alt

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশিদের নিয়ে ফের তোপ দাগলেন নরেন্দ্র মোদি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাসীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে আবারও তোপ দেগেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তিনি দাবি করেছেন, ভোটের জন্য বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশে মদত দেওয়া হচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্য সমগ্র ঝাড়খণ্ডে বসবাসের জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ভারতের এই রাজ্যে চলতি মাসেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ভোটকে সামনে রেখে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী” ইস্যুতে সম্প্রতি কঠোর মন্তব্য করেছেন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

সংবাদমাধ্যম বলছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পরে এবার ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে বিরোধীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার রাজ্যটির পলামু অঞ্চলের গঢ়ওয়ায় বিজেপির সভার তিনি অনুপ্রবেশ নিয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস, আরজেডির জোট সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন।

মোদি সোমবার বলেন, “তোষণের রাজনীতিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডি। এই তিনটি দলই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্য তাদের গোটা ঝাড়খণ্ডে বসবাসের জায়গা করে দিচ্ছে এই তিনটি দল।”

তিনি আরও বলেন, “পরিস্থিতি এখানে এমন যে, সরস্বতী বন্দনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে, বিপদ কতটা গুরুতর। যখন উৎসবে পাথর ছোঁড়া হয়, দুর্গামাকেও আটকে দেওয়া হয়, যখন কারফিউ জারি করা হয়, তখন বোঝা যায়— পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ। মেয়েদের সঙ্গে বিয়ের নাম করে যখন প্রতারণা হচ্ছে, তখন বুঝতে হবে পানি কতদূর গড়িয়েছে।”

মোদি সোমবার হেমন্ত সরকারকে নিশানা করে বলেন, “প্রশাসন যখন (অনুপ্রবেশের কথা) অস্বীকার করে, তখন বুঝতে হবে সরকারতন্ত্রেই অনুপ্রবেশ হয়ে গেছে”। এছাড়া ঝাড়খণ্ডের বিরোধী জোটকে ‘অনুপ্রবেশকারীদের জোট এবং মাফিয়াদের দাস’ বলেও মন্তব্য করেন মোদি।

এর আগে গত রোববার ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচীতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। কিন্তু তারা তা করছে না। একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ভোট পাওয়ার জন্য ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রশ্রয়ে অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে।

সেসময় তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। কারণ, স্থানীয় প্রশাসনই সেখানে অনুপ্রবেশকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডেও অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি একই কারণে। স্থানীয় প্রশাসন প্রশ্রয় দিচ্ছে। বিএসএফ তো সব জায়গায় আছে। আসামেও আছে, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডেও আছে।”

এর আগে ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে বলে গত সেপ্টেম্বরে হুমকি দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে তিনি রাজ্যের সাঁওতাল পরগনায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জমি দখল করার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের “নীরবতা” নিয়েও সেসময় প্রশ্ন তোলেন।

উল্লেখ্য, চলতি নভেম্বর মাসেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরকদমে কাজ করছে বিজেপি। ওই রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ। মূলত এই নির্বাচনকে সামনে রেখেই বিজেপির প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে “অনুপ্রবেশ সমস্যা”।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের ৮১টি আসনে দু’দফায় বিধানসভা ভোট হবে। ভোটের ফলাফল জানা যাবে ২৩ নভেম্বর। ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে প্রায় সাড়ে ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-কংগ্রেস-আরজেডির ‘মহাগঠবন্ধন’।

এবারও তিন দল একসঙ্গে লড়ছে। সঙ্গে তারা পেয়েছে বাম দল সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-কে। ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে মূল লড়াই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর। গত বার আলাদা লড়লেও বিজেপি এবার সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাতোর ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ (আজসু)-এর সঙ্গে জোট বেঁধেছে। সঙ্গে রয়েছে বিহারের নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপি (রামবিলাস)।

ছবি

শেষ ভাষণে তরুণ ভোটারদের কাছে ভোট চাইলেন কমালা হ্যারিস

ছবি

ঐতিহাসিক এক ভোটের দ্বারপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

গাধা না হাতি, মার্কিনিরা বেছে নিবেন কাকে

ছবি

বিশ্ব ব্যবস্থা নির্ধারণের ভোটযুদ্ধ আজ

ছবি

ইরানে ছাদবিহীন উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, বিপ্লবী জেনারেলসহ নিহত ২

ছবি

‘কেউই আমাদের কথা ভাবেন না’—মার্কিন নির্বাচন নিয়ে পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের অনুভূতি

ছবি

গাজা যুদ্ধের অবসানে সব কিছুই করব : কমালা হ্যারিস

ছবি

উত্তরাখণ্ডে বাস গিরিসঙ্কটে পড়ে ৩৬ জন নিহত, আহত ও নিখোঁজ অনেক

ছবি

শিশুদের মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা নাইজেরিয়ায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৩১

ছবি

ভুয়া ভিডিও: অভিযোগ রাশিয়ার দিকে, সতর্কবার্তা এফবিআইয়ের

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু

ছবি

তেল আবিবে ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা হিজবুল্লাহর

ছবি

বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, চতুর্থ অবস্থানে ঢাকা

ছবি

জাপানে ১২৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলো অক্টোবরের তাপমাত্রা

ছবি

গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ৫০ জনের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

ছবি

ট্রাম্প না কমলা, কার দিকে ঝুঁকছেন অভিবাসীরা

ছবি

৫ নভেম্বর নয়, দোদুল্যমান ৭ রাজ্যের ভোটের পরই চূড়ান্ত ফল

ছবি

সীমান্তের এক ইঞ্চি জমি নিয়েও আপস করবে না ভারত: মোদী

ছবি

ট্রাম্প-কমলা ছাড়াও প্রার্থী হিসেবে আছেন যারা

ছবি

ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ খামেনির না

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪৬ জন নিহত

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা

ছবি

কমলা জয়ী হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে: ট্রাম্প

ছবি

স্পেনের ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ৯৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ বহু

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন : নেটো-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন ইউরোপ

ছবি

নির্বাচনের আগে সমাপনী বক্তব্যে যা বললেন ট্রাম্প-কমলা

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় গাজাজুড়ে নিহত ১৪৩, লেবাননে আরও ৭৭

ছবি

গুগল থেকে ৩১ হাজার কোটি টাকা আদায় করল দম্পতি

ছবি

হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান শেখ নাইম কাসেম

ছবি

হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান কে এই শেখ নাঈম কাসেম

ছবি

ক্ষমতায় গেলে বিদেশে যুদ্ধ করবেন না, প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের

ছবি

দুই দিনের সফরে ঢাকায় ফলকার টুর্ক

ছবি

আরও কিছু আরব দেশের সাথে শান্তি চুক্তি চায় ইসরায়েল : নেতানিয়াহু

ছবি

ট্রাম্পের লাগামহীন কথাবার্তা নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে?

tab

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশিদের নিয়ে ফের তোপ দাগলেন নরেন্দ্র মোদি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাসীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে আবারও তোপ দেগেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তিনি দাবি করেছেন, ভোটের জন্য বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশে মদত দেওয়া হচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্য সমগ্র ঝাড়খণ্ডে বসবাসের জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ভারতের এই রাজ্যে চলতি মাসেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ভোটকে সামনে রেখে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী” ইস্যুতে সম্প্রতি কঠোর মন্তব্য করেছেন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

সংবাদমাধ্যম বলছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পরে এবার ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে বিরোধীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার রাজ্যটির পলামু অঞ্চলের গঢ়ওয়ায় বিজেপির সভার তিনি অনুপ্রবেশ নিয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস, আরজেডির জোট সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন।

মোদি সোমবার বলেন, “তোষণের রাজনীতিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডি। এই তিনটি দলই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্য তাদের গোটা ঝাড়খণ্ডে বসবাসের জায়গা করে দিচ্ছে এই তিনটি দল।”

তিনি আরও বলেন, “পরিস্থিতি এখানে এমন যে, সরস্বতী বন্দনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে, বিপদ কতটা গুরুতর। যখন উৎসবে পাথর ছোঁড়া হয়, দুর্গামাকেও আটকে দেওয়া হয়, যখন কারফিউ জারি করা হয়, তখন বোঝা যায়— পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ। মেয়েদের সঙ্গে বিয়ের নাম করে যখন প্রতারণা হচ্ছে, তখন বুঝতে হবে পানি কতদূর গড়িয়েছে।”

মোদি সোমবার হেমন্ত সরকারকে নিশানা করে বলেন, “প্রশাসন যখন (অনুপ্রবেশের কথা) অস্বীকার করে, তখন বুঝতে হবে সরকারতন্ত্রেই অনুপ্রবেশ হয়ে গেছে”। এছাড়া ঝাড়খণ্ডের বিরোধী জোটকে ‘অনুপ্রবেশকারীদের জোট এবং মাফিয়াদের দাস’ বলেও মন্তব্য করেন মোদি।

এর আগে গত রোববার ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচীতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। কিন্তু তারা তা করছে না। একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ভোট পাওয়ার জন্য ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রশ্রয়ে অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে।

সেসময় তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। কারণ, স্থানীয় প্রশাসনই সেখানে অনুপ্রবেশকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডেও অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি একই কারণে। স্থানীয় প্রশাসন প্রশ্রয় দিচ্ছে। বিএসএফ তো সব জায়গায় আছে। আসামেও আছে, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডেও আছে।”

এর আগে ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে বলে গত সেপ্টেম্বরে হুমকি দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে তিনি রাজ্যের সাঁওতাল পরগনায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জমি দখল করার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের “নীরবতা” নিয়েও সেসময় প্রশ্ন তোলেন।

উল্লেখ্য, চলতি নভেম্বর মাসেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরকদমে কাজ করছে বিজেপি। ওই রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ। মূলত এই নির্বাচনকে সামনে রেখেই বিজেপির প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে “অনুপ্রবেশ সমস্যা”।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের ৮১টি আসনে দু’দফায় বিধানসভা ভোট হবে। ভোটের ফলাফল জানা যাবে ২৩ নভেম্বর। ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে প্রায় সাড়ে ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-কংগ্রেস-আরজেডির ‘মহাগঠবন্ধন’।

এবারও তিন দল একসঙ্গে লড়ছে। সঙ্গে তারা পেয়েছে বাম দল সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-কে। ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে মূল লড়াই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর। গত বার আলাদা লড়লেও বিজেপি এবার সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাতোর ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ (আজসু)-এর সঙ্গে জোট বেঁধেছে। সঙ্গে রয়েছে বিহারের নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপি (রামবিলাস)।

back to top