সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকার পতনের পর পরিবারসহ রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। রুশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে মানবিক বিবেচনায় রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস ও রিয়া নভস্তির বরাতে রয়টার্স জানায়, বাশার আল-আসাদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে মস্কোতে অবস্থান করছেন।
গত রোববার সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধাদের টানা ১২ দিনের অভিযানে বাশার সরকারের পতন ঘটে, যার মাধ্যমে দুই যুগের শাসনের অবসান হয়। এর আগে তাঁর বাবা হাফিজ আল-আসাদ ২৯ বছর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর বাশার ক্ষমতায় এসে শুরুতে সংস্কারপন্থী হলেও পরবর্তীতে কঠোর কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
২০১১ সালে ‘আরব বসন্তের’ সময় তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা পরবর্তীতে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। রাশিয়া ও ইরানের সমর্থনে এতদিন ক্ষমতায় ছিলেন বাশার।
বিদ্রোহীদের হাতে পতনের পর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাশার আল-আসাদ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দেশত্যাগে সম্মত হন। রাশিয়া নিশ্চিত করেছে, সিরিয়ায় তাদের সামরিক ঘাঁটি ও কূটনৈতিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা বিদ্রোহীরা বজায় রাখবে।
এদিকে, সিরিয়ার পরিস্থিতি বিবেচনায় রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে। এক রুশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিরিয়ার বর্তমান সংকট গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকার পতনের পর পরিবারসহ রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। রুশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে মানবিক বিবেচনায় রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস ও রিয়া নভস্তির বরাতে রয়টার্স জানায়, বাশার আল-আসাদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে মস্কোতে অবস্থান করছেন।
গত রোববার সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধাদের টানা ১২ দিনের অভিযানে বাশার সরকারের পতন ঘটে, যার মাধ্যমে দুই যুগের শাসনের অবসান হয়। এর আগে তাঁর বাবা হাফিজ আল-আসাদ ২৯ বছর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর বাশার ক্ষমতায় এসে শুরুতে সংস্কারপন্থী হলেও পরবর্তীতে কঠোর কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
২০১১ সালে ‘আরব বসন্তের’ সময় তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা পরবর্তীতে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। রাশিয়া ও ইরানের সমর্থনে এতদিন ক্ষমতায় ছিলেন বাশার।
বিদ্রোহীদের হাতে পতনের পর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাশার আল-আসাদ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দেশত্যাগে সম্মত হন। রাশিয়া নিশ্চিত করেছে, সিরিয়ায় তাদের সামরিক ঘাঁটি ও কূটনৈতিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা বিদ্রোহীরা বজায় রাখবে।
এদিকে, সিরিয়ার পরিস্থিতি বিবেচনায় রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে। এক রুশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিরিয়ার বর্তমান সংকট গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।