বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)-এর সাবেক চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। একই অভিযোগে তার স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়া ওরফে রিয়া বেগমের বিরুদ্ধেও আলাদা মামলা করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। মোশাররফ হোসেন ২০২০-২০২২ সাল পর্যন্ত আইডিআরএ চেয়ারম্যান ছিলেন।
মঙ্গলবার,(১৮ নভেম্বর ২০২৫) মোশাররফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দুটি অনুমোদনের তথ্য দিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
অনুসন্ধানের বরাতে দুদক বলছে, মোশাররফ হোসেন তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মোট ৪ কোটি ৫২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য দিয়েছেন।
যাচাই করে আরও ১ কোটি ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮০০ টাকার পারিবারিক ‘ব্যয় পাওয়া যায়’। সবমিলিয়ে তার ‘অর্জিত সম্পদ ও ব্যয়’ দাঁড়ায় ৫ কোটি ৭১ লাখ ১ হাজার ৪৭৭ টাকা।
অন্যদিকে, তার ‘বৈধ আয় এবং ঋণ বা দায়ের মাধ্যমে’ পাওয়া অর্থের পরিমাণ ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪৭৪ টাকা। অর্থাৎ মোশাররফের ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩ টাকার সম্পদের ‘বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি’, যা জ্ঞাত ‘আয়বহির্ভূত’ সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দুদক। অন্যদিকে মোশাররফের স্ত্রী রিয়া বেগমের ক্ষেত্রে আরও বড় অস্বচ্ছতা পাওয়ার কথা বলছে দুদক।
অনুসন্ধানের বরাতে সংস্থাটি বলছে, রিয়ার নামে ‘অর্জিত সম্পদের’ পরিমাণ ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার ৭ টাকা এবং ‘পারিবারিক ব্যয়’ ২৭ লাখ ৮৫ হাজার ৯২২ টাকা। মোট হিসাব দাঁড়ায় ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯২৯ টাকা। কিন্তু তার ‘বৈধ আয়’ পাওয়া গেছে মাত্র ৪৯ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫৬ টাকা। অর্থাৎ ১৩ কোটি ৩৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩৭৩ টাকার ‘উৎস পাওয়া যায়নি’, যা দুদকের মতে জ্ঞাত ‘আয়বহির্ভূত’ সম্পদ।
দুদক বলছে, মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের তুলনায় অতিরিক্ত ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩ টাকার ‘সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের’ অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারায় মামলা করা হবে।
এছাড়া, তার স্ত্রী রিয়া জ্ঞাত ‘আয়বহির্ভূত’ ১৩ কোটি ৩৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩৭৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এতে স্বামীর সহযোগিতা ‘প্রমাণিত’ হওয়ায়, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারা এবং দ-বিধির ১০৯ ধারায় আরও একটি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
দেশের বীমা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সদস্য থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিন বছরের জন্য চেয়ারম্যান হন মোশাররফ। সেই হিসেবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার ওই পদে থাকার সুযোগ ছিল।
২০২১ সালর মার্চে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে ঘুষ দাবি করার অভিযোগ ওঠে মোশাররফের বিরুদ্ধে। এরপর তার বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দুদকে তলবও করা হয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)-এর সাবেক চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। একই অভিযোগে তার স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়া ওরফে রিয়া বেগমের বিরুদ্ধেও আলাদা মামলা করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। মোশাররফ হোসেন ২০২০-২০২২ সাল পর্যন্ত আইডিআরএ চেয়ারম্যান ছিলেন।
মঙ্গলবার,(১৮ নভেম্বর ২০২৫) মোশাররফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দুটি অনুমোদনের তথ্য দিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
অনুসন্ধানের বরাতে দুদক বলছে, মোশাররফ হোসেন তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মোট ৪ কোটি ৫২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য দিয়েছেন।
যাচাই করে আরও ১ কোটি ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮০০ টাকার পারিবারিক ‘ব্যয় পাওয়া যায়’। সবমিলিয়ে তার ‘অর্জিত সম্পদ ও ব্যয়’ দাঁড়ায় ৫ কোটি ৭১ লাখ ১ হাজার ৪৭৭ টাকা।
অন্যদিকে, তার ‘বৈধ আয় এবং ঋণ বা দায়ের মাধ্যমে’ পাওয়া অর্থের পরিমাণ ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪৭৪ টাকা। অর্থাৎ মোশাররফের ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩ টাকার সম্পদের ‘বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি’, যা জ্ঞাত ‘আয়বহির্ভূত’ সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দুদক। অন্যদিকে মোশাররফের স্ত্রী রিয়া বেগমের ক্ষেত্রে আরও বড় অস্বচ্ছতা পাওয়ার কথা বলছে দুদক।
অনুসন্ধানের বরাতে সংস্থাটি বলছে, রিয়ার নামে ‘অর্জিত সম্পদের’ পরিমাণ ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার ৭ টাকা এবং ‘পারিবারিক ব্যয়’ ২৭ লাখ ৮৫ হাজার ৯২২ টাকা। মোট হিসাব দাঁড়ায় ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯২৯ টাকা। কিন্তু তার ‘বৈধ আয়’ পাওয়া গেছে মাত্র ৪৯ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫৬ টাকা। অর্থাৎ ১৩ কোটি ৩৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩৭৩ টাকার ‘উৎস পাওয়া যায়নি’, যা দুদকের মতে জ্ঞাত ‘আয়বহির্ভূত’ সম্পদ।
দুদক বলছে, মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের তুলনায় অতিরিক্ত ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩ টাকার ‘সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের’ অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারায় মামলা করা হবে।
এছাড়া, তার স্ত্রী রিয়া জ্ঞাত ‘আয়বহির্ভূত’ ১৩ কোটি ৩৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩৭৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এতে স্বামীর সহযোগিতা ‘প্রমাণিত’ হওয়ায়, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারা এবং দ-বিধির ১০৯ ধারায় আরও একটি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
দেশের বীমা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সদস্য থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিন বছরের জন্য চেয়ারম্যান হন মোশাররফ। সেই হিসেবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার ওই পদে থাকার সুযোগ ছিল।
২০২১ সালর মার্চে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে ঘুষ দাবি করার অভিযোগ ওঠে মোশাররফের বিরুদ্ধে। এরপর তার বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দুদকে তলবও করা হয়।