ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সোহেল মিয়া (৪০) গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। ঘটনাটি গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া বাজারসংলগ্ন মৃত হাফেজ মিয়ার বাড়ির সামনে ঘটেছে। সেখানে চাঁদার দাবিতে পিস্তল বের করলে জনতা গণপিটুনি দেয়।
নিহত সোহেল মেম্বার বালিয়াপাড়া এলাকার মুকবুল হোসেনের ছেলে এবং ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বালিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল আউয়াল মৌলভীর ছেলে সায়েম মিয়া ৮টি দোকানঘর তৈরি করেছেন। সোহেল প্রত্যেক দোকান বাবদ এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ নিয়ে এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদা চাইতে যায় সোহেল মেম্বার। পরে এলাবাসী ধাওয়া দিলে সোহেল মেম্বার তার সহযোগীসহ পালিয়ে যায়। গতকাল সকালে দিকে সোহেল ও তার কয়েকজন সহযোগী সায়েমের বাড়িতে পুনরায় চাঁদা চাইতে যায়। সায়েম চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে সোহেল তার কোমর থেকে পিস্তল বের করে। পাশের কয়েকজন নারী এ ঘটনা দেখে স্থানীয় মসজিদের ইমামকে জানান। মসজিদের ইমাম মাইকে এ চাঁদাবাজির ঘটনার কথা জানালে আশপাশের কয়েকশ’ লোক একত্রিত হয়ে তাকে ঘেরাও করে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে সোহেল ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসিরউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোহেল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, মাদক, মারামারিসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করে পুনরায় মাদক চোরাকারবারে জড়ান সোহেল মেম্বার। এ নিয়ে এলাকায় তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল সাধারণ জনতা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোহেল মিয়া ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়া এলাকায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এরপর থেকে ক্ষমতাশালীদের ছত্রছায়ায় সে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। অবৈধ মাদক সেবন ও বেচাকেনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এলাকায় তার আধিপত্য বিস্তারের জন্য প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে থাকে সে ও তার লোকজন। সোহেল মেম্বার বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে এলাকায় সন্ত্রাসের শীর্ষ নেতা হিসেবে পরিচিত ছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সোহেল মেম্বার বিএনপির একাংশের সঙ্গে মিশে যায়।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সোহেল মিয়া (৪০) গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। ঘটনাটি গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া বাজারসংলগ্ন মৃত হাফেজ মিয়ার বাড়ির সামনে ঘটেছে। সেখানে চাঁদার দাবিতে পিস্তল বের করলে জনতা গণপিটুনি দেয়।
নিহত সোহেল মেম্বার বালিয়াপাড়া এলাকার মুকবুল হোসেনের ছেলে এবং ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বালিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল আউয়াল মৌলভীর ছেলে সায়েম মিয়া ৮টি দোকানঘর তৈরি করেছেন। সোহেল প্রত্যেক দোকান বাবদ এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ নিয়ে এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদা চাইতে যায় সোহেল মেম্বার। পরে এলাবাসী ধাওয়া দিলে সোহেল মেম্বার তার সহযোগীসহ পালিয়ে যায়। গতকাল সকালে দিকে সোহেল ও তার কয়েকজন সহযোগী সায়েমের বাড়িতে পুনরায় চাঁদা চাইতে যায়। সায়েম চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে সোহেল তার কোমর থেকে পিস্তল বের করে। পাশের কয়েকজন নারী এ ঘটনা দেখে স্থানীয় মসজিদের ইমামকে জানান। মসজিদের ইমাম মাইকে এ চাঁদাবাজির ঘটনার কথা জানালে আশপাশের কয়েকশ’ লোক একত্রিত হয়ে তাকে ঘেরাও করে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে সোহেল ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসিরউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোহেল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, মাদক, মারামারিসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করে পুনরায় মাদক চোরাকারবারে জড়ান সোহেল মেম্বার। এ নিয়ে এলাকায় তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল সাধারণ জনতা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোহেল মিয়া ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়া এলাকায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এরপর থেকে ক্ষমতাশালীদের ছত্রছায়ায় সে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। অবৈধ মাদক সেবন ও বেচাকেনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এলাকায় তার আধিপত্য বিস্তারের জন্য প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে থাকে সে ও তার লোকজন। সোহেল মেম্বার বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে এলাকায় সন্ত্রাসের শীর্ষ নেতা হিসেবে পরিচিত ছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সোহেল মেম্বার বিএনপির একাংশের সঙ্গে মিশে যায়।