বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিলেট শাখায় খণ্ডকালীন চিকিৎসক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদন নিয়ে আবেদনকারী কারও ইন্টারভিউ না নিয়ে একজনকে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, এমনই অভিযোগ করেছেন চাকরি প্রত্যাশীরা। তাদেরই একজন ডা. শাহ ফাহিমা সিদ্দিকা সংবাদ পত্রিকাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছে।
প্রাথমিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলেও কোনো পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ
অভিযুক্ত ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন জনসংযোগ কর্মকতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে
জনসংযোগ কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া মেলেনি
অভিযোগে জানা গেছে, গত বছরের ২ জুন স্থানীয় একটি দৈনিকে খণ্ডকালীন চিকিৎসক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিলেট শাখার জেলা ব্যবস্থাপক। এরপর বেশ কয়েকজন আবেদন করলে তার যাচাই-বাছাই শেষে চারটি আবেদন ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে পাঠায়। দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষার পর আবেদনকারীরা হঠাৎ জানতে পারেন, গত ২৫ আগস্ট কোনো ধরনের লিখিত বা ভাইবা পরীক্ষা না নিয়েই ডা. মাহির করিম চৌধুরী নামক একজন চিকিৎসককে নিয়োগ দেয়া হয়। এতে বিস্মিত হন তারা।
অভিযোগ উঠেছে, স্টেশন কমিটিকে ডিঙিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুর রব তার এক আত্মীয়কে এই পদে নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করিয়েছেন। আর এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত প্রধান কার্যালয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার (সিএমও) তাসলিমা আক্তার। মূলত তাকে ম্যানেজ করেই আব্দুর রব তার আত্মীয়কে নিয়োগ করিয়ে দেন। যদিও তিনি তা অস্বীকার করেছেন।
এ ঘটনায় চাকরি প্রার্থী ডা. শাহ ফাহিমা সিদ্দিকা নামে একজন বিমান বাংলাদেশসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গতবছর যখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল তখন সিলেট অফিসে নিয়োগ কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ছিলেন জেলা ব্যবস্থাপক মো. শাহনেওয়াজ মজুমদার (বর্তমানে এলপিআরএ), সদস্য সচিব হিসেবে অর্থ কর্মকর্তা রায়হান আহমেদ ও সদস্য ছিলেন স্টেশন ব্যবস্থাপক শাকিল আহমেদ।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শাহনেওয়াজ মজুমদার বলেন, ‘আমি থাকাকালীন সময় হেড অফিসের নির্দেশনায় গত বছর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। পরে আমি এলপিআরএ চলে যাই। শুনেছি এরপর একজন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’ এক প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে নিয়োগ দিতে পারি না। আমরা শুধু আবেদনপত্রগুলো বাছাই করে হেড অফিসে প্রেরণ করি। সেখান থেকেই ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগ দেয়ার কথা এবং বিষয়টি চিফ মেডিকেল অফিসারের তত্ত্বাবধানে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চাকরির ক্ষেত্রে কেউ আবেদন করলে অবশ্যই সাক্ষাৎকার নেয়ার নিয়ম আছে। কিন্তু হেড অফিস থেকে কেন সাক্ষাৎকার নেয়া হলো না সেটা বোধগম্য নয়।’
চাকরি প্রত্যাশী ডা. শাহ ফাহিমা সিদ্দিকা অভিযোগ করেন, বিমানের সিলেট শাখায় খণ্ডকালীন ডাক্তার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশকালীন সময়ে যারা পদাধিকার বলে স্টেশন কমিটিতে ছিলেন তারা কেউই এই নিয়োগের ব্যাপারে জানেন না।
এ বিষয়ে তৎকালীন জেলা ব্যবস্থাপক নিয়োগ কমিটির সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ বলেন, ‘অনিয়ম হয়ে থাকলে আমার অবসরে যাওয়ার পর হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিয়োগপ্রাপ্ত ডা. মাহের করিম চৌধুরী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রবের সম্পর্কে খালাতো ভাই। দুজনের বাড়ি মৌলভীবাজারের একই এলাকায়। তিনি বিগত প্রায় ৭ বছর ধরে একই কর্মস্থলে রয়েছেন।
আব্দুর রব নিজের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ডা. মাহির আমার কোনো আত্মীয় নন। নিয়োগের পরীক্ষা নেয়া, না নেয়ার বিষয়টি ঢাকার। এখানে আমার কোনো এখতিয়ার নেই।’
ইন্টারভিউ ছাড়া কিভাবে নিয়োগ পেলেন গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এমন প্রশ্নের উত্তরে নিয়োগপ্রাপ্ত ডা. মাহির করিম চৌধুরী বলেন, ‘কে বলছে আপনাকে ইন্টারভিউ ছাড়া?’ অন্যান্য চাকরি প্রত্যাশীদের অভিযোগ এই উত্তরে বলেন, ‘এটা তো আমি জানি না। আপনি জনসংযোগ শাখায় যোগাযোগ করুন। সেখান থেকে সব বলে দেবে। উনারা আমাকে বলেছে, এই বিষয়ে আপনাকে কেউ ফোন করলে বলবেন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। আমি তো একটা জায়গায় চাকরি করি। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো কিছু বলতে পারবো না। অলরেডি আমি এখন চেম্বার করছি। রোগী আমার সামনে।’
সিলেট নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব অর্থ কর্মকর্তা রায়হান আহমেদ বলেন, ‘আমাদেরকে বলেছে নিয়োগের সার্কুলার দেয়ার জন্য, আমরা সার্কুলার দিয়েছি। নিয়োগ হয় হেড অফিস থেকে। আমাদের কাছে যেসব আবেদন আসে তা আমরা যাচাই-বাছাই করে হেড অফিসে চিফ মেডিকেল অফিসার বরাবর পাঠিয়ে দিই।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারীর পর থেকে আমরা সিলেট অফিসে কোনো ডাক্তার পাচ্ছিলাম না। অনেক প্রচেষ্টার পর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। এরপর কিছুদিন আগে শুনলাম হঠাৎ ডাক্তার নিয়োগ হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। আমরা ভেবেছি নিউ প্রক্রিয়া যেভাবে হয় হয়তো সেই প্রক্রিয়াটি হয়েছে। অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইবা। কিন্তু পরে আমরা অন্যান্য আবেদনকারীদের কাছ থেকে জানতে পারলাম এ ধরনের কোনো কিছুই হয়নি। আবেদনকারীর সবাইতো প্রত্যাশার আগে ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য।’
এ ব্যাপারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ মেডিকেল অফিসার (সিএমও) তাসলিমা আক্তার এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। শুধু বললেন, ‘আমি কিছু না। নিয়োগ কমিটি আছে। আপনি জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলুন। ওখানে সবকিছু দেয়া আছে।’ পরে জনসংযোগ কর্মকর্তাকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিলেট শাখায় খণ্ডকালীন চিকিৎসক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদন নিয়ে আবেদনকারী কারও ইন্টারভিউ না নিয়ে একজনকে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, এমনই অভিযোগ করেছেন চাকরি প্রত্যাশীরা। তাদেরই একজন ডা. শাহ ফাহিমা সিদ্দিকা সংবাদ পত্রিকাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছে।
প্রাথমিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলেও কোনো পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ
অভিযুক্ত ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন জনসংযোগ কর্মকতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে
জনসংযোগ কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া মেলেনি
অভিযোগে জানা গেছে, গত বছরের ২ জুন স্থানীয় একটি দৈনিকে খণ্ডকালীন চিকিৎসক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিলেট শাখার জেলা ব্যবস্থাপক। এরপর বেশ কয়েকজন আবেদন করলে তার যাচাই-বাছাই শেষে চারটি আবেদন ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে পাঠায়। দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষার পর আবেদনকারীরা হঠাৎ জানতে পারেন, গত ২৫ আগস্ট কোনো ধরনের লিখিত বা ভাইবা পরীক্ষা না নিয়েই ডা. মাহির করিম চৌধুরী নামক একজন চিকিৎসককে নিয়োগ দেয়া হয়। এতে বিস্মিত হন তারা।
অভিযোগ উঠেছে, স্টেশন কমিটিকে ডিঙিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুর রব তার এক আত্মীয়কে এই পদে নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করিয়েছেন। আর এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত প্রধান কার্যালয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার (সিএমও) তাসলিমা আক্তার। মূলত তাকে ম্যানেজ করেই আব্দুর রব তার আত্মীয়কে নিয়োগ করিয়ে দেন। যদিও তিনি তা অস্বীকার করেছেন।
এ ঘটনায় চাকরি প্রার্থী ডা. শাহ ফাহিমা সিদ্দিকা নামে একজন বিমান বাংলাদেশসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গতবছর যখন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল তখন সিলেট অফিসে নিয়োগ কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ছিলেন জেলা ব্যবস্থাপক মো. শাহনেওয়াজ মজুমদার (বর্তমানে এলপিআরএ), সদস্য সচিব হিসেবে অর্থ কর্মকর্তা রায়হান আহমেদ ও সদস্য ছিলেন স্টেশন ব্যবস্থাপক শাকিল আহমেদ।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শাহনেওয়াজ মজুমদার বলেন, ‘আমি থাকাকালীন সময় হেড অফিসের নির্দেশনায় গত বছর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। পরে আমি এলপিআরএ চলে যাই। শুনেছি এরপর একজন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’ এক প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে নিয়োগ দিতে পারি না। আমরা শুধু আবেদনপত্রগুলো বাছাই করে হেড অফিসে প্রেরণ করি। সেখান থেকেই ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগ দেয়ার কথা এবং বিষয়টি চিফ মেডিকেল অফিসারের তত্ত্বাবধানে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চাকরির ক্ষেত্রে কেউ আবেদন করলে অবশ্যই সাক্ষাৎকার নেয়ার নিয়ম আছে। কিন্তু হেড অফিস থেকে কেন সাক্ষাৎকার নেয়া হলো না সেটা বোধগম্য নয়।’
চাকরি প্রত্যাশী ডা. শাহ ফাহিমা সিদ্দিকা অভিযোগ করেন, বিমানের সিলেট শাখায় খণ্ডকালীন ডাক্তার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশকালীন সময়ে যারা পদাধিকার বলে স্টেশন কমিটিতে ছিলেন তারা কেউই এই নিয়োগের ব্যাপারে জানেন না।
এ বিষয়ে তৎকালীন জেলা ব্যবস্থাপক নিয়োগ কমিটির সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ বলেন, ‘অনিয়ম হয়ে থাকলে আমার অবসরে যাওয়ার পর হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিয়োগপ্রাপ্ত ডা. মাহের করিম চৌধুরী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রবের সম্পর্কে খালাতো ভাই। দুজনের বাড়ি মৌলভীবাজারের একই এলাকায়। তিনি বিগত প্রায় ৭ বছর ধরে একই কর্মস্থলে রয়েছেন।
আব্দুর রব নিজের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ডা. মাহির আমার কোনো আত্মীয় নন। নিয়োগের পরীক্ষা নেয়া, না নেয়ার বিষয়টি ঢাকার। এখানে আমার কোনো এখতিয়ার নেই।’
ইন্টারভিউ ছাড়া কিভাবে নিয়োগ পেলেন গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এমন প্রশ্নের উত্তরে নিয়োগপ্রাপ্ত ডা. মাহির করিম চৌধুরী বলেন, ‘কে বলছে আপনাকে ইন্টারভিউ ছাড়া?’ অন্যান্য চাকরি প্রত্যাশীদের অভিযোগ এই উত্তরে বলেন, ‘এটা তো আমি জানি না। আপনি জনসংযোগ শাখায় যোগাযোগ করুন। সেখান থেকে সব বলে দেবে। উনারা আমাকে বলেছে, এই বিষয়ে আপনাকে কেউ ফোন করলে বলবেন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। আমি তো একটা জায়গায় চাকরি করি। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো কিছু বলতে পারবো না। অলরেডি আমি এখন চেম্বার করছি। রোগী আমার সামনে।’
সিলেট নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব অর্থ কর্মকর্তা রায়হান আহমেদ বলেন, ‘আমাদেরকে বলেছে নিয়োগের সার্কুলার দেয়ার জন্য, আমরা সার্কুলার দিয়েছি। নিয়োগ হয় হেড অফিস থেকে। আমাদের কাছে যেসব আবেদন আসে তা আমরা যাচাই-বাছাই করে হেড অফিসে চিফ মেডিকেল অফিসার বরাবর পাঠিয়ে দিই।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারীর পর থেকে আমরা সিলেট অফিসে কোনো ডাক্তার পাচ্ছিলাম না। অনেক প্রচেষ্টার পর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। এরপর কিছুদিন আগে শুনলাম হঠাৎ ডাক্তার নিয়োগ হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। আমরা ভেবেছি নিউ প্রক্রিয়া যেভাবে হয় হয়তো সেই প্রক্রিয়াটি হয়েছে। অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইবা। কিন্তু পরে আমরা অন্যান্য আবেদনকারীদের কাছ থেকে জানতে পারলাম এ ধরনের কোনো কিছুই হয়নি। আবেদনকারীর সবাইতো প্রত্যাশার আগে ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য।’
এ ব্যাপারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ মেডিকেল অফিসার (সিএমও) তাসলিমা আক্তার এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। শুধু বললেন, ‘আমি কিছু না। নিয়োগ কমিটি আছে। আপনি জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলুন। ওখানে সবকিছু দেয়া আছে।’ পরে জনসংযোগ কর্মকর্তাকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।