সিরিয়ার দীর্ঘ ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের পর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামস (এইচটিএস) মাত্র ১২ দিনের অভিযানে রাজধানী দামেস্ক দখল করে নেয়। বাশারের ক্ষমতাচ্যুতির পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তুতি চলছে। নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ আল-বশিরকে বেছে নেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। তিনি বর্তমানে এইচটিএসের পরিচালিত সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্টের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বাশারের পতনের পর সিরিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। লন্ডনভিত্তিক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের গবেষক স্যামুয়েল রামানি বলেছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে। বিশেষ করে সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ) ও এইচটিএসের মধ্যে পুরনো শত্রুতা এই প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলতে পারে।
এদিকে, দোহা-ভিত্তিক সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ১৮ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের মতে, ছয় মাসের মধ্যে একটি খসড়া সংবিধান তৈরি করা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সিরিয়ায় ইরাকের মতো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির ঝুঁকি রয়েছে। তুরস্ক, ইরান ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তি নতুন সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতে পারে।
এদিকে বাশার সরকারের পতনের পর থেকেই সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা স্থাপনা, গবেষণাকেন্দ্র ও সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলের সীমান্তে কোনো শত্রু গোষ্ঠীকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।
বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে মস্কো গেছেন বলে জানা গেছে। রাশিয়া তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, সিরিয়ার রুশ সেনাঘাঁটিগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
সিরিয়ার দীর্ঘ ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের পর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামস (এইচটিএস) মাত্র ১২ দিনের অভিযানে রাজধানী দামেস্ক দখল করে নেয়। বাশারের ক্ষমতাচ্যুতির পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তুতি চলছে। নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ আল-বশিরকে বেছে নেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। তিনি বর্তমানে এইচটিএসের পরিচালিত সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্টের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বাশারের পতনের পর সিরিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। লন্ডনভিত্তিক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের গবেষক স্যামুয়েল রামানি বলেছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে। বিশেষ করে সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ) ও এইচটিএসের মধ্যে পুরনো শত্রুতা এই প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলতে পারে।
এদিকে, দোহা-ভিত্তিক সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ১৮ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের মতে, ছয় মাসের মধ্যে একটি খসড়া সংবিধান তৈরি করা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সিরিয়ায় ইরাকের মতো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির ঝুঁকি রয়েছে। তুরস্ক, ইরান ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তি নতুন সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতে পারে।
এদিকে বাশার সরকারের পতনের পর থেকেই সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা স্থাপনা, গবেষণাকেন্দ্র ও সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলের সীমান্তে কোনো শত্রু গোষ্ঠীকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।
বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে মস্কো গেছেন বলে জানা গেছে। রাশিয়া তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, সিরিয়ার রুশ সেনাঘাঁটিগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।