বাংলাদেশিদের চিকিৎসা সেবা না দেওয়ার ব্যাপারে জেএন রায় হাসপাতালের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করলো ভারতের চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমে)। বুধবার (৩ ডিসেস্বর) সংবাদ সম্মেলন করে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোনোভাবেই ভারতে আসা বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ করা যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন আইএমএ’র পশ্চিমবঙ্গ শাখার সদস্য চিকিৎসক এন কাঞ্জিলাল এবং কৌশিক চৌধুরী।
তারা বলেন, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দেশের জাতীয় পতাকা প্রণাম করে ঢোকা এবং রোগী না দেখা চিকিৎসা নিয়মের পরিপন্থি। চিকিৎসকদের কাছে সব রোগী রোগীই। চিকিৎসকদের কাছে রোগীদের কোনো জাত, ধর্ম ও দেশ হয় না। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা বাংলাদেশিদের কোনোভাবেই হয়রানি করা যাবে না। তাদের চিকিৎসা দিতেই হবে।
আইএমএ’র দুই সদস্য আরও বলেন, চলমান অস্থিরতায় যেমন বাংলাদেশি রোগীরা সমস্যায় পড়ছেন, তেমন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ভারতের মেডিকেল টুরিজিম। তবে অচিরেই এই সমস্যা কেটে যাবে মনে করছে আইএমএ।
বাংলাদেশি রোগীদের জন্য দ্রুত হেল্পলাইন চালু করা হবে বলেও জানিয়েছে ভারতের চিকিৎসক সংগঠনটি। ওই নম্বরে রোগীরা ফোন করলে চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ধরনের সাহায্য পাবেন।
এর আগে, গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কলকাতার বেসরকারি জেএন রায় হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশের কোনো রোগীকে তারা চিকিৎসাসেবা দেবে না। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক শুভ্রাংশু ভক্ত প্রকাশ্যে আহ্বান করছেন, ভারতের বাকি চিকিৎসকরাও যেন সাময়িক এই সিদ্ধান্ত নেয়।
যদিও এমন সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, চরম শত্রুর সঙ্গেও চিকিৎসকরা এমন আচরণ করতে পারে না। কেউ অসুস্থ হলে তাকে সুস্থ করবো না? চিকিৎসক বা চিকিৎসাকেন্দ্রের ধর্মই তো রোগীকে সুস্থ করে তোলা।
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশিদের চিকিৎসা সেবা না দেওয়ার ব্যাপারে জেএন রায় হাসপাতালের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করলো ভারতের চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমে)। বুধবার (৩ ডিসেস্বর) সংবাদ সম্মেলন করে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোনোভাবেই ভারতে আসা বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ করা যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন আইএমএ’র পশ্চিমবঙ্গ শাখার সদস্য চিকিৎসক এন কাঞ্জিলাল এবং কৌশিক চৌধুরী।
তারা বলেন, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দেশের জাতীয় পতাকা প্রণাম করে ঢোকা এবং রোগী না দেখা চিকিৎসা নিয়মের পরিপন্থি। চিকিৎসকদের কাছে সব রোগী রোগীই। চিকিৎসকদের কাছে রোগীদের কোনো জাত, ধর্ম ও দেশ হয় না। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা বাংলাদেশিদের কোনোভাবেই হয়রানি করা যাবে না। তাদের চিকিৎসা দিতেই হবে।
আইএমএ’র দুই সদস্য আরও বলেন, চলমান অস্থিরতায় যেমন বাংলাদেশি রোগীরা সমস্যায় পড়ছেন, তেমন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ভারতের মেডিকেল টুরিজিম। তবে অচিরেই এই সমস্যা কেটে যাবে মনে করছে আইএমএ।
বাংলাদেশি রোগীদের জন্য দ্রুত হেল্পলাইন চালু করা হবে বলেও জানিয়েছে ভারতের চিকিৎসক সংগঠনটি। ওই নম্বরে রোগীরা ফোন করলে চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ধরনের সাহায্য পাবেন।
এর আগে, গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কলকাতার বেসরকারি জেএন রায় হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশের কোনো রোগীকে তারা চিকিৎসাসেবা দেবে না। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক শুভ্রাংশু ভক্ত প্রকাশ্যে আহ্বান করছেন, ভারতের বাকি চিকিৎসকরাও যেন সাময়িক এই সিদ্ধান্ত নেয়।
যদিও এমন সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, চরম শত্রুর সঙ্গেও চিকিৎসকরা এমন আচরণ করতে পারে না। কেউ অসুস্থ হলে তাকে সুস্থ করবো না? চিকিৎসক বা চিকিৎসাকেন্দ্রের ধর্মই তো রোগীকে সুস্থ করে তোলা।