকর্মীরা। এতে রংপুর জেলা, মহানগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক, ফটো সাংবাদিক, ভিডিও জার্নালিস্টসহ দেড় শতাধিক গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মানব ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে সমাবেশে রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন- সাধারণ সম্পাদক মাযহার মান্নান, সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি, যুগান্তর প্রতিনিধি মাহবুব রহমান, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টুয়েন্টি ফোরের প্রতিনিধি রেজাউল ইসলাম মানিক, এনসিপি নেতা আলমগীর নয়ন, এবি পার্টির রেদওয়ানুল বারী, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের সাংবাদিক ফকরুল ইসলাম শাহিন, কালবেলা প্রতিনিধি রেদওয়ান রনি, কালের কন্ঠ প্রতিনিধি রফিকসহ আরও অনেকে।
সমাবেশে সাংবাদিক বাদল তার ওপর হামলার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশনে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে অবৈধ অটোরিকশার লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। নগরীর প্রধান সড়কে ৫ হাজার অটোরিকশা ও ৬ হাজার যন্ত্রচালিত রিকশা চলাচল করে। অবৈধ চলাচল করে ৫০ হাজারের বেশি। এমনি রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক জুলাই যোদ্ধা আর জুলাই রাজবন্দীদের নাম ব্যবহার করে গোপনে ৫শ’ অটোরিকশার লাইসেন্স দেয়ার জন্য গোপনে আবেদন পত্র নিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর গোপন সভা করে ৫শ’ লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। এর মাধ্যমে ৫ কোটি টাকার বাণিজ্যের পায়তারা নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংবাদের প্রথম পাতায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর অটোরিকশার লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে সিটি করপোরেশন। এ ঘটনা প্রকাশিত হলে টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স প্রদানে জড়িত ব্যক্তিরা পড়েন বিপাকে। এরই প্রতিশোধ নিতেই গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলরের প্রত্যক্ষ নির্দেশে সাংবাদিক বাদলকে নগরীর কাছারী বাজার এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে মব তৈরি করে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। বলা হয়, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমার কাছে গিয়ে বলতে হবে- খবরটি মিথ্যা ছিল, খবরটি প্রত্যাহার করবো ইত্যাদি। এরপর সাংবাদিক বাদলকে অপহরণ করে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে দোতলায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চেম্বারের সামনে জোর করে বসিয়ে রেখে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে তার চেম্বারের ভেতরে নিয়ে যাবার জন্য চাপ দেয়া হয়। খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা দ্রুত সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে এসে সাংবাদিক বাদলকে উদ্ধার করে।
কোনো প্রতিবেদন কারও স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেই যদি মব তৈরি করে নির্যাতন করা হয় তাহলে বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করা দুরূহ হয়ে পড়বে। এজন্যই সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
সেই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেবার পরেও আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় আবারও ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া হয়। আজকের মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে আগামীকাল রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনারে কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয়।