মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাহী আদেশে নিজের ছেলে হান্টার বাইডেনকে নিঃশর্ত ক্ষমা করেছেন, যা বিদায় বেলায় ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বেআইনি অস্ত্র রাখা এবং কর ফাঁকির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া হান্টার বাইডেনের শাস্তি ঘোষণার কথা ছিল এ মাসেই।
রবিবার এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, "আজ আমি আমার ছেলে হান্টারের জন্য ক্ষমার ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছি। তাকে সম্পূর্ণ নিঃশর্ত ক্ষমা প্রদান করা হলো।”
ক্ষমার ফলে হান্টারের বিরুদ্ধে থাকা দুই মামলার শাস্তি কার্যকর হবে না। আগামী ১২ ডিসেম্বর অস্ত্র মামলায় এবং ১৬ ডিসেম্বর কর ফাঁকির মামলায় শাস্তি ঘোষণার কথা থাকলেও আদালত এখন সেই শুনানির তারিখ বাতিল করবেন।
ক্ষমার ঘোষণায় হান্টারকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সম্ভাব্য যে কোনো ফেডারেল অপরাধের দায় থেকেও রেহাই দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, ইউক্রেনের বুরিসমা কোম্পানি এবং চীনে তার ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য তাকে আর বিচারের মুখোমুখি করা যাবে না।
বাইডেন জানিয়েছেন, "রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণের শিকার হয়ে হান্টার ন্যায়বিচার পাননি। তার সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে যা অন্যদের ক্ষেত্রে করা হয়নি।”
তবে বাইডেনের এই পদক্ষেপ ডেমোক্র্যাট শিবিরেই মতবিরোধ সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ এটিকে যথাযথ মনে করলেও অনেকেই এটিকে ‘বাজে নজির’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। কলোরাডোর গভর্নর জ্যারেড পলিস এক্স-এ লিখেছেন, “বাবার স্বাভাবিক আবেগ থাকলেও বাইডেন দেশের চেয়ে পরিবারকে প্রাধান্য দিয়েছেন, যা হতাশাজনক।”
অন্যদিকে, রিপাবলিকানরা একে বাইডেনের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং রাজনৈতিক ভণ্ডামি হিসেবে দেখছে। কংগ্রেস সদস্য মার্জোরি টেইলর-গ্রিন বলেন, "ক্ষমা ঘোষণার মাধ্যমে বাইডেন স্বীকার করলেন যে হান্টার অপরাধী এবং তিনি নিজেও একজন মিথ্যাবাদী।”
বিদায়ী প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমার ব্যবস্থার অপব্যবহারের শঙ্কা বাড়িয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাহী আদেশে নিজের ছেলে হান্টার বাইডেনকে নিঃশর্ত ক্ষমা করেছেন, যা বিদায় বেলায় ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বেআইনি অস্ত্র রাখা এবং কর ফাঁকির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া হান্টার বাইডেনের শাস্তি ঘোষণার কথা ছিল এ মাসেই।
রবিবার এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, "আজ আমি আমার ছেলে হান্টারের জন্য ক্ষমার ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছি। তাকে সম্পূর্ণ নিঃশর্ত ক্ষমা প্রদান করা হলো।”
ক্ষমার ফলে হান্টারের বিরুদ্ধে থাকা দুই মামলার শাস্তি কার্যকর হবে না। আগামী ১২ ডিসেম্বর অস্ত্র মামলায় এবং ১৬ ডিসেম্বর কর ফাঁকির মামলায় শাস্তি ঘোষণার কথা থাকলেও আদালত এখন সেই শুনানির তারিখ বাতিল করবেন।
ক্ষমার ঘোষণায় হান্টারকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সম্ভাব্য যে কোনো ফেডারেল অপরাধের দায় থেকেও রেহাই দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, ইউক্রেনের বুরিসমা কোম্পানি এবং চীনে তার ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য তাকে আর বিচারের মুখোমুখি করা যাবে না।
বাইডেন জানিয়েছেন, "রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণের শিকার হয়ে হান্টার ন্যায়বিচার পাননি। তার সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে যা অন্যদের ক্ষেত্রে করা হয়নি।”
তবে বাইডেনের এই পদক্ষেপ ডেমোক্র্যাট শিবিরেই মতবিরোধ সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ এটিকে যথাযথ মনে করলেও অনেকেই এটিকে ‘বাজে নজির’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। কলোরাডোর গভর্নর জ্যারেড পলিস এক্স-এ লিখেছেন, “বাবার স্বাভাবিক আবেগ থাকলেও বাইডেন দেশের চেয়ে পরিবারকে প্রাধান্য দিয়েছেন, যা হতাশাজনক।”
অন্যদিকে, রিপাবলিকানরা একে বাইডেনের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং রাজনৈতিক ভণ্ডামি হিসেবে দেখছে। কংগ্রেস সদস্য মার্জোরি টেইলর-গ্রিন বলেন, "ক্ষমা ঘোষণার মাধ্যমে বাইডেন স্বীকার করলেন যে হান্টার অপরাধী এবং তিনি নিজেও একজন মিথ্যাবাদী।”
বিদায়ী প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমার ব্যবস্থার অপব্যবহারের শঙ্কা বাড়িয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের।