যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিয়োগ পরীক্ষার সময় চাকরি প্রার্থীদের অপহরণ ও এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রাবাসে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানাও আছেন। কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সভায় আজীবন বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জনসংযোগ শাখার উপপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আব্দুর রশিদ জানান, মঙ্গলবার বিকালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় গত বছরের ৭ ডিসেম্বর লিফট অপারেটর পদে চাকরিপ্রার্থীদের অপহরণের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. বেলাল হোসেন, ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম রাইসুল হক রানা, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থী নৃপেন্দ্র নাথ রায়, মুশফিকুর রহমান, ফাহিম ফয়সাল লাবিব ও মো. আবু বক্কারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া গত ৪ জুন দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩০৬ নম্বর কক্ষে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিন রহমানকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় একই বিভাগের সোহেল রানা, রেদওয়ান আহমেদ জিসান, মো. বিপুল সেখ, ইছাদ হোসেন, মো. আশিকুজ্জামান লিমন ও মো. আমিনুল ইসলাম; ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. বেলাল হোসেন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. রায়হান রহমান রাব্বীকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জনসংযোগ কর্মকর্তা আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস অনুযায়ী এইসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে ফাহিম ফয়সাল লাবিব, সোহেল রানা, ইছাদ হোসেন এবং আশিকুজ্জামান লিমনের বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই। যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় সভায়। একইসঙ্গে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও আবাসিক হলে প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আনিছুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) খালেদা আক্তার, যুগ্ম সচিব মোর্শেদা আক্তার, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, আইসিসিডিআর’বি-এর বায়োসেফটি অ্যান্ড বিএসএল-৩ ল্যাবরেটরির প্রধান আসাদুল গনি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক কৌশিক সাহা, ইউজিসি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট এম. এ. রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার।
এদিকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল রানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ঘটনায় তিনি সুযোগ থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আপিল করবেন। তা না হলে অন্য কোনো সুযোগ আছে কিনা সে বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছেন। ”
মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিয়োগ পরীক্ষার সময় চাকরি প্রার্থীদের অপহরণ ও এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রাবাসে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানাও আছেন। কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সভায় আজীবন বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জনসংযোগ শাখার উপপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আব্দুর রশিদ জানান, মঙ্গলবার বিকালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় গত বছরের ৭ ডিসেম্বর লিফট অপারেটর পদে চাকরিপ্রার্থীদের অপহরণের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. বেলাল হোসেন, ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম রাইসুল হক রানা, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থী নৃপেন্দ্র নাথ রায়, মুশফিকুর রহমান, ফাহিম ফয়সাল লাবিব ও মো. আবু বক্কারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া গত ৪ জুন দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩০৬ নম্বর কক্ষে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিন রহমানকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় একই বিভাগের সোহেল রানা, রেদওয়ান আহমেদ জিসান, মো. বিপুল সেখ, ইছাদ হোসেন, মো. আশিকুজ্জামান লিমন ও মো. আমিনুল ইসলাম; ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. বেলাল হোসেন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. রায়হান রহমান রাব্বীকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জনসংযোগ কর্মকর্তা আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্টস অনুযায়ী এইসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে ফাহিম ফয়সাল লাবিব, সোহেল রানা, ইছাদ হোসেন এবং আশিকুজ্জামান লিমনের বর্তমানে ছাত্রত্ব নেই। যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় সভায়। একইসঙ্গে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ও আবাসিক হলে প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আনিছুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) খালেদা আক্তার, যুগ্ম সচিব মোর্শেদা আক্তার, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, আইসিসিডিআর’বি-এর বায়োসেফটি অ্যান্ড বিএসএল-৩ ল্যাবরেটরির প্রধান আসাদুল গনি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক কৌশিক সাহা, ইউজিসি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট এম. এ. রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার।
এদিকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল রানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ঘটনায় তিনি সুযোগ থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আপিল করবেন। তা না হলে অন্য কোনো সুযোগ আছে কিনা সে বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছেন। ”