একুশে বইমেলায় এবার ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি। গতকাল মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানায় আয়োজক সংস্থাটি। এবার ২৯ দিনের ফেব্রুয়ারি শেষে মেলা ছিল আরো দুদিন। ৩১ দিনে মেলায় নতুন বই এসেছে ৩ হাজার ৭৫১টি।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘এবার ছিল অধিবর্ষের বইমেলা। নির্ধারিত ২৯ দিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনায় অতিরিক্ত দুদিন যুক্ত হয়ে ৩১ দিনের দীর্ঘ বইমেলার আজ (গতকাল) শেষ দিন। ২০২৪-এর বইমেলা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় ছিল বিস্তৃত, ব্যাপক ও বর্ণাঢ্য। শীতে শুরু হয়ে বইমেলা স্পর্শ করেছে বসন্ত-বাতাস। একুশের রক্তপলাশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মার্চের চেতনার রঙ।’
‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এর সদস্য সচিব ডা. কেএম মুজাহিদুল ইসলামের লিখিত প্রতিবেদন তার পক্ষে পাঠ করেন একাডেমির উপপরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ। এতে বলা হয়, ‘মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এবারের বইমেলায় (১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত) প্রায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এ বইমেলায় বাংলা একাডেমি ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বই বিক্রি করে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘অমর একুশে বইমেলা আজ বাঙালির ভাষা, শিল্প-সাহিত্য ও ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বইমেলার মাধ্যমে প্রতি বছর আমরা আমাদের সৃজনশীলতাকে উদযাপন করি। এ মেলা আমাদের আবেগের, জাতিসত্তার, ভাষা-সাহিত্য ও ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসার মেলা।’
অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি নবনিযুক্ত সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম নাহিদ ইজাহার খান বলেন, ‘বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। এ মেলা দেখতে দেখতে চার দশক অতিক্রম করে এখন বিশাল আকার ধারণ করেছে। বিশ্ববাঙালির কাছে যেমন ঠিক তেমনি বিশ্বের জ্ঞানপিপাসু মানুষের কাছেও একুশের বইমেলা এক অসাধারণ বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ঘটনা হিসেবে স্বীকৃত।’
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা আমাদের জাতীয় জীবনের এক অসাধারণ বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ঘটনা। তথ্যপ্রযুক্তির বিপুল বিকাশের পরও মুদ্রিত বইয়ের আবেদন যে কোনোমতেই ফুরিয়ে যায়নি তার প্রমাণ একুশে বইমেলায় ক্রমবর্ধমান জনসমাগম।’
রোববার, ০৩ মার্চ ২০২৪
একুশে বইমেলায় এবার ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি। গতকাল মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানায় আয়োজক সংস্থাটি। এবার ২৯ দিনের ফেব্রুয়ারি শেষে মেলা ছিল আরো দুদিন। ৩১ দিনে মেলায় নতুন বই এসেছে ৩ হাজার ৭৫১টি।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘এবার ছিল অধিবর্ষের বইমেলা। নির্ধারিত ২৯ দিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনায় অতিরিক্ত দুদিন যুক্ত হয়ে ৩১ দিনের দীর্ঘ বইমেলার আজ (গতকাল) শেষ দিন। ২০২৪-এর বইমেলা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় ছিল বিস্তৃত, ব্যাপক ও বর্ণাঢ্য। শীতে শুরু হয়ে বইমেলা স্পর্শ করেছে বসন্ত-বাতাস। একুশের রক্তপলাশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মার্চের চেতনার রঙ।’
‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এর সদস্য সচিব ডা. কেএম মুজাহিদুল ইসলামের লিখিত প্রতিবেদন তার পক্ষে পাঠ করেন একাডেমির উপপরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ। এতে বলা হয়, ‘মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এবারের বইমেলায় (১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত) প্রায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এ বইমেলায় বাংলা একাডেমি ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বই বিক্রি করে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘অমর একুশে বইমেলা আজ বাঙালির ভাষা, শিল্প-সাহিত্য ও ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বইমেলার মাধ্যমে প্রতি বছর আমরা আমাদের সৃজনশীলতাকে উদযাপন করি। এ মেলা আমাদের আবেগের, জাতিসত্তার, ভাষা-সাহিত্য ও ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসার মেলা।’
অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি নবনিযুক্ত সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম নাহিদ ইজাহার খান বলেন, ‘বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। এ মেলা দেখতে দেখতে চার দশক অতিক্রম করে এখন বিশাল আকার ধারণ করেছে। বিশ্ববাঙালির কাছে যেমন ঠিক তেমনি বিশ্বের জ্ঞানপিপাসু মানুষের কাছেও একুশের বইমেলা এক অসাধারণ বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ঘটনা হিসেবে স্বীকৃত।’
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা আমাদের জাতীয় জীবনের এক অসাধারণ বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ঘটনা। তথ্যপ্রযুক্তির বিপুল বিকাশের পরও মুদ্রিত বইয়ের আবেদন যে কোনোমতেই ফুরিয়ে যায়নি তার প্রমাণ একুশে বইমেলায় ক্রমবর্ধমান জনসমাগম।’