alt

আন্তর্জাতিক

শপথের পরই দুই শতাধিক নির্বাহী আদেশে সই করবেন ট্রাম্প

সংবাদ ডেস্ক : সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সোমবার শপথ গ্রহণের পরপরই ২০০-র বেশি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। এসব আদেশের মধ্যে থাকবে আইনত বাধ্যতামূলক নির্দেশনা ও প্রশাসনিক নীতির পরিবর্তন। বিশেষ করে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেওয়া বিভিন্ন নীতি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নির্বাহী আদেশ হচ্ছে প্রেসিডেন্টের লিখিত নির্দেশনা, যা ফেডারেল সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হয়। এই আদেশ কার্যকর করতে কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ, আইনপ্রণেতাদের ভোট ছাড়াই প্রেসিডেন্ট নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত পরিবর্তন আনতে পারেন। তবে এসব আদেশ অবশ্যই আইনের মধ্যে থাকতে হবে এবং অনেক সময় আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়তে পারে, বিশেষত অভিবাসন নীতির মতো সংবেদনশীল ইস্যুগুলোর ক্ষেত্রে।

রিপাবলিকান নেতা ডনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি তার ক্ষমতাবলে একতরফাভাবে বেশ কিছু নীতি বাস্তবায়ন করবেন। এর মধ্যে রয়েছে গণহারে অভিবাসী বিতাড়ন, পরিবেশ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিলকরণ এবং আরও নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। শপথ গ্রহণের আগের দিন এক বিজয় সমাবেশে তিনি সমর্থকদের আশ্বস্ত করে বলেন, “আপনারা এমন নির্বাহী আদেশ দেখবেন যাতে আপনারা খুশি হবেন।”

ট্রাম্প জানিয়েছেন, শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাইডেন প্রশাসনের নেওয়া "উগ্র এবং অবিচক্ষণ" নির্বাহী আদেশগুলো বাতিল করা হবে। তিনি মনে করেন, এসব আদেশের মাধ্যমে আমেরিকা ভুল পথে পরিচালিত হয়েছে এবং নতুন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা হবে।

প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প মোট ২২০টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন, যার মধ্যে কয়েকটি আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর স্বাক্ষর করেছিলেন ১৬০টি নির্বাহী আদেশ। তার আগের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দুই মেয়াদে ২৭৭টি এবং জর্জ ডব্লিউ বুশ দুই মেয়াদে ২৯১টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন।

ট্রাম্পের ঘোষিত নির্বাহী আদেশগুলো বাস্তবায়িত হলে তা মার্কিন প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে। বিশেষ করে অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক নীতির ক্ষেত্রে নতুন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত আমেরিকার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

ছবি

ট্রাম্পের আশ্বাসে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক সেবা ফের চালু

ছবি

যুদ্ধবিরতির সময় গাজায় পূর্ণ প্রবেশাধিকার প্রয়োজন: ডব্লিউএইচও

ছবি

৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল, সবাই নারী-শিশু

ছবি

ড. ইউনূস সরকারের সমালোচনা করা রিপোর্ট প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের

ছবি

ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৯০ ফিলিস্তিনি মুক্ত, আছেন নেতা খালিদা জাররার

ছবি

১৫ মাসে গাজায় ইসরায়েলের যত ধ্বংসযজ্ঞ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধ: কোকো গফের শোক বার্তা

ছবি

কাটাটুম্বোতে বিদ্রোহী সংঘর্ষে নিহত ৬০, সহিংসতার জন্য একে অপরকে দুষছে ইএলএন ও ফার্ক

ছবি

যুদ্ধবিরতি নিয়ে মতবিরোধ, ইসরায়েলের নিরাপত্তামন্ত্রীর পদত্যাগ

ছবি

শপথ নিতে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর, হামাস তিন জিম্মিকে মুক্তি দিচ্ছে

ছবি

২০২৪ সালে বাংলাদেশ নিয়ে ৭২ ভারতীয় গণমাধ্যমে ভুল তথ্য

ছবি

উল্টে যাওয়া ট্যাংকার থেকে তেল সংগ্রহে ভিড়, বিস্ফোরণে নিহত ৭০

ছবি

কঠোর অভিবাসন আইন প্রয়োগ করবেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় আজ থেকেই যুদ্ধবিরতি, ঘরে ফেরার অপেক্ষায় ফিলিস্তিনিরা

ছবি

নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৭৭

ছবি

যুদ্ধবিরতির প্রাক্কালেও গাজায় হত্যাযজ্ঞ, নিহত ৪৭ হাজার ছুঁই ছুঁই

ছবি

যেভাবে হলো গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি

ছবি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রাণ গেল ১২ ভারতীয়ের, নিখোঁজ ১৬

ছবি

আরজি কর কাণ্ড: ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষী সঞ্জয়, সাজা ঘোষণা সোমবার

ছবি

ট্রাম্পের অভিষেকে বরফের বাগড়া, অনুষ্ঠান হবে ইনডোরে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধের পথে সুপ্রিম কোর্টের রায়

ছবি

তিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে আজীবন তাড়িয়ে বেড়াবে: সাবেক মার্কিন কূটনীতিক

ছবি

যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন ইসরায়েলের, রোববার মুক্তি ৯৫ ফিলিস্তিনির

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

ছবি

ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট আমন্ত্রিত, নেই মোদির নাম

ছবি

গাজায় থামেনি ইসরায়েলি হামলা, যুদ্ধবিরতি কার্যকর বাকি : ইউনিসেফ

ছবি

দুর্নীতির মামলায় ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

ভূমি দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে ১৪ বছর কারাদণ্ড, স্ত্রী বুশরা বিবির সাজা ৭ বছর

ছবি

বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি সঠিক পথে, দ্রুত কার্যকরের আশা যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

গাজায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ চলছেই, নিহত বেড়ে প্রায় ৪৬ হাজার ৮০০

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের পথে

ছবি

বিদায়ী ভাষণে গণতন্ত্র রক্ষায় আহ্বান বাইডেনের

ছবি

যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় গাজায় উল্লাস, ইসরায়েলি হামলা থামেনি

tab

আন্তর্জাতিক

শপথের পরই দুই শতাধিক নির্বাহী আদেশে সই করবেন ট্রাম্প

সংবাদ ডেস্ক

সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সোমবার শপথ গ্রহণের পরপরই ২০০-র বেশি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। এসব আদেশের মধ্যে থাকবে আইনত বাধ্যতামূলক নির্দেশনা ও প্রশাসনিক নীতির পরিবর্তন। বিশেষ করে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেওয়া বিভিন্ন নীতি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নির্বাহী আদেশ হচ্ছে প্রেসিডেন্টের লিখিত নির্দেশনা, যা ফেডারেল সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হয়। এই আদেশ কার্যকর করতে কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ, আইনপ্রণেতাদের ভোট ছাড়াই প্রেসিডেন্ট নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত পরিবর্তন আনতে পারেন। তবে এসব আদেশ অবশ্যই আইনের মধ্যে থাকতে হবে এবং অনেক সময় আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়তে পারে, বিশেষত অভিবাসন নীতির মতো সংবেদনশীল ইস্যুগুলোর ক্ষেত্রে।

রিপাবলিকান নেতা ডনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি তার ক্ষমতাবলে একতরফাভাবে বেশ কিছু নীতি বাস্তবায়ন করবেন। এর মধ্যে রয়েছে গণহারে অভিবাসী বিতাড়ন, পরিবেশ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিলকরণ এবং আরও নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। শপথ গ্রহণের আগের দিন এক বিজয় সমাবেশে তিনি সমর্থকদের আশ্বস্ত করে বলেন, “আপনারা এমন নির্বাহী আদেশ দেখবেন যাতে আপনারা খুশি হবেন।”

ট্রাম্প জানিয়েছেন, শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাইডেন প্রশাসনের নেওয়া "উগ্র এবং অবিচক্ষণ" নির্বাহী আদেশগুলো বাতিল করা হবে। তিনি মনে করেন, এসব আদেশের মাধ্যমে আমেরিকা ভুল পথে পরিচালিত হয়েছে এবং নতুন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা হবে।

প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প মোট ২২০টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন, যার মধ্যে কয়েকটি আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর স্বাক্ষর করেছিলেন ১৬০টি নির্বাহী আদেশ। তার আগের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দুই মেয়াদে ২৭৭টি এবং জর্জ ডব্লিউ বুশ দুই মেয়াদে ২৯১টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন।

ট্রাম্পের ঘোষিত নির্বাহী আদেশগুলো বাস্তবায়িত হলে তা মার্কিন প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে। বিশেষ করে অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক নীতির ক্ষেত্রে নতুন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত আমেরিকার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

back to top