ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ইতালিতে লোক পাঠানোর নামে প্রতারণা, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদ পাইয়ে দিতে শত কোটি হাতিয়ে নেয়া চক্রের প্রধান জোসনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিআইডির ঢাকা মেট্রোর একটি টিম মঙ্গলবার,(২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর কাফরুল থানাধীন ইব্রাহিমপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত জোসনার বাড়ি নড়াইল জেলার দলজিৎপুর গ্রামে। তার পিতার নাম সুলতান খাঁ। গত জুলাই মাসে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিআইডির মালিবাগস্থ প্রধান কার্যালয় থেকে জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত জোসনা খাতুন মামলার প্রধান আসামি। এর আগে এই চক্রের সদস্য মিলন মিয়াকে গ্রেপ্তার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তে জানা গেছে, এই চক্র প্রথমে লোভনীয় বেতনের চাকরির লোভ দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার চুক্তি করছে। বেশ কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নেয়া হয় সেই চুক্তির অর্থ। এরপর প্রতারিত ব্যক্তিকে ভুয়া ভিসা ধরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি কখনো পাসপোর্ট আটকে রেখে হয়রানি করা হতো।
তদন্তে আরও জানা যায়, ইতালিতে লোক পাঠানোর কথা বলে মিলন মিয়া প্রতারক চক্রের হয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক সংগ্রহ করতো। এরমধ্যে বিদেশ যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রথমে টার্গেট করতো। ফরিদপুর, নড়াইল, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, চাঁদপুর ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই চক্রের নেটওয়ার্ক আছে। প্রাথমিকভাবে এই চক্র শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রতারক চক্র প্রকৃত ভিসার বদলে তাদেরকে ভুয়া বা জাল ভিসা দিয়েছে। চক্রটির প্রতারণার তথ্য বেশ কিছু অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্রহণ করার তথ্য সিআইডি উদ্ঘাটন করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত জোসনা খাতুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে বলে সিআইডির কর্মকর্তা দাবি করছেন। সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর লোভ দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেছে। এমনকি এই নারী মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত বলে তথ্য পেয়েছে সিআইডি।
সিআইডি কর্মকর্তা জানান, ঘটনাটি এখনও তদন্ত চলছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদ্ঘাটন ও চক্রের অন্যান্য সদস্যদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সিআইডির অভিযান অব্যাহত আছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইতালিতে লোক পাঠানোর নামে প্রতারণা, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদ পাইয়ে দিতে শত কোটি হাতিয়ে নেয়া চক্রের প্রধান জোসনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিআইডির ঢাকা মেট্রোর একটি টিম মঙ্গলবার,(২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর কাফরুল থানাধীন ইব্রাহিমপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত জোসনার বাড়ি নড়াইল জেলার দলজিৎপুর গ্রামে। তার পিতার নাম সুলতান খাঁ। গত জুলাই মাসে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিআইডির মালিবাগস্থ প্রধান কার্যালয় থেকে জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত জোসনা খাতুন মামলার প্রধান আসামি। এর আগে এই চক্রের সদস্য মিলন মিয়াকে গ্রেপ্তার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তে জানা গেছে, এই চক্র প্রথমে লোভনীয় বেতনের চাকরির লোভ দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার চুক্তি করছে। বেশ কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নেয়া হয় সেই চুক্তির অর্থ। এরপর প্রতারিত ব্যক্তিকে ভুয়া ভিসা ধরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি কখনো পাসপোর্ট আটকে রেখে হয়রানি করা হতো।
তদন্তে আরও জানা যায়, ইতালিতে লোক পাঠানোর কথা বলে মিলন মিয়া প্রতারক চক্রের হয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক সংগ্রহ করতো। এরমধ্যে বিদেশ যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রথমে টার্গেট করতো। ফরিদপুর, নড়াইল, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, চাঁদপুর ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই চক্রের নেটওয়ার্ক আছে। প্রাথমিকভাবে এই চক্র শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রতারক চক্র প্রকৃত ভিসার বদলে তাদেরকে ভুয়া বা জাল ভিসা দিয়েছে। চক্রটির প্রতারণার তথ্য বেশ কিছু অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্রহণ করার তথ্য সিআইডি উদ্ঘাটন করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত জোসনা খাতুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে বলে সিআইডির কর্মকর্তা দাবি করছেন। সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর লোভ দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেছে। এমনকি এই নারী মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত বলে তথ্য পেয়েছে সিআইডি।
সিআইডি কর্মকর্তা জানান, ঘটনাটি এখনও তদন্ত চলছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদ্ঘাটন ও চক্রের অন্যান্য সদস্যদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সিআইডির অভিযান অব্যাহত আছে।