‘ফেউ’ নামে নির্মিত হলো একটি ওয়েব সিরিজ। ‘ফেউ’ নির্মাতা সুকর্ন সাহেদ ধীমান । ফেসবুকে প্রকাশ পেয়েছে সিরিজের টিজার। যেখানে একটি সংলাপে শোনা যায়, ‘ও সুনীল দা, ফেউ কারা’ উত্তরে শোনা যায়, ‘অ্যাজেন্ট। সরকারি গোয়েন্দা–গে অ্যাজেন্ট কয়।’ ফেউ শব্দের আভিধানিক অর্থ শৃগাল বা শিয়াল।
অর্থাৎ চালাক প্রকৃতির বলা যায়। অনুসরণকারী হিসেবেও ফেউ এর ব্যবহার দেখা যায়। ফেউলাগা মানে কারও পেছনে লেগে থেকে তাকে ক্রমাগত উত্ত্যক্ত করা। সুকর্ন সাহেদ ধীমান বলেন, পুরো গল্পজুড়েই ফেউ শব্দটার উপস্থিতি আছে। গল্পের রাজনৈতিক বর্ণনাতেও ফেউ প্রাসঙ্গিক। মানুষের স্বভাবজাত আতঙ্ক, ভয় যখন দৈনন্দিন হয়ে যায় তখনও সেটা ফেউ শব্দ দিয়ে বোঝান সম্ভব। এই আতঙ্কের মধ্যে বসবাস এবং উতরে যাওয়ার গল্প নিয়ে ‘ফেউ’ সিরিজ।
১৯৭৯ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগণা জেলার দ্বীপ মরিচঝাঁপিতে ঘটে যাওয়া গণহত্যার ছায়া অবলম্বনে ‘ফেউ’ নির্মিত হলেও সিরিজটি ফিকশনাল। এর গল্প লিখেছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান, রোমেল রহমান এবং চিত্রনাট্য করেছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান ও সিদ্দিক আহমেদ। ইতিহাসের সঙ্গে নিজের দেখা চরিত্র, নিজের জানা ঘটনা, নিজের অঞ্চলের গল্প সিরিজে তুলে ধরেছেন বলে জানান নির্মাতা।
‘ফেউ’-এর টিজার প্রকাশের মধ্য দিয়ে এর অভিনয়শিল্পী এবং মুক্তির তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। সিরিজটি চরকিতে আসছে ২৯ জানুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিটে (৩০ জানুয়ারি)। আর এতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, চঞ্চল চৌধুরী, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, তানভীর অপূর্ব, হোসেন জীবন, তাহমিনা অথৈ, রিজভি রিজু, ফাদার জোয়া, বাবলু বোস, এ কে আজাদ সেতু প্রমুখ। সিরিজে কাজী চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান। তারিক আনাম খান বলেন, আমার এলাকা জন্য ভাষার ব্যবহারেও আমার খুব আরাম লেগেছে। কিছু বিষয় কানে লেগে আছে।
আমাকে দেখে অনেকে বলেছে, ‘উরে বাবারে আপনারে এতদিন পরে দেখলাম, সেই ছোট বেলায় দিখিছি। টেলিভিশনে দেখতি যাতাম ৫ মাইল দূরি। উরি আল্লাহ এ কি দেখতিছি, আপনারে একটু ছুঁয়ে দেখি।’ চঞ্চল চৌধুরী অভিনয় করেছেন সুনীল চরিত্রে। সিরিজে তিনি একজন ফটোগ্রাফার। চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যখন শুটিং করেছি তখন ছিল প্রচণ্ড ঠাণ্ডা।
মাস খানেক সুন্দরবনে শুটিং হয়েছে, যার মধ্যে আমি ছিলাম ২০ দিনের বেশি। রাতে যখন লঞ্চে ঘুমাতাম, খুব ঠাণ্ডা লাগত। আমি শীতের জামা–কাপড় পরেই ঘুমাতাম। তবে ঠাণ্ডার চেয়েও ভয়ের বিষয় ছিল কুমির। আমাদের লঞ্চ যেখানে নোঙর করা ছিল, সেখানে ছিল কুমিরটা।
সকালে জানালা দিয়ে মুখ বের করলেই কুমিরসহ বিভিন্ন পশু–পাখি দেখা যেত। আমরা লঞ্চ থেকে শুটিং স্পটে যেতাম ছোট ছোট ট্রলারে। রাতেও শুটিং করতে হতো। খুব কঠিন পরিস্থিতি ছিল।’
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
‘ফেউ’ নামে নির্মিত হলো একটি ওয়েব সিরিজ। ‘ফেউ’ নির্মাতা সুকর্ন সাহেদ ধীমান । ফেসবুকে প্রকাশ পেয়েছে সিরিজের টিজার। যেখানে একটি সংলাপে শোনা যায়, ‘ও সুনীল দা, ফেউ কারা’ উত্তরে শোনা যায়, ‘অ্যাজেন্ট। সরকারি গোয়েন্দা–গে অ্যাজেন্ট কয়।’ ফেউ শব্দের আভিধানিক অর্থ শৃগাল বা শিয়াল।
অর্থাৎ চালাক প্রকৃতির বলা যায়। অনুসরণকারী হিসেবেও ফেউ এর ব্যবহার দেখা যায়। ফেউলাগা মানে কারও পেছনে লেগে থেকে তাকে ক্রমাগত উত্ত্যক্ত করা। সুকর্ন সাহেদ ধীমান বলেন, পুরো গল্পজুড়েই ফেউ শব্দটার উপস্থিতি আছে। গল্পের রাজনৈতিক বর্ণনাতেও ফেউ প্রাসঙ্গিক। মানুষের স্বভাবজাত আতঙ্ক, ভয় যখন দৈনন্দিন হয়ে যায় তখনও সেটা ফেউ শব্দ দিয়ে বোঝান সম্ভব। এই আতঙ্কের মধ্যে বসবাস এবং উতরে যাওয়ার গল্প নিয়ে ‘ফেউ’ সিরিজ।
১৯৭৯ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগণা জেলার দ্বীপ মরিচঝাঁপিতে ঘটে যাওয়া গণহত্যার ছায়া অবলম্বনে ‘ফেউ’ নির্মিত হলেও সিরিজটি ফিকশনাল। এর গল্প লিখেছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান, রোমেল রহমান এবং চিত্রনাট্য করেছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান ও সিদ্দিক আহমেদ। ইতিহাসের সঙ্গে নিজের দেখা চরিত্র, নিজের জানা ঘটনা, নিজের অঞ্চলের গল্প সিরিজে তুলে ধরেছেন বলে জানান নির্মাতা।
‘ফেউ’-এর টিজার প্রকাশের মধ্য দিয়ে এর অভিনয়শিল্পী এবং মুক্তির তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। সিরিজটি চরকিতে আসছে ২৯ জানুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিটে (৩০ জানুয়ারি)। আর এতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, চঞ্চল চৌধুরী, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, তানভীর অপূর্ব, হোসেন জীবন, তাহমিনা অথৈ, রিজভি রিজু, ফাদার জোয়া, বাবলু বোস, এ কে আজাদ সেতু প্রমুখ। সিরিজে কাজী চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান। তারিক আনাম খান বলেন, আমার এলাকা জন্য ভাষার ব্যবহারেও আমার খুব আরাম লেগেছে। কিছু বিষয় কানে লেগে আছে।
আমাকে দেখে অনেকে বলেছে, ‘উরে বাবারে আপনারে এতদিন পরে দেখলাম, সেই ছোট বেলায় দিখিছি। টেলিভিশনে দেখতি যাতাম ৫ মাইল দূরি। উরি আল্লাহ এ কি দেখতিছি, আপনারে একটু ছুঁয়ে দেখি।’ চঞ্চল চৌধুরী অভিনয় করেছেন সুনীল চরিত্রে। সিরিজে তিনি একজন ফটোগ্রাফার। চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যখন শুটিং করেছি তখন ছিল প্রচণ্ড ঠাণ্ডা।
মাস খানেক সুন্দরবনে শুটিং হয়েছে, যার মধ্যে আমি ছিলাম ২০ দিনের বেশি। রাতে যখন লঞ্চে ঘুমাতাম, খুব ঠাণ্ডা লাগত। আমি শীতের জামা–কাপড় পরেই ঘুমাতাম। তবে ঠাণ্ডার চেয়েও ভয়ের বিষয় ছিল কুমির। আমাদের লঞ্চ যেখানে নোঙর করা ছিল, সেখানে ছিল কুমিরটা।
সকালে জানালা দিয়ে মুখ বের করলেই কুমিরসহ বিভিন্ন পশু–পাখি দেখা যেত। আমরা লঞ্চ থেকে শুটিং স্পটে যেতাম ছোট ছোট ট্রলারে। রাতেও শুটিং করতে হতো। খুব কঠিন পরিস্থিতি ছিল।’