নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে তীব্র দাবদাহ ও হঠাৎ শিলাবৃষ্টির কারণে ঝরে পড়ছে সুস্বাদু রসালো ফল লিচু। গাছে মুকুল আসার সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় এবছর ফলন কম হওয়ার পাশাপাশি ফুলেছেও কম। এদিকে তীব্র দাবদাহে লিচুর বোঁটা নরম হয়ে ঝরে পড়তে শুরু করার মধ্যেই হঠাৎ শিলাবৃষ্টি হওয়ায় কারণে ব্যাপকভাবে ঝরে পড়ছে লিচু। লাগাতার দাবদাহ ও হঠাৎ শিলাবৃষ্টি। প্রকৃতির এমন বিরুপ প্রভাবে লিচু পুষ্ট কম ও ঝরে যাওয়ার কারণে এবছর হতাশায় ভুগছেন লিচু চাষিরা।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার লিচু নষ্ট হয়েছে অনেক। তবে বৈরী আবহাওয়ায় আরো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ইতোমধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে দেশী ছোট জাতের অপরিপক্ব (পাতি) লিচু।
উপজেলার বৈদ্যেরবাজার, হামছাদি, ষোলপাড়া, পানাম, মোগরাপাড়া এলাকার লিচু চাষিরা জানান, লিচুর মুকুল প্রচুর আসলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে অর্থ্যাৎ সময় মতো বৃষ্টি না আসায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মুকুল নষ্ট হয়েছে অনেক এবং পাতি ও কদমী লিচু ফুলেছে অনেকাংশে কম। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর লিচুর ফলনও কম হয়েছে। প্রচন্ড দাবদাহে এবার লিচু ফেঁটে নষ্ট না হলেও বোঁটা নরম হয়ে ঝরে পড়েছে। গাছের গোড়ায় ও গাছে নিয়মিত পানি দিয়েও ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব তেমন হয়নি। এদিকে হঠাৎ করে গত রোববার রাতে প্রচন্ড শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ব্যাপকভাবে ঝরে পড়েছে সব জাতের ছোট বড় লিচু। বৈরী আবহাওয়ার কারণে গড় হিসেবে ফলনের প্রায় ৫০ শতাংশ লিচু ঝরে গেছে। চাষিরা আরো জানান, লিচুর মধ্যে সবার আগে দেশী (পাতি) লিচু পাকে বলে ক্রেতা সবার আগে এই লিচু হাতে পায়। পর্যায়ক্রমে কদমী, এলাচী ও অন্যান্য জাতের লিচু বাজারে আসে। অনেক ক্রেতা জানান, সোনারগাঁয়ের লিচু আকারে বড় ও সুস্বাদু হওয়ার কারণে চাহিদা বেশি থাকে। তবে এবার লিচু তেমন পুষ্ট হয়নি এবং স্বাদও তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছেনা। সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা জানান, সোনারগাঁয়ের মাটি ও আবহাওয়া লিচু চাষের জন্য খুবই উপযোগি। সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন জাতের লিচুর চাষ করেন মালিকরা। এর মধ্যে রয়েছে দেশী (পাতি), কদমী, বোম্বাই ইত্যাদি। তবে অন্যান্য লিচু থেকে কদমী লিচুতে অধিক লাভ হয় বলে এই লিচু চাষের প্রতি মনোযোগী হচ্ছেন চাষিরা। মাটিতে সেচ, গাছে পানি স্প্রে, পোঁকা দমনের স্প্রে, চামড়ার কালো দাগ দুর করা স্প্রে করাসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ দেয়া হয়েছে চাষিদের। উপজেলায় ৬৭৩ টি বাগান ও বাগান ব্যাতিত জমি মিলিয়ে ১০৫ হেক্টর জমিতে ২৫ হাজারের অধিক লিচু গাছ রয়েছে। এবছর ৭ শ’ থেকে ৭ শ’ ৫০ মেঃ টন লিচু উৎপাদনের আশা করা যায়। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে চাষিরা ক্ষতির সম্মুক্ষিন হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা, কাঁচপুর ও বৈদ্যেরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার লিচু ব্যবসায়ী তুষার, হাসান, নুরুজ্জামান, রজন, কামরুল ও মামুনসহ আরো অনেকে জানান, দেশী জাতের পাতি লিচু বাজারে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু লিচু পুষ্ট কম হওয়ায় ক্রেতা তেমন আকৃষ্ট হচ্ছেনা। অন্যান্য বছর পাতি লিচু প্রথম অবস্থায় ৩ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা শ’ বিক্রি হলেও পরের দিকে দেড় থেকে ২শ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু এবার পুষ্ট কম হওয়ায়, শুরুতেই দেড় থেকে দুই শ’ টাকা শ’ বিক্রি হচ্ছে। তাও নিতে চাচ্ছেনা ক্রেতারা। পাতি লিচুর পরই বাজারে আসবে কদমী লিচু। এরপর পর্যায়ক্রমে আসবে বোম্বাই, এলাচী ও চায়না-৩ জাতের লিচু।
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে তীব্র দাবদাহ ও হঠাৎ শিলাবৃষ্টির কারণে ঝরে পড়ছে সুস্বাদু রসালো ফল লিচু। গাছে মুকুল আসার সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় এবছর ফলন কম হওয়ার পাশাপাশি ফুলেছেও কম। এদিকে তীব্র দাবদাহে লিচুর বোঁটা নরম হয়ে ঝরে পড়তে শুরু করার মধ্যেই হঠাৎ শিলাবৃষ্টি হওয়ায় কারণে ব্যাপকভাবে ঝরে পড়ছে লিচু। লাগাতার দাবদাহ ও হঠাৎ শিলাবৃষ্টি। প্রকৃতির এমন বিরুপ প্রভাবে লিচু পুষ্ট কম ও ঝরে যাওয়ার কারণে এবছর হতাশায় ভুগছেন লিচু চাষিরা।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার লিচু নষ্ট হয়েছে অনেক। তবে বৈরী আবহাওয়ায় আরো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ইতোমধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে দেশী ছোট জাতের অপরিপক্ব (পাতি) লিচু।
উপজেলার বৈদ্যেরবাজার, হামছাদি, ষোলপাড়া, পানাম, মোগরাপাড়া এলাকার লিচু চাষিরা জানান, লিচুর মুকুল প্রচুর আসলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে অর্থ্যাৎ সময় মতো বৃষ্টি না আসায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মুকুল নষ্ট হয়েছে অনেক এবং পাতি ও কদমী লিচু ফুলেছে অনেকাংশে কম। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর লিচুর ফলনও কম হয়েছে। প্রচন্ড দাবদাহে এবার লিচু ফেঁটে নষ্ট না হলেও বোঁটা নরম হয়ে ঝরে পড়েছে। গাছের গোড়ায় ও গাছে নিয়মিত পানি দিয়েও ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব তেমন হয়নি। এদিকে হঠাৎ করে গত রোববার রাতে প্রচন্ড শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ব্যাপকভাবে ঝরে পড়েছে সব জাতের ছোট বড় লিচু। বৈরী আবহাওয়ার কারণে গড় হিসেবে ফলনের প্রায় ৫০ শতাংশ লিচু ঝরে গেছে। চাষিরা আরো জানান, লিচুর মধ্যে সবার আগে দেশী (পাতি) লিচু পাকে বলে ক্রেতা সবার আগে এই লিচু হাতে পায়। পর্যায়ক্রমে কদমী, এলাচী ও অন্যান্য জাতের লিচু বাজারে আসে। অনেক ক্রেতা জানান, সোনারগাঁয়ের লিচু আকারে বড় ও সুস্বাদু হওয়ার কারণে চাহিদা বেশি থাকে। তবে এবার লিচু তেমন পুষ্ট হয়নি এবং স্বাদও তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছেনা। সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা জানান, সোনারগাঁয়ের মাটি ও আবহাওয়া লিচু চাষের জন্য খুবই উপযোগি। সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন জাতের লিচুর চাষ করেন মালিকরা। এর মধ্যে রয়েছে দেশী (পাতি), কদমী, বোম্বাই ইত্যাদি। তবে অন্যান্য লিচু থেকে কদমী লিচুতে অধিক লাভ হয় বলে এই লিচু চাষের প্রতি মনোযোগী হচ্ছেন চাষিরা। মাটিতে সেচ, গাছে পানি স্প্রে, পোঁকা দমনের স্প্রে, চামড়ার কালো দাগ দুর করা স্প্রে করাসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ দেয়া হয়েছে চাষিদের। উপজেলায় ৬৭৩ টি বাগান ও বাগান ব্যাতিত জমি মিলিয়ে ১০৫ হেক্টর জমিতে ২৫ হাজারের অধিক লিচু গাছ রয়েছে। এবছর ৭ শ’ থেকে ৭ শ’ ৫০ মেঃ টন লিচু উৎপাদনের আশা করা যায়। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে চাষিরা ক্ষতির সম্মুক্ষিন হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা, কাঁচপুর ও বৈদ্যেরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার লিচু ব্যবসায়ী তুষার, হাসান, নুরুজ্জামান, রজন, কামরুল ও মামুনসহ আরো অনেকে জানান, দেশী জাতের পাতি লিচু বাজারে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু লিচু পুষ্ট কম হওয়ায় ক্রেতা তেমন আকৃষ্ট হচ্ছেনা। অন্যান্য বছর পাতি লিচু প্রথম অবস্থায় ৩ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা শ’ বিক্রি হলেও পরের দিকে দেড় থেকে ২শ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু এবার পুষ্ট কম হওয়ায়, শুরুতেই দেড় থেকে দুই শ’ টাকা শ’ বিক্রি হচ্ছে। তাও নিতে চাচ্ছেনা ক্রেতারা। পাতি লিচুর পরই বাজারে আসবে কদমী লিচু। এরপর পর্যায়ক্রমে আসবে বোম্বাই, এলাচী ও চায়না-৩ জাতের লিচু।