২০২০ সালে নিজের ৭২ বছর বয়স পূর্ণ করার সময় একটি ইচ্ছাপত্র লিখে ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব ও অভিনেত্রী শাঁওলি মিত্র। যেখানে তিনি লেখেন, তার পিতা প্রয়াত শম্ভু মিত্রকে অনুসরণ করেই যত দ্রুত সম্ভব তার মরদেহ যেন সৎকার করা হয়।
তাঁর শেষ ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়েছেন প্রিয়জনরা। রোববার বিকাল ৩ টা ৪০ মিনিট নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার বেহালার বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শাঁওলি মিত্র। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মৃত্যুর খবরটিও অত্যন্ত গোপন রাখা হয় এবং অত্যন্ত অনাড়ম্বরভাবে এদিন রাতে সিরিটি শ্মশানঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন শাওলি। তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালের যাওয়া বা চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়ার বিষয়ে তার তীব্র অনিহা ছিল। অসুস্থতা সত্ত্বেও হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি।
তিনি অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের ছবি ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ ছবিতে। এ ছাড়া অসংখ্য নাটকে নিজের অভিনয় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন তিনি। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি রাজনৈতিক হত্যা, হযবরল, গ্যালিলিও আর জীবন, পাগলা ঘোড়া, পাখি, পুতুল খেলা, নাথাবতী অনাথবৎ, বিতাতা বিতাংশা, ডাকঘর, চন্ডালী প্রমুখ।
অভিনয় জগতে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৩ সালে ‘সংগীত নাটক একাডেমী’ সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে। ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী পান তিনি। ২০১২ সালে অভিনয়ে জীবনব্যাপী অবদানের জন্য ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মানে ভূষিত হন তিনি।
সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
২০২০ সালে নিজের ৭২ বছর বয়স পূর্ণ করার সময় একটি ইচ্ছাপত্র লিখে ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব ও অভিনেত্রী শাঁওলি মিত্র। যেখানে তিনি লেখেন, তার পিতা প্রয়াত শম্ভু মিত্রকে অনুসরণ করেই যত দ্রুত সম্ভব তার মরদেহ যেন সৎকার করা হয়।
তাঁর শেষ ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়েছেন প্রিয়জনরা। রোববার বিকাল ৩ টা ৪০ মিনিট নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার বেহালার বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শাঁওলি মিত্র। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মৃত্যুর খবরটিও অত্যন্ত গোপন রাখা হয় এবং অত্যন্ত অনাড়ম্বরভাবে এদিন রাতে সিরিটি শ্মশানঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন শাওলি। তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালের যাওয়া বা চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়ার বিষয়ে তার তীব্র অনিহা ছিল। অসুস্থতা সত্ত্বেও হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি।
তিনি অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের ছবি ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ ছবিতে। এ ছাড়া অসংখ্য নাটকে নিজের অভিনয় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন তিনি। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি রাজনৈতিক হত্যা, হযবরল, গ্যালিলিও আর জীবন, পাগলা ঘোড়া, পাখি, পুতুল খেলা, নাথাবতী অনাথবৎ, বিতাতা বিতাংশা, ডাকঘর, চন্ডালী প্রমুখ।
অভিনয় জগতে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৩ সালে ‘সংগীত নাটক একাডেমী’ সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে। ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী পান তিনি। ২০১২ সালে অভিনয়ে জীবনব্যাপী অবদানের জন্য ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মানে ভূষিত হন তিনি।