সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা, নিয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির সিন্ডিকেটের সদস্য নাফিসা কামালের আরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ সংশ্লিষ্ট ৮টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করেছেন সিআইডি।
প্রতারণা করে প্রায় ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে সোমবার, (২৭ অক্টোবর ২০২৫) রাজধানীর গুলশান থানায় এই মামলা (নম্বর-৫১) দায়ের করা হয়েছে।
সিআইডির অনুসন্ধানে জানা যায়, নাফিসা কামাল ও তার জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান আরবিটালস ইন্টারন্যাশনাল ও কতিপয় সহযোগী সিন্ডিকেট সদস্য যথাক্রমে- হাফিযুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (স্বত্ত্বাধিকারী ইরভিং এন্টারপ্রাইজ), রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারি (স্বত্ত্বাধিকারী আমান এন্টারপ্রাইজ), জসিম উদ্দিন আহমেদ (স্বত্ত্বাধিকারী আহাদ ইন্টারন্যাশনাল লি.), আকতার হোসাইন (স্বাত্ত্বাধিকারী আক্তার রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি), শিউলী বেগম (স্বাত্ত্বাধিকারী মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হোল্ডিংস প্রা. লি.), কাউসার মৃধা (স্বত্ত্বাধিকারী মৃধা ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন) ও মোহাম্মদ বশির (স্বত্ত্বাধিকারী রাব্বি ইন্টারন্যাশনাল)। তারা সংঘবদ্ধভাবে সরকার নির্ধারিত ফি-এর বাইরে মোট ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে সিআইডি জানিয়েছেন।
সিআইডির অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সর্বমোট ৩ হাজার ১১১ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছে।
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত জনপ্রতি ফি ছিল ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। তারা অবৈধভাবে জনপ্রতি নিয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে। এছাড়াও সরকারিভাবে পাসপোর্ট খরচ, কোভিড-১৯ পরীক্ষা বাবদ, মেডিকেল ফি ও পোশাক সংক্রান্ত ফি-এর বাইরে প্রতি কর্মীর কাছ থেকে ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা করে অতিরিক্ত নেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য নাফিস কামাল ও তার জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান আরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ অপরাপর অভিযুক্তরা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে সরকার নির্ধারিত ফি-এর বাইরে জনপ্রতি অতিরিক্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৫১০ টাকা নিয়েছে। তারা মোট ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ মামলা দায়ের করেছে সিআইডি।
মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট পরিচালনা করছে। তদন্তে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান করা হচ্ছে।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির নিবিড় তদন্ত ও সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এইসব তথ্য জানিয়েছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা, নিয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির সিন্ডিকেটের সদস্য নাফিসা কামালের আরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ সংশ্লিষ্ট ৮টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করেছেন সিআইডি।
প্রতারণা করে প্রায় ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে সোমবার, (২৭ অক্টোবর ২০২৫) রাজধানীর গুলশান থানায় এই মামলা (নম্বর-৫১) দায়ের করা হয়েছে।
সিআইডির অনুসন্ধানে জানা যায়, নাফিসা কামাল ও তার জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান আরবিটালস ইন্টারন্যাশনাল ও কতিপয় সহযোগী সিন্ডিকেট সদস্য যথাক্রমে- হাফিযুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (স্বত্ত্বাধিকারী ইরভিং এন্টারপ্রাইজ), রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারি (স্বত্ত্বাধিকারী আমান এন্টারপ্রাইজ), জসিম উদ্দিন আহমেদ (স্বত্ত্বাধিকারী আহাদ ইন্টারন্যাশনাল লি.), আকতার হোসাইন (স্বাত্ত্বাধিকারী আক্তার রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি), শিউলী বেগম (স্বাত্ত্বাধিকারী মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হোল্ডিংস প্রা. লি.), কাউসার মৃধা (স্বত্ত্বাধিকারী মৃধা ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন) ও মোহাম্মদ বশির (স্বত্ত্বাধিকারী রাব্বি ইন্টারন্যাশনাল)। তারা সংঘবদ্ধভাবে সরকার নির্ধারিত ফি-এর বাইরে মোট ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে সিআইডি জানিয়েছেন।
সিআইডির অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সর্বমোট ৩ হাজার ১১১ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছে।
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত জনপ্রতি ফি ছিল ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। তারা অবৈধভাবে জনপ্রতি নিয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে। এছাড়াও সরকারিভাবে পাসপোর্ট খরচ, কোভিড-১৯ পরীক্ষা বাবদ, মেডিকেল ফি ও পোশাক সংক্রান্ত ফি-এর বাইরে প্রতি কর্মীর কাছ থেকে ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা করে অতিরিক্ত নেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য নাফিস কামাল ও তার জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান আরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ অপরাপর অভিযুক্তরা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে সরকার নির্ধারিত ফি-এর বাইরে জনপ্রতি অতিরিক্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৫১০ টাকা নিয়েছে। তারা মোট ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ মামলা দায়ের করেছে সিআইডি।
মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট পরিচালনা করছে। তদন্তে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান করা হচ্ছে।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির নিবিড় তদন্ত ও সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এইসব তথ্য জানিয়েছেন।