ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সম্প্রতি রাজশাহী বিভাগের সাপাহাড়-পোরশা, গোমস্তাপুরের ১০ কিলোমিটার রাস্তাসহ সীমান্তবর্তী জেলায় পরপর দু’টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন ওই পথের যাত্রীরা। শুধু ডাকাতিই নয়, সন্ধ্যার পরে রাস্তায় পথচারীদের অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যাচ্ছে ডাকাতরা।
ডাকাতি প্রতিরোধে পাহারা জোরদার
পুলিশের ধাওয়ার মুখে উত্তরাঞ্চলের আমবাগানগুলো ডাকাতদের বড় আশ্রয়স্থল
জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মতবিনিময়, অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন
হাইওয়ে পুলিশের গাড়িসহ নানামুখী সংকটে নিরাপত্তা দেয়া কষ্টকর: আইশৃঙ্খলা বাহিনী
এ ধরনের ঘটনা সারাদেশে আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রায়ই হচ্ছে বলে জানালেন খোদ পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, দেশের সীমান্তবর্তী জেলার আঞ্চলিক মহাসড়কে ডাকাতি বাড়ছে। ডাকাত দল সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতি করছে। এতে জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এসব পথের যাত্রীরা।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, প্রতিটি ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা ও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়। এছাড়া ডাকাত দলকে গ্রেপ্তার করে মামলার রহস্য উদঘাটন ও মালামাল উদ্ধার করা হয়। অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।
পুলিশের একজন ডিআইজি অভিযোগ করে বলেন, ডাকাতি মামলার ডাকাতদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরও তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার ডাকাতি করছে। সম্প্রতি রাজশাহী বিভাগে ৮০-৯০ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, নওগাঁর পোরশা থানা এলাকার বিভিন্ন সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে থানা পুলিশসহ রাজশাহী রেঞ্জের অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা কাজ করছেন। গত ১৫ নভেম্বর নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলায় বেজোড়া বাজারে ডাকাতি প্রতিরোধে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিভাগীয় ডিআইজিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসীর দাবির মুখে ডাকাতি প্রতিরোধে ডাকাতিপ্রবণ এলাকায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান- রাজশাহী, নওগাঁ ও লালমনিরহাট সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর প্রায় এক হাজার কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কে বিভিন্ন সময় ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় বখাটে ও বেকার যুবকরা হাইওয়ের আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে ডাকাতি করছে। আবার অনেকেই পথচারীদেরকে ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তারা ডাকাতি ও লুটপাট শেষে বনে ঢুকে পড়ে। এরপর তাদেরকে পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। সম্প্রতি পুলিশ ৬টি ডাকাতি মামলার ৪টির রহস্য উদঘাটন করেছে। গত ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত ৮০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পোরশা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, সর্বশেষ গত ৯ নভেম্বর পোরশা থানার আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুরে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতি করা হয়েছে। এর আগে গত ৯ অক্টোবর সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে আরও একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ডাকাতি প্রতিরোধে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ, জনগণ ও থানা পুলিশ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। পথে পথে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
দু’টি ডাকাতির ঘটনায় মোট ১৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডাকাতিপ্রবণ এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প
স্থাপন করা হয়েছে। ডাকাতির মামলায় সন্দেহভাজন গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- রবজুল, জহুরুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর, খালেক, মোফাজ্জল, বাহারুল, সুজন। মোট ১৩ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় সাপাহার-পোরশা, গোমস্তাপুর রাস্তার পোরশা থানাধীন সরাইগাছী টু বেজোড়া বাজার পর্যন্ত রাস্তার উভয়পাশে দশ কিলোমিটার পর্যন্ত হাজার হাজার বিঘা জমিতে আম বাগান রয়েছে। এছাড়াও বন বিভাগের নিজস্ব বনায়ন রয়েছে। সংঘবদ্ধ ডাকাত ও দস্যুরা রাস্তায় ডাকাতি ও দস্যুতা করে পুলিশের ধাওয়ার মুখে বাগানে ঢুকে পালিয়ে যায়। গভীর রাতে ডাকাতদল বাগানে ঢুকলে তাদেরকে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে পুলিশের পক্ষে। আবার ডাকাত দলের নেতাদের মধ্যে এলাকার প্রভাবশালীও রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যে জানা গেছে, চলতি বছরের গত ১০ মাসে ৫৯৪টি শুধু ডাকাতির মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
এর মধ্যে গত জানুয়ারি মাসে ৭১টি ডাকাতির এবং ১৭১টি দস্যুতার মামলা হয়েছে। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে ৭৪টি ডাকাতির ও ১৫৩টি দস্যুতার মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এভাবে মার্চ মাসে ডাকাতির ৬০টি ও দস্যুতার ১৭১টি; এপ্রিল মাসে ডাকাতির ৪৬টি ও দস্যুতার ১৪৯টি; মে মাসে ডাকাতির ৬৭টি ও দস্যুতার ১৭৭টি; জুন মাসে ডাকাতির ৪৯টি ও দস্যুতার ১৫১টি; জুলাইয়ে ডাকাতির ৫৯টি ও দস্যুতার ১৬৬টি; আগস্টে ডাকাতির ৬২টি ও দস্যুতার ১৭৬টি; সেপ্টেম্বরে ডাকাতির ৫০টি ও দস্যুতার ১৬৯টি; অক্টোবরে ডাকাতির ৫৬টি ও দস্যুতার ১৮০টি মামলা হয়েছে।
এর আগে গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে সারাদেশে ৪৯০টি ডাকাতি ও ১ হাজার ৪১২টি দস্যুতার মামলার রেকর্ড রয়েছে বলে জানায় পুলিশ সদর দপ্তর।
ডাকাতির মামলা সম্পর্কে পুলিশের অনেক কর্মকতা বলেছেন, ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা বাড়লেও অনেকেই ঝামেলা এড়াতে মামলা করছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার পুলিশ ডাকাতির মামলা না নিয়ে দস্যুতার মামলা নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, খোদ রাজধানীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। তবে সংখ্যায় কম। এ নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মিডিয়া তালেবুর রহমান জানান- রাজধানীতে সন্ত্রাস, ডাকাতি ও দস্যুতা প্রতিরোধে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে।
এ সম্পর্কে হাইওয়ে পুলিশের একজন ডিআইজি বলেন, ডাকাতি ও দস্যুতা প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছেন। তবে গত বছর জুলাই অভ্যুত্থানের সময়ে হাইওয়ে পুলিশের অনেক যানবাহন পুড়ে ফেলা হয়েছে। এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণ যানবাহন নেই। হাইওয়ে পুলিশের প্রতিটি থানা ৪৫-৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে নিরাপত্তা দেয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তারপরও হাইওয়ে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে আশ্বস্ত করেছে প্রশাসন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
সম্প্রতি রাজশাহী বিভাগের সাপাহাড়-পোরশা, গোমস্তাপুরের ১০ কিলোমিটার রাস্তাসহ সীমান্তবর্তী জেলায় পরপর দু’টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন ওই পথের যাত্রীরা। শুধু ডাকাতিই নয়, সন্ধ্যার পরে রাস্তায় পথচারীদের অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যাচ্ছে ডাকাতরা।
ডাকাতি প্রতিরোধে পাহারা জোরদার
পুলিশের ধাওয়ার মুখে উত্তরাঞ্চলের আমবাগানগুলো ডাকাতদের বড় আশ্রয়স্থল
জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মতবিনিময়, অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন
হাইওয়ে পুলিশের গাড়িসহ নানামুখী সংকটে নিরাপত্তা দেয়া কষ্টকর: আইশৃঙ্খলা বাহিনী
এ ধরনের ঘটনা সারাদেশে আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রায়ই হচ্ছে বলে জানালেন খোদ পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, দেশের সীমান্তবর্তী জেলার আঞ্চলিক মহাসড়কে ডাকাতি বাড়ছে। ডাকাত দল সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতি করছে। এতে জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এসব পথের যাত্রীরা।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, প্রতিটি ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা ও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়। এছাড়া ডাকাত দলকে গ্রেপ্তার করে মামলার রহস্য উদঘাটন ও মালামাল উদ্ধার করা হয়। অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।
পুলিশের একজন ডিআইজি অভিযোগ করে বলেন, ডাকাতি মামলার ডাকাতদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরও তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার ডাকাতি করছে। সম্প্রতি রাজশাহী বিভাগে ৮০-৯০ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, নওগাঁর পোরশা থানা এলাকার বিভিন্ন সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে থানা পুলিশসহ রাজশাহী রেঞ্জের অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা কাজ করছেন। গত ১৫ নভেম্বর নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলায় বেজোড়া বাজারে ডাকাতি প্রতিরোধে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিভাগীয় ডিআইজিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসীর দাবির মুখে ডাকাতি প্রতিরোধে ডাকাতিপ্রবণ এলাকায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান- রাজশাহী, নওগাঁ ও লালমনিরহাট সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর প্রায় এক হাজার কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কে বিভিন্ন সময় ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় বখাটে ও বেকার যুবকরা হাইওয়ের আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে ডাকাতি করছে। আবার অনেকেই পথচারীদেরকে ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তারা ডাকাতি ও লুটপাট শেষে বনে ঢুকে পড়ে। এরপর তাদেরকে পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। সম্প্রতি পুলিশ ৬টি ডাকাতি মামলার ৪টির রহস্য উদঘাটন করেছে। গত ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত ৮০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পোরশা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, সর্বশেষ গত ৯ নভেম্বর পোরশা থানার আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুরে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতি করা হয়েছে। এর আগে গত ৯ অক্টোবর সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে আরও একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ডাকাতি প্রতিরোধে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ, জনগণ ও থানা পুলিশ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। পথে পথে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
দু’টি ডাকাতির ঘটনায় মোট ১৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডাকাতিপ্রবণ এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প
স্থাপন করা হয়েছে। ডাকাতির মামলায় সন্দেহভাজন গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- রবজুল, জহুরুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর, খালেক, মোফাজ্জল, বাহারুল, সুজন। মোট ১৩ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় সাপাহার-পোরশা, গোমস্তাপুর রাস্তার পোরশা থানাধীন সরাইগাছী টু বেজোড়া বাজার পর্যন্ত রাস্তার উভয়পাশে দশ কিলোমিটার পর্যন্ত হাজার হাজার বিঘা জমিতে আম বাগান রয়েছে। এছাড়াও বন বিভাগের নিজস্ব বনায়ন রয়েছে। সংঘবদ্ধ ডাকাত ও দস্যুরা রাস্তায় ডাকাতি ও দস্যুতা করে পুলিশের ধাওয়ার মুখে বাগানে ঢুকে পালিয়ে যায়। গভীর রাতে ডাকাতদল বাগানে ঢুকলে তাদেরকে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে পুলিশের পক্ষে। আবার ডাকাত দলের নেতাদের মধ্যে এলাকার প্রভাবশালীও রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যে জানা গেছে, চলতি বছরের গত ১০ মাসে ৫৯৪টি শুধু ডাকাতির মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
এর মধ্যে গত জানুয়ারি মাসে ৭১টি ডাকাতির এবং ১৭১টি দস্যুতার মামলা হয়েছে। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে ৭৪টি ডাকাতির ও ১৫৩টি দস্যুতার মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এভাবে মার্চ মাসে ডাকাতির ৬০টি ও দস্যুতার ১৭১টি; এপ্রিল মাসে ডাকাতির ৪৬টি ও দস্যুতার ১৪৯টি; মে মাসে ডাকাতির ৬৭টি ও দস্যুতার ১৭৭টি; জুন মাসে ডাকাতির ৪৯টি ও দস্যুতার ১৫১টি; জুলাইয়ে ডাকাতির ৫৯টি ও দস্যুতার ১৬৬টি; আগস্টে ডাকাতির ৬২টি ও দস্যুতার ১৭৬টি; সেপ্টেম্বরে ডাকাতির ৫০টি ও দস্যুতার ১৬৯টি; অক্টোবরে ডাকাতির ৫৬টি ও দস্যুতার ১৮০টি মামলা হয়েছে।
এর আগে গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে সারাদেশে ৪৯০টি ডাকাতি ও ১ হাজার ৪১২টি দস্যুতার মামলার রেকর্ড রয়েছে বলে জানায় পুলিশ সদর দপ্তর।
ডাকাতির মামলা সম্পর্কে পুলিশের অনেক কর্মকতা বলেছেন, ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা বাড়লেও অনেকেই ঝামেলা এড়াতে মামলা করছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার পুলিশ ডাকাতির মামলা না নিয়ে দস্যুতার মামলা নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, খোদ রাজধানীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। তবে সংখ্যায় কম। এ নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মিডিয়া তালেবুর রহমান জানান- রাজধানীতে সন্ত্রাস, ডাকাতি ও দস্যুতা প্রতিরোধে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে।
এ সম্পর্কে হাইওয়ে পুলিশের একজন ডিআইজি বলেন, ডাকাতি ও দস্যুতা প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছেন। তবে গত বছর জুলাই অভ্যুত্থানের সময়ে হাইওয়ে পুলিশের অনেক যানবাহন পুড়ে ফেলা হয়েছে। এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণ যানবাহন নেই। হাইওয়ে পুলিশের প্রতিটি থানা ৪৫-৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে নিরাপত্তা দেয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তারপরও হাইওয়ে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে আশ্বস্ত করেছে প্রশাসন।