ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবতী (২৮) ধর্ষিত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও ধর্ষককে এক পক্ষকাল (১৫ দিন) গত হলেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্ত আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ভূক্তভোগী পরিবার ও সৈয়দপুর প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়, উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাষকান্দরের জনৈক ব্যক্তির অবিবাহিতা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (২৮) যুবতী প্রায় বাড়ির বাইরে একাকী ঘোরাফেরা করে থাকেন। ঘটনার দিন গত ৩১ অক্টোবর বিকেলে ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বাড়ির বাইরে অবস্থান করছিলেন। এ সময় প্রতিবেশি আমিনুল ইসলাম ওরফে আমুল (৫১) প্রলোভন দিয়ে যুবতীকে কৌশলে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সটকে পড়ে। পরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবতী ধর্ষক আমিনুল কর্তৃক ধর্ষণ হওয়ার বিষয়টি পরিবারের কাছে জানায়। এরপর ধর্ষিত যুবতীকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল ও নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তার ভাই মো. আব্দুল আলিম বাদী হয়ে ধর্ষক আমিনুল ইসলাম ওরফে আমুলকে আসামী করে সৈয়দপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
গত ৩ নভেম্বর মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় থানার উপ-পরিদর্শক হৃষিকেশ চন্দ্র বর্মনকে।
এ ঘটনায় সৈয়দপুর প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে আসামীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু ধর্ষককে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। ফলে ধর্ষক অধরাই রয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক হৃষিকেশ চন্দ্র বর্মন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিকে ধরার চেষ্টা চলছে। তবে আসামি পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবতী (২৮) ধর্ষিত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও ধর্ষককে এক পক্ষকাল (১৫ দিন) গত হলেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্ত আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ভূক্তভোগী পরিবার ও সৈয়দপুর প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়, উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাষকান্দরের জনৈক ব্যক্তির অবিবাহিতা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (২৮) যুবতী প্রায় বাড়ির বাইরে একাকী ঘোরাফেরা করে থাকেন। ঘটনার দিন গত ৩১ অক্টোবর বিকেলে ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বাড়ির বাইরে অবস্থান করছিলেন। এ সময় প্রতিবেশি আমিনুল ইসলাম ওরফে আমুল (৫১) প্রলোভন দিয়ে যুবতীকে কৌশলে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সটকে পড়ে। পরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবতী ধর্ষক আমিনুল কর্তৃক ধর্ষণ হওয়ার বিষয়টি পরিবারের কাছে জানায়। এরপর ধর্ষিত যুবতীকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল ও নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তার ভাই মো. আব্দুল আলিম বাদী হয়ে ধর্ষক আমিনুল ইসলাম ওরফে আমুলকে আসামী করে সৈয়দপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
গত ৩ নভেম্বর মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় থানার উপ-পরিদর্শক হৃষিকেশ চন্দ্র বর্মনকে।
এ ঘটনায় সৈয়দপুর প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে আসামীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু ধর্ষককে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। ফলে ধর্ষক অধরাই রয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক হৃষিকেশ চন্দ্র বর্মন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিকে ধরার চেষ্টা চলছে। তবে আসামি পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।