যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা অনিশ্চিত
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই পাল্টাপাল্টি হামলা জোরদার করেছে ইউক্রেন ও রাশিয়া -এএফপি
রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অপরের ওপর বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে হতাহতের ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে। রবিবার সকালে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের জন্য প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত রয়ে গেছে। রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি মূলত ওয়াশিংটনের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করেন। তবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রুশ বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।
এরপর থেকেই উভয় পক্ষ ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিম রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে মাসব্যাপী দখলকৃত ঘাঁটি থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে হটিয়ে দেয়ার জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রবিবার জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট ইউক্রেনের মোট ৩১টি ড্রোন রাশিয়ার আকাশসীমায় ধ্বংস করেছে। টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর মধ্যে ১৬টি ড্রোন ভোরোনেজ অঞ্চলের ওপর, ৯টি বেলগোরোদ অঞ্চলে এবং বাকিগুলো রোস্তভ ও কুরস্ক অঞ্চলের আকাশে ভূপাতিত করা হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলে ৭ বছর বয়সী শিশু তিনজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর ভিয়াচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ। টেলিগ্রামে তিনি আরও জানান, গুবকিনস্কি জেলায় একটি ড্রোন একটি বাড়িতে আঘাত করলে আগুন ধরে যায় এবং এতে দুইজন আহত হয়। আরেকজন ডলগোয়ে গ্রামে একটি ড্রোন হামলায় আহত হয়েছে। ভোরোনেজের গভর্নর আলেকজান্ডার গুসেভ টেলিগ্রামে বলেছেন, এখন পর্যন্ত সেখানে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। দক্ষিণ রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত গভর্নরও জানিয়েছেন যে, সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, কুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলে থাকা ইউক্রেনীয় সেনারা আত্মসমর্পণ করলে তারা প্রাণভিক্ষা পাবেন বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শুক্রবার এ কথা বলেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প বলেছিলেন, কুরস্কে পুরোপুরি ঘেরাও হওয়া ইউক্রেনীয় সেনারা একদম অসহায় অবস্থায় পড়েছে। এই অবস্থায় তাদের প্রাণভিক্ষা দেয়ার জন্য পুতিনের কাছে আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি। নইলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ভয়াবহতম গণহত্যার একটি সেখানে সংঘটিত হতে পারে। তবে নিজ সেনাদের ‘ঘেরাও’ হওয়ার খবরকে রাশিয়ার ছড়ানো গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন।
তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন যে, কুরস্কে থাকা ইউক্রেনের সেনারা বেশ প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে আছে। শুক্রবার অনুষ্ঠিত রুশ নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনায় পুতিন বলেছেন, ট্রাম্পের আহ্বান তার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি বলেন, কুরস্কে ইউক্রেনীয় সেনারা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যে অত্যাচার চালিয়েছে, তা সন্ত্রাসবাদের পর্যায়ে পড়ে। তবে মানবতার খাতিরে তিনি ট্রাম্পের আহ্বান অবশ্যই বিবেচনা করবেন।
তিনি বলেছেন, ইউক্রেনীয় সেনারা যদি অস্ত্র ত্যাগ করে আত্মসমর্পণ করে, তবে তাদেরকে হত্যা করা হবে না এমন নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক ও রাশিয়ার আইন অনুযায়ী তাদের সঙ্গে আচরণবিধি বজায় রাখা হবে। ফলপ্রসূ’ আলাপের দাবি ট্রাম্পের :রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ভালো এবং ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্রই দিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মস্কোতে পুতিন ও বিশেষ মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের মধ্যে বৈঠকের পর ক্রেমলিন বলেছে যে, তারা শান্তি প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলাপ করেছে। রাশিয়া জানিয়েছে, তারাও যুক্তরাষ্ট্রের মতো আশাবাদী। এরপরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের তরফ থেকে ওই মন্তব্য এলো। ডনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে লেখেন, ‘এই ভয়াবহ ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হওয়ার খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।’
তবে, রাশিয়ার কুরস্কে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘিরে ফেলা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার দাবি, রুশ ওই অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনারা এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনারা এখনও রাশিয়ান এবং উত্তর কোরিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তবে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব সুমি অঞ্চলে ইউক্রেনীয বাহিনী সম্ভাব্য নতুন আক্রমণের মুখোমুখি হতে পারে বলে শনিবার জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
গত বছরের আগস্টে ব্যাপক আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশের সময় ইউক্রেনীয় সেনারা কুরস্ক অঞ্চলের “দখল” নিয়েছিল। তবে সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া পশ্চিম রাশিয়ান অঞ্চলে কয়েক মাস ধরে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সেনাদের বিতাড়িত করার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এর ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে “সম্পূর্ণভাবে ঘেরাও” করে ফেলেছে রাশিয়া।
যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা অনিশ্চিত
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই পাল্টাপাল্টি হামলা জোরদার করেছে ইউক্রেন ও রাশিয়া -এএফপি
রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫
রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অপরের ওপর বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে হতাহতের ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে। রবিবার সকালে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের জন্য প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত রয়ে গেছে। রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি মূলত ওয়াশিংটনের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করেন। তবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রুশ বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।
এরপর থেকেই উভয় পক্ষ ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিম রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে মাসব্যাপী দখলকৃত ঘাঁটি থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে হটিয়ে দেয়ার জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রবিবার জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট ইউক্রেনের মোট ৩১টি ড্রোন রাশিয়ার আকাশসীমায় ধ্বংস করেছে। টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর মধ্যে ১৬টি ড্রোন ভোরোনেজ অঞ্চলের ওপর, ৯টি বেলগোরোদ অঞ্চলে এবং বাকিগুলো রোস্তভ ও কুরস্ক অঞ্চলের আকাশে ভূপাতিত করা হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলে ৭ বছর বয়সী শিশু তিনজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর ভিয়াচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ। টেলিগ্রামে তিনি আরও জানান, গুবকিনস্কি জেলায় একটি ড্রোন একটি বাড়িতে আঘাত করলে আগুন ধরে যায় এবং এতে দুইজন আহত হয়। আরেকজন ডলগোয়ে গ্রামে একটি ড্রোন হামলায় আহত হয়েছে। ভোরোনেজের গভর্নর আলেকজান্ডার গুসেভ টেলিগ্রামে বলেছেন, এখন পর্যন্ত সেখানে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। দক্ষিণ রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত গভর্নরও জানিয়েছেন যে, সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, কুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলে থাকা ইউক্রেনীয় সেনারা আত্মসমর্পণ করলে তারা প্রাণভিক্ষা পাবেন বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শুক্রবার এ কথা বলেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প বলেছিলেন, কুরস্কে পুরোপুরি ঘেরাও হওয়া ইউক্রেনীয় সেনারা একদম অসহায় অবস্থায় পড়েছে। এই অবস্থায় তাদের প্রাণভিক্ষা দেয়ার জন্য পুতিনের কাছে আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি। নইলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ভয়াবহতম গণহত্যার একটি সেখানে সংঘটিত হতে পারে। তবে নিজ সেনাদের ‘ঘেরাও’ হওয়ার খবরকে রাশিয়ার ছড়ানো গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন।
তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন যে, কুরস্কে থাকা ইউক্রেনের সেনারা বেশ প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে আছে। শুক্রবার অনুষ্ঠিত রুশ নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনায় পুতিন বলেছেন, ট্রাম্পের আহ্বান তার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি বলেন, কুরস্কে ইউক্রেনীয় সেনারা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যে অত্যাচার চালিয়েছে, তা সন্ত্রাসবাদের পর্যায়ে পড়ে। তবে মানবতার খাতিরে তিনি ট্রাম্পের আহ্বান অবশ্যই বিবেচনা করবেন।
তিনি বলেছেন, ইউক্রেনীয় সেনারা যদি অস্ত্র ত্যাগ করে আত্মসমর্পণ করে, তবে তাদেরকে হত্যা করা হবে না এমন নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক ও রাশিয়ার আইন অনুযায়ী তাদের সঙ্গে আচরণবিধি বজায় রাখা হবে। ফলপ্রসূ’ আলাপের দাবি ট্রাম্পের :রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ভালো এবং ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্রই দিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মস্কোতে পুতিন ও বিশেষ মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের মধ্যে বৈঠকের পর ক্রেমলিন বলেছে যে, তারা শান্তি প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলাপ করেছে। রাশিয়া জানিয়েছে, তারাও যুক্তরাষ্ট্রের মতো আশাবাদী। এরপরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের তরফ থেকে ওই মন্তব্য এলো। ডনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে লেখেন, ‘এই ভয়াবহ ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হওয়ার খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।’
তবে, রাশিয়ার কুরস্কে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘিরে ফেলা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার দাবি, রুশ ওই অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনারা এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনারা এখনও রাশিয়ান এবং উত্তর কোরিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তবে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব সুমি অঞ্চলে ইউক্রেনীয বাহিনী সম্ভাব্য নতুন আক্রমণের মুখোমুখি হতে পারে বলে শনিবার জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
গত বছরের আগস্টে ব্যাপক আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশের সময় ইউক্রেনীয় সেনারা কুরস্ক অঞ্চলের “দখল” নিয়েছিল। তবে সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া পশ্চিম রাশিয়ান অঞ্চলে কয়েক মাস ধরে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সেনাদের বিতাড়িত করার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এর ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে “সম্পূর্ণভাবে ঘেরাও” করে ফেলেছে রাশিয়া।