alt

আল-শিফায় হামাসের কমান্ড সেন্টার থাকার প্রমাণ এখনও মেলেনি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

পানি, অক্সিজেনের অভাবে যখন কাতরাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা, রক্তঝরা ক্ষত শুকাতে যখন বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে ভিড় করছেন তারা, তখন গাজার অন্যতম বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

হাসপাতালটিতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কমান্ড সেন্টার রয়েছে দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।

অথচ এখনবধি সেখানে হামাসের ঘাঁটির কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি তারা।

এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশভিত্তিক গণমাধ্যম বিবিসির আন্তর্জাতিক সম্পাদক জেরেমি বোয়েন।

তিনি বলেছেন, হামাস আল-শিফা হাসপাতালকে কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করছে, এখন পর্যন্ত তেমন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ ইসরায়েলি বাহিনী দিতে পারেনি।

জেরেমি বোয়েন বলেন, ২০১৪ সাল থেকেই বলা হচ্ছে আল-শিফায় হামাসের সদর দফতর রয়েছে। তাহলে ইসরায়েলিরা এর অস্তিত্বের নিশ্চিত প্রমাণ এখন পর্যন্ত বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারেনি কেন!

অথচ এই মিথ্যা অজুহাতেই সেই হাসপাতালে তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরাইলের একাধিক হামলায় আল-শিফায় এখন আর চিকিৎসা ব্যবস্থা বলে কিছু অবশিষ্ট নেই বলে জানালেন হাসপাতালে পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া।

আল-শিফার অবস্থা ‘ভয়াবহ’জানিয়ে তিনি বলেন, এখনো ৬৫০ জন রোগী, ৫০০ চিকিৎসা কর্মকর্তা এবং পাঁচ হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি অবস্থান করছেন হাসপাতালটিতে। কিন্তু কোনো চিকিৎসা সরঞ্জামাদি না থাকায় নবজাতকদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পারছি না। ইনকিউবিটরে অক্সিজেন না থাকায় নবজাতকদের আমরা বাঁচাতে পারছি না। এর আগে ইসরাইলি বাহিনী বলেছিল তারা হাসপাতালে ইনকিউবেটর দেবে। কিন্তু সেটা ছিল তাদের ডাহা মিথ্যাচার।

নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে আবু সালমিয়া বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগীদের আমরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার জন্য ছেড়ে দিই। আমরা অসহায়। কিছুই করার নেই আমাদের। অস্ত্রোপচারের কোনো ব্যবস্থাই নেই আমাদের। শেষমেশ রোগী যাতে একটু শান্তিতে মরতে পারে, সেজন্য তাকে ‘বেদনানাশক’ দিই।

উল্লেখ্য, হাসপাতালটির নকশার বিষয়ে ভালোই জানা ইসরায়েলের। কারণ, ৭০ এর দশকে হাসপাতালটি নির্মাণ করে দিয়েছিল ইসরায়েলই। ওই সময় ইসরায়েলিরা এ ভূখণ্ডের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল।

এ বিষয়ে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি বড় একটি স্থাপনা। সম্পূর্ণভাবে তল্লাশি চালাতে সময় লাগবে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, ইসরায়েলের হামলায় ১২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আট হাজারই নারী ও শিশু।

ছবি

রুশ বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের এক শহরে এক রাতে নিহত ২৫

ছবি

আগামী বছর জলবায়ু সম্মেলন কপ৩১ আয়োজনের দায়িত্ব পেল তুরস্ক

ছবি

ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে নতুন মার্কিন কাঠামো, স্বস্তিতে নেই জেলেনস্কি

ছবি

ভারতকে ৯৩ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

দুই ধাপে চুক্তি সম্পন্ন করতে চায় ব্রাজিল

ছবি

প্রতিষ্ঠানটি আসলে চালাচ্ছে কারা

ছবি

পশ্চিম ইউক্রেইনের টার্নোপিলে রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা: শিশু সহ নিহত ২৫

ছবি

রাখাইনে সংঘাত তীব্র, আরাকান আর্মির হামলায় ৩০ জান্তা সেনা নিহত

ছবি

রাখাইনে সংঘাত তীব্র, আরাকান আর্মির হামলায় ৩০ জান্তা সেনা নিহত

ছবি

মহাকাশে আরও তীব্র হচ্ছে সামরিক প্রতিযোগিতা

ছবি

গাজায় ঐতিহাসিক প্রাসাদ ধ্বংস, ২০ হাজারের বেশি প্রত্নবস্তু লুট

ছবি

হামাসকে গাজা থেকে বহিষ্কারের আহ্বান নেতানিয়াহুর

ছবি

সৌদি আরবকে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

ছবি

সংবিধান সংশোধনীর পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের হাতে কত ক্ষমতা গেল

ছবি

ভারতীয়দের ভিসামুক্ত প্রবেশ বন্ধ করছে ইরান

ছবি

ব্রিটেনে নতুন আশ্রয়নীতি, ক্ষমতাসীন দলের ভেতরেই তীব্র আপত্তি

ছবি

এআই অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না: সুন্দর পিচাই

ছবি

আফ্রিকার ৬ দেশে সেনা উপস্থিতি বাড়াচ্ছে রাশিয়া

ছবি

তহবিল ঘাটতি, প্রকট হচ্ছে ক্ষুধা সংকট, জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

ছবি

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে কী আছে

ছবি

ভারতে ২৬টি হামলার নেতৃত্বদানকারী শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার হিদমা অভিযানে নিহত

ছবি

সড়ক দুর্ঘটনায় সৌদি আরবে ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী নিহত

ছবি

ভেনেজুয়েলায় মাদুরোকে উৎখাতের প্রচেষ্টা ট্রাম্পের!

ছবি

ডান-বামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে দ্বিতীয় দফায় গড়াল চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ছবি

পাকিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে চায় আফগানিস্তান

ছবি

তাইওয়ান আক্রান্ত হলে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবে জাপান

ছবি

যুদ্ধবিরতির এক মাস পরও গাজার সুড়ঙ্গগুলোয় কেন আটকে আছেন হামাস

ছবি

শার্লটে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী ফেডারেল অভিযান শুরু

ছবি

এবার মেক্সিকোতে জেন-জি ধাঁচে বিক্ষোভ

ছবি

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২২ হাজারের বেশি বিদেশি গ্রেপ্তার

ছবি

ফিলিপাইনে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি

ছবি

ট্রাম্প বনাম বিবিসির লড়াই, এরপর কী

ছবি

নীতিতে সংস্কার, আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্য

ছবি

কপে মতবিরোধ তীব্র, চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা

ছবি

মামদানির প্রশাসনে কাজ করতে ৫০ হাজার আবেদন

ছবি

গ্রেপ্তার ও বিচার থেকে আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

tab

আল-শিফায় হামাসের কমান্ড সেন্টার থাকার প্রমাণ এখনও মেলেনি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

পানি, অক্সিজেনের অভাবে যখন কাতরাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা, রক্তঝরা ক্ষত শুকাতে যখন বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে ভিড় করছেন তারা, তখন গাজার অন্যতম বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

হাসপাতালটিতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কমান্ড সেন্টার রয়েছে দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।

অথচ এখনবধি সেখানে হামাসের ঘাঁটির কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি তারা।

এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশভিত্তিক গণমাধ্যম বিবিসির আন্তর্জাতিক সম্পাদক জেরেমি বোয়েন।

তিনি বলেছেন, হামাস আল-শিফা হাসপাতালকে কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করছে, এখন পর্যন্ত তেমন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ ইসরায়েলি বাহিনী দিতে পারেনি।

জেরেমি বোয়েন বলেন, ২০১৪ সাল থেকেই বলা হচ্ছে আল-শিফায় হামাসের সদর দফতর রয়েছে। তাহলে ইসরায়েলিরা এর অস্তিত্বের নিশ্চিত প্রমাণ এখন পর্যন্ত বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারেনি কেন!

অথচ এই মিথ্যা অজুহাতেই সেই হাসপাতালে তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরাইলের একাধিক হামলায় আল-শিফায় এখন আর চিকিৎসা ব্যবস্থা বলে কিছু অবশিষ্ট নেই বলে জানালেন হাসপাতালে পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া।

আল-শিফার অবস্থা ‘ভয়াবহ’জানিয়ে তিনি বলেন, এখনো ৬৫০ জন রোগী, ৫০০ চিকিৎসা কর্মকর্তা এবং পাঁচ হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি অবস্থান করছেন হাসপাতালটিতে। কিন্তু কোনো চিকিৎসা সরঞ্জামাদি না থাকায় নবজাতকদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পারছি না। ইনকিউবিটরে অক্সিজেন না থাকায় নবজাতকদের আমরা বাঁচাতে পারছি না। এর আগে ইসরাইলি বাহিনী বলেছিল তারা হাসপাতালে ইনকিউবেটর দেবে। কিন্তু সেটা ছিল তাদের ডাহা মিথ্যাচার।

নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে আবু সালমিয়া বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগীদের আমরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার জন্য ছেড়ে দিই। আমরা অসহায়। কিছুই করার নেই আমাদের। অস্ত্রোপচারের কোনো ব্যবস্থাই নেই আমাদের। শেষমেশ রোগী যাতে একটু শান্তিতে মরতে পারে, সেজন্য তাকে ‘বেদনানাশক’ দিই।

উল্লেখ্য, হাসপাতালটির নকশার বিষয়ে ভালোই জানা ইসরায়েলের। কারণ, ৭০ এর দশকে হাসপাতালটি নির্মাণ করে দিয়েছিল ইসরায়েলই। ওই সময় ইসরায়েলিরা এ ভূখণ্ডের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল।

এ বিষয়ে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি বড় একটি স্থাপনা। সম্পূর্ণভাবে তল্লাশি চালাতে সময় লাগবে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, ইসরায়েলের হামলায় ১২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আট হাজারই নারী ও শিশু।

back to top