চলতি বছরের গত ১০ মাসে (অক্টোবর পর্যন্ত) সারাদেশে প্রায় তিন হাজার ২৩০টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ তথ্য জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, এই হিসেবে প্রতি মাসে গড়ে ৩২৩টি খুন হয়েছে। রাজধানীতে গত ১০ মাসে ৩৭১টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। প্রতি মাসে গড়ে ৩৭টি হত্যাকাণ্ড ঘটছে। তবে ডিএমপি থেকে দাবি করছেন, প্রতি মাসে রাজধানীতে গড়ে ১৯-২০টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
পুলিশ বলছে, সংঘবদ্ধ অপরাধী দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, রাজনৈতিক বিরোধ, পারিবারিক বিরোধসহ নানা কারণে দেশে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধের তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে সারাদেশে ২৯৪টি হত্যা মামলা তারা রেকর্ড করেছে। তার মধ্যে রাজধানীতেই (ডিএমপি) ৩৬টি হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
আর ফেব্রুয়ারিতে দেশে তিনশ’টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ডিএমপিতে ৩৮টি খুন হয়েছে। মার্চ মাসে ৩১৬টি খুন এবং যার মধ্যে রাজধানীতেই ৩৩টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এপ্রিলে দেশে ৩৩৬টি এবং মে মাসে ৩৪১টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
গত জুন মাসে ৩৪৪টি খুনের ঘটনার মধ্যে রাজধানীতে ৪৯টি খুন ছিল। জুলাই এসে তা দাঁড়ায় ৩৬২টিতে। জুলাই মাসে রাজধানীতে ৭৫টি হত্যাকাণ্ড হয়।
আর আগস্টে ৩২১টি হত্যার মধ্যে রাজধানীতে ঘটে ৩২টি হত্যাকাণ্ড। সেপ্টেম্বরে ২৯৭টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তার মধ্যে রাজধানীতে ২৫ জন খুন হয়। অক্টোবরে ৩১৯টি হত্যার ঘটনার মধ্যে রাজধানীতে ২২টি হত্যাকাণ্ডের তথ্য রেকর্ড করে পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের মাসভিত্তিক অপরাধের পরিসংখ্যান থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে হত্যাকাণ্ডের এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশের একজন অপরাধ বিশেষজ্ঞ (ডিআইজি) জানান, দেশে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, রাজনৈতিক দলের বিরোধ, জমি কিংবা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ, পারিবারিক কোন্দল, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই দলের সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হওয়াসহ নানা কারণে হত্যাকাণ্ড গুলো ঘটছে।
সম্প্রতি পুরান ঢাকায় সন্ত্রাসী গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে আদালতের অদূরে একজনকে প্রকাশ্যে ধাওয়া ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্তের ভিডিও ফুটেজে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি করার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেছে। সর্বশেষ গত সোমবার রাজধানীতে পল্লবীতে একজন রাজনৈতিক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
পুরান ঢাকায় আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর অস্ত্র তাক করে গুলি করে হত্যার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পল্লবীতে দোকানে ঢুকে গুলি করে হত্যার দৃশ্য জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিসি মিডিয়া তালেবুর রহমান জানায়, রাজধানীতে প্রতি মাসে গড়ে ১৯-২০টি হত্যাকাণ্ড ঘটছে। পারিবারিক বিরোধ, অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার, নবজাতকের লাশ উদ্ধারসহ নানা কারনে হত্যাকাণ্ড ঘটছে।
তবে পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধের পরিসংখ্যানের তথ্য জানার পর ডিসি মিডিয়া জানায়, নবজাতকের এবং অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারকে হত্যা মামলা হিসাবে দেখানোর কারণে পরিসংখ্যান বাড়তে পারে। তবে পুলিশ বেশিরভাগ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও কম সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। অপরাধী যেই হোক কেউ রেহাই পাচ্ছে না। তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলেও জানান তালেবুর রহমান।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
চলতি বছরের গত ১০ মাসে (অক্টোবর পর্যন্ত) সারাদেশে প্রায় তিন হাজার ২৩০টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ তথ্য জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, এই হিসেবে প্রতি মাসে গড়ে ৩২৩টি খুন হয়েছে। রাজধানীতে গত ১০ মাসে ৩৭১টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। প্রতি মাসে গড়ে ৩৭টি হত্যাকাণ্ড ঘটছে। তবে ডিএমপি থেকে দাবি করছেন, প্রতি মাসে রাজধানীতে গড়ে ১৯-২০টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
পুলিশ বলছে, সংঘবদ্ধ অপরাধী দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, রাজনৈতিক বিরোধ, পারিবারিক বিরোধসহ নানা কারণে দেশে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধের তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে সারাদেশে ২৯৪টি হত্যা মামলা তারা রেকর্ড করেছে। তার মধ্যে রাজধানীতেই (ডিএমপি) ৩৬টি হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
আর ফেব্রুয়ারিতে দেশে তিনশ’টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ডিএমপিতে ৩৮টি খুন হয়েছে। মার্চ মাসে ৩১৬টি খুন এবং যার মধ্যে রাজধানীতেই ৩৩টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এপ্রিলে দেশে ৩৩৬টি এবং মে মাসে ৩৪১টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
গত জুন মাসে ৩৪৪টি খুনের ঘটনার মধ্যে রাজধানীতে ৪৯টি খুন ছিল। জুলাই এসে তা দাঁড়ায় ৩৬২টিতে। জুলাই মাসে রাজধানীতে ৭৫টি হত্যাকাণ্ড হয়।
আর আগস্টে ৩২১টি হত্যার মধ্যে রাজধানীতে ঘটে ৩২টি হত্যাকাণ্ড। সেপ্টেম্বরে ২৯৭টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তার মধ্যে রাজধানীতে ২৫ জন খুন হয়। অক্টোবরে ৩১৯টি হত্যার ঘটনার মধ্যে রাজধানীতে ২২টি হত্যাকাণ্ডের তথ্য রেকর্ড করে পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের মাসভিত্তিক অপরাধের পরিসংখ্যান থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে হত্যাকাণ্ডের এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশের একজন অপরাধ বিশেষজ্ঞ (ডিআইজি) জানান, দেশে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, রাজনৈতিক দলের বিরোধ, জমি কিংবা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ, পারিবারিক কোন্দল, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই দলের সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হওয়াসহ নানা কারণে হত্যাকাণ্ড গুলো ঘটছে।
সম্প্রতি পুরান ঢাকায় সন্ত্রাসী গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে আদালতের অদূরে একজনকে প্রকাশ্যে ধাওয়া ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্তের ভিডিও ফুটেজে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি করার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেছে। সর্বশেষ গত সোমবার রাজধানীতে পল্লবীতে একজন রাজনৈতিক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
পুরান ঢাকায় আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর অস্ত্র তাক করে গুলি করে হত্যার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পল্লবীতে দোকানে ঢুকে গুলি করে হত্যার দৃশ্য জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিসি মিডিয়া তালেবুর রহমান জানায়, রাজধানীতে প্রতি মাসে গড়ে ১৯-২০টি হত্যাকাণ্ড ঘটছে। পারিবারিক বিরোধ, অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার, নবজাতকের লাশ উদ্ধারসহ নানা কারনে হত্যাকাণ্ড ঘটছে।
তবে পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধের পরিসংখ্যানের তথ্য জানার পর ডিসি মিডিয়া জানায়, নবজাতকের এবং অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারকে হত্যা মামলা হিসাবে দেখানোর কারণে পরিসংখ্যান বাড়তে পারে। তবে পুলিশ বেশিরভাগ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও কম সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। অপরাধী যেই হোক কেউ রেহাই পাচ্ছে না। তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলেও জানান তালেবুর রহমান।