যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বিশ্বসেরা ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়ও স্থান হয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)। টানা পঞ্চমবার কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে ৮০১ থেকে ১০০০তম অবস্থানে রয়েছে দেশসেরা এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়৷ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৭০১-৭৫০তম।
কিউএস র্যাঙ্কিং তালিকায় বাংলাদেশ থেকে আরও দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হচ্ছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান যথাক্রমে ১১০১ থেকে ১২০০–এর মধ্যে। গত বছর প্রথমবারের মতো এই র্যাংকিংয়ে স্থান করে নিয়েছিল এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়। চলতি বছরও তারা আগের অবস্থানেই রয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি নেই তাদেরও।
গত বুধবার (৮ জুন) বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিং মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান কিউএস তাদের ওয়েবসাইটে এই র্যাঙ্কিংয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে। ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস ২০২৩: টপ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটিস’ শীর্ষক এই র্যাঙ্কিংয়ে সেরা ৫০০-এর পরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনির্দিষ্ট অবস্থান প্রকাশ করা হয় না। এ কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে কত নম্বরে, তা উল্লেখ করেনি কিউএস। এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৮০১ থেকে ১০০০তম—এর অর্থ হচ্ছে তারা র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ১০০০-এর শেষ ২০০-তে অবস্থান করছে।
২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের সঙ্গে যৌথভাবে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করলেও ২০১০ সালে আলাদা হয়ে যায় কিউএস। এরপর থেকে এককভাবেই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে তারা। কিউএসের প্রকাশিত সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাকে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য র্যাঙ্কিংগুলোর একটি মনে করা হয়। এই র্যাঙ্কিংয়ে এখন ৮ টি সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মান নিরূপণ করা হয়। প্রতিটি সূচকে ১০০ করে স্কোর থাকে। সব সূচকের যোগফলের গড়ের ভিত্তিতে সামগ্রিক স্কোর নির্ধারিত হয়।
কিউএসের এবারের র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ১ হাজার ৪০০ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ এতে ১০০ স্কোর নিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। এর পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি (স্কোর ৯৮.৮), স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি (স্কোর ৯৮.৫), অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি (স্কোর ৯৮.৪), হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি (স্কোর ৯৭.৬), ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (স্কোর ৯৭), ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন (৯৭), ইউসিএল (স্কোর ৯৫), ইটিএইচ জুরিখ (স্কোর ৯৩.৬) ও ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো (স্কোর ৯৩.২)। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ৪৪টি ও পাকিস্তানের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় কিউএসের প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে ভারতের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় সেরা ৩০০-তে স্থান পেয়েছে।
এ তালিকায় টানা ১১ বারের মতো প্রথম স্থান দখলে রাখল ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)।
শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বিশ্বসেরা ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়ও স্থান হয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)। টানা পঞ্চমবার কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে ৮০১ থেকে ১০০০তম অবস্থানে রয়েছে দেশসেরা এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়৷ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৭০১-৭৫০তম।
কিউএস র্যাঙ্কিং তালিকায় বাংলাদেশ থেকে আরও দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হচ্ছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান যথাক্রমে ১১০১ থেকে ১২০০–এর মধ্যে। গত বছর প্রথমবারের মতো এই র্যাংকিংয়ে স্থান করে নিয়েছিল এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়। চলতি বছরও তারা আগের অবস্থানেই রয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি নেই তাদেরও।
গত বুধবার (৮ জুন) বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিং মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান কিউএস তাদের ওয়েবসাইটে এই র্যাঙ্কিংয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে। ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস ২০২৩: টপ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটিস’ শীর্ষক এই র্যাঙ্কিংয়ে সেরা ৫০০-এর পরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনির্দিষ্ট অবস্থান প্রকাশ করা হয় না। এ কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে কত নম্বরে, তা উল্লেখ করেনি কিউএস। এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৮০১ থেকে ১০০০তম—এর অর্থ হচ্ছে তারা র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ১০০০-এর শেষ ২০০-তে অবস্থান করছে।
২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের সঙ্গে যৌথভাবে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করলেও ২০১০ সালে আলাদা হয়ে যায় কিউএস। এরপর থেকে এককভাবেই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে তারা। কিউএসের প্রকাশিত সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাকে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য র্যাঙ্কিংগুলোর একটি মনে করা হয়। এই র্যাঙ্কিংয়ে এখন ৮ টি সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মান নিরূপণ করা হয়। প্রতিটি সূচকে ১০০ করে স্কোর থাকে। সব সূচকের যোগফলের গড়ের ভিত্তিতে সামগ্রিক স্কোর নির্ধারিত হয়।
কিউএসের এবারের র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ১ হাজার ৪০০ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ এতে ১০০ স্কোর নিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। এর পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি (স্কোর ৯৮.৮), স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি (স্কোর ৯৮.৫), অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি (স্কোর ৯৮.৪), হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি (স্কোর ৯৭.৬), ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (স্কোর ৯৭), ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন (৯৭), ইউসিএল (স্কোর ৯৫), ইটিএইচ জুরিখ (স্কোর ৯৩.৬) ও ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো (স্কোর ৯৩.২)। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ৪৪টি ও পাকিস্তানের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় কিউএসের প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে ভারতের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় সেরা ৩০০-তে স্থান পেয়েছে।
এ তালিকায় টানা ১১ বারের মতো প্রথম স্থান দখলে রাখল ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)।