alt

চিঠিপত্র

গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি : সমাধান কোথায়

: সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

দৈনন্দিন যাত্রা পথে গণপরিবহনে নারীদের হয়রানির অভিযোগ নিত্য দিনের। বাংলাদেশে বিশেষ করে নারীরা বাস, ট্রেনের মতো গণপরিবহনে ভ্রমণকালে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক হয়রানির সম্মুখীন হন। এই সমস্যা শুধু নারী সুরক্ষা নয়, সমগ্র সমাজের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির জরিপ অনুযায়ী, মোট ৩৬ শতাংশ কর্মজীবী নারীর ৮০ ভাগই গণপরিবহনে যাতায়াত করেন এবং তারা অধিকাংশ সময়ে হয়রানির মুখোমুখি হন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা র্ব্যাক পরিচালিত ‘নারীর জন্য যৌন হয়রানি ও দুর্ঘটনামুক্ত সড়ক’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দেশের গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় ৯৪ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিক বা অন্য কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন।’

পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে নারীদের ব্যক্তিগত মর্যাদা কে অসম্মান, উপেক্ষা করা বর্তমানে অনেকের কাছে তুচ্ছ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিঙ্গবৈষম্যের এই মনোভাব নারীদের সম্মানহানির একটি বড় কারণ।

এছাড়া ও নারীদের এসব হয়রানির জন্য দায়ী আইনের যথাযথ কার্যকর প্রয়োগের অভাব। যৌন হয়রানি সংক্রান্ত আইন থাকলেও এর প্রয়োগ অনেক ক্ষেত্রে অকার্যকর। যার ফলে অপরাধীরা প্রায়ই শাস্তি থেকে রেহাই পায়, যা তাদের একই অপরাধে জড়াতে বারবার উৎসাহিত করে।

একটি গবেষণায় (ঢাকা শহরের পরিবহন নিয়ে) দেখা গেছে যে, ২৫-৩৫ বছর বয়সী পুরুষদের দ্বারা এসব হয়রানি বেশি ঘটে। জাতিসংঘের নারী বিষয়ক একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ১৫-১৯ বছর বয়সী মেয়েরা সবচেয়ে বেশি তাদের লক্ষ্যবস্তু হয়।

পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। রাতের বেলা নিরাপত্তাহীন পরিবেশ নারীদের জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ।

নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা শুধু তাদের অধিকারই নয়, এটি একটি নিরাপদ এবং সম্মানজনক সমাজ গড়ারও পূর্বশর্ত।

রোকেয়া সুলতানা

ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ।

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে সেতু চাই

পাঠ্যবই খোলাবাজারে কেন?

বিএনপি ও জামায়াতের সম্পর্ক : একটি অদৃশ্য প্রভাবের রাজনীতি

সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা

শহরের সবুজায়ন : টিকে থাকার লড়াই

ইজতেমার ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হোক

নারী ফুটবল ও সামাজিক সংকীর্ণতা

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সংগ্রাম

জলাশয় রক্ষা করুন

ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার খালপাড় সড়কটি সংস্কার করুন

পুকুর ভরাট ও অপরিকল্পিত ব্যবহার

পর্যটন কেন্দ্রে খাবারের অস্বাভাবিক মূল্য

নদী বাঁচলে , বাঁচবে দেশ

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

পানি দূষণ

রাজবাড়ী হাসপাতাল রোড সংষ্কার চাই

মাটির বাড়ি থেকে জিআই পণ্য : ঐতিহ্যের গল্প কলাইয়ের রুটি

ভাঙা হতে ফরিদপুর সদর সড়ক সংস্কার করুন

১০ম গ্রেড মেডিকেল টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের ন্যায্য অধিকার

টিসিবির কার্যক্রম

tab

চিঠিপত্র

গণপরিবহনে নারীদের হয়রানি : সমাধান কোথায়

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

দৈনন্দিন যাত্রা পথে গণপরিবহনে নারীদের হয়রানির অভিযোগ নিত্য দিনের। বাংলাদেশে বিশেষ করে নারীরা বাস, ট্রেনের মতো গণপরিবহনে ভ্রমণকালে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক হয়রানির সম্মুখীন হন। এই সমস্যা শুধু নারী সুরক্ষা নয়, সমগ্র সমাজের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির জরিপ অনুযায়ী, মোট ৩৬ শতাংশ কর্মজীবী নারীর ৮০ ভাগই গণপরিবহনে যাতায়াত করেন এবং তারা অধিকাংশ সময়ে হয়রানির মুখোমুখি হন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা র্ব্যাক পরিচালিত ‘নারীর জন্য যৌন হয়রানি ও দুর্ঘটনামুক্ত সড়ক’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দেশের গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় ৯৪ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিক বা অন্য কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন।’

পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে নারীদের ব্যক্তিগত মর্যাদা কে অসম্মান, উপেক্ষা করা বর্তমানে অনেকের কাছে তুচ্ছ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। লিঙ্গবৈষম্যের এই মনোভাব নারীদের সম্মানহানির একটি বড় কারণ।

এছাড়া ও নারীদের এসব হয়রানির জন্য দায়ী আইনের যথাযথ কার্যকর প্রয়োগের অভাব। যৌন হয়রানি সংক্রান্ত আইন থাকলেও এর প্রয়োগ অনেক ক্ষেত্রে অকার্যকর। যার ফলে অপরাধীরা প্রায়ই শাস্তি থেকে রেহাই পায়, যা তাদের একই অপরাধে জড়াতে বারবার উৎসাহিত করে।

একটি গবেষণায় (ঢাকা শহরের পরিবহন নিয়ে) দেখা গেছে যে, ২৫-৩৫ বছর বয়সী পুরুষদের দ্বারা এসব হয়রানি বেশি ঘটে। জাতিসংঘের নারী বিষয়ক একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ১৫-১৯ বছর বয়সী মেয়েরা সবচেয়ে বেশি তাদের লক্ষ্যবস্তু হয়।

পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। রাতের বেলা নিরাপত্তাহীন পরিবেশ নারীদের জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ।

নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা শুধু তাদের অধিকারই নয়, এটি একটি নিরাপদ এবং সম্মানজনক সমাজ গড়ারও পূর্বশর্ত।

রোকেয়া সুলতানা

ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী কলেজ।

back to top