বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ায় দক্ষিণ সুদানে আবারও গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে এমন সর্তকতা জারি করেছে জাতিসংঘ। দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘ মিশনের (টঘগওঝঝ) প্রধান নিকোলাস হেসম এ কথা জানান। আফ্রিকার দেশটির অবস্থা বর্তমানে ভয়াবহ। দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কির এবং উপরাষ্ট্রপতি রিক মাচারের অনুগত বাহিনীর মধ্যে এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘ কর্মকর্তা নিকোলাস হেসম জানান, যদি প্রেসিডেন্ট কির এবং মাচার উভয় তাদের জাতিগোষ্ঠীর স্বার্থকে তাদের নিজেদের স্বার্থের চেয়ে অগ্রাধিকার দিতে সক্ষম হন, তাহলেই কেবল শান্তি চুক্তির আলোচনার প্রচেষ্টা সম্ভব হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন যে, বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য জাতিগত দ্বন্দ্ব জাগিয়ে তুলছে। যা ক্রমবর্ধমান সহিংসতাকে আরও উস্কে দিচ্ছে। এ সহিংসতায় ইতোমধ্যে আফ্রিকার এই দেশটিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
দক্ষিণ সুদান ২০১১ সালে সুদান থেকে স্বাধীনতা লাভের পরপরই রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ওই সংঘাতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এরপর ২০১৮ সালে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণ সুদানে জাতীয় ঐকমতের সরকার গঠিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এমন প্রেক্ষাপটে পুনরায় বিশ্বের সবচেয়ে নতুন দেশটিতে উত্তেজনা দেখা দিলো। সুদানে জাতিসংঘ কর্মকর্তা নিকোলাস হেসম আরও জানান, মার্চের প্রথমদিকে উপরাষ্ট্রপতি রিক মাচারের মিত্র হিসেবে পরিচিত হোয়াইট আর্মির একদল যোদ্ধা হোয়াইট আর্মি নামে পরিচিত একদল যোদ্ধা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নীল রাজ্যের নাসির কাউন্টির একটি সামরিক ঘাঁটি দখল করে নেয়।
এর জবাবে দক্ষিণ সুদানের সৈন্যরা রাজধানী জুবায় মাচারের বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং তার বেশ কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া সামরিক বাহিনী নীল নদের ওপারে বিরোধী সম্প্রদায়গুলোকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানান নিকোলাস হাইসোম। বেসামরিক লোকদের উপর এমন নির্বিচারে হামলার ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ হতাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধের ফলে আনুমানিক ৬৩ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ‘এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি বিবেচনায় দক্ষিণ সুদান আবার গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে’, জাতিসংঘ এমনটিই মনে করছে বলে তিনি জানান।
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ায় দক্ষিণ সুদানে আবারও গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে এমন সর্তকতা জারি করেছে জাতিসংঘ। দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘ মিশনের (টঘগওঝঝ) প্রধান নিকোলাস হেসম এ কথা জানান। আফ্রিকার দেশটির অবস্থা বর্তমানে ভয়াবহ। দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কির এবং উপরাষ্ট্রপতি রিক মাচারের অনুগত বাহিনীর মধ্যে এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘ কর্মকর্তা নিকোলাস হেসম জানান, যদি প্রেসিডেন্ট কির এবং মাচার উভয় তাদের জাতিগোষ্ঠীর স্বার্থকে তাদের নিজেদের স্বার্থের চেয়ে অগ্রাধিকার দিতে সক্ষম হন, তাহলেই কেবল শান্তি চুক্তির আলোচনার প্রচেষ্টা সম্ভব হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন যে, বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য জাতিগত দ্বন্দ্ব জাগিয়ে তুলছে। যা ক্রমবর্ধমান সহিংসতাকে আরও উস্কে দিচ্ছে। এ সহিংসতায় ইতোমধ্যে আফ্রিকার এই দেশটিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
দক্ষিণ সুদান ২০১১ সালে সুদান থেকে স্বাধীনতা লাভের পরপরই রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ওই সংঘাতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এরপর ২০১৮ সালে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণ সুদানে জাতীয় ঐকমতের সরকার গঠিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এমন প্রেক্ষাপটে পুনরায় বিশ্বের সবচেয়ে নতুন দেশটিতে উত্তেজনা দেখা দিলো। সুদানে জাতিসংঘ কর্মকর্তা নিকোলাস হেসম আরও জানান, মার্চের প্রথমদিকে উপরাষ্ট্রপতি রিক মাচারের মিত্র হিসেবে পরিচিত হোয়াইট আর্মির একদল যোদ্ধা হোয়াইট আর্মি নামে পরিচিত একদল যোদ্ধা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নীল রাজ্যের নাসির কাউন্টির একটি সামরিক ঘাঁটি দখল করে নেয়।
এর জবাবে দক্ষিণ সুদানের সৈন্যরা রাজধানী জুবায় মাচারের বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং তার বেশ কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া সামরিক বাহিনী নীল নদের ওপারে বিরোধী সম্প্রদায়গুলোকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানান নিকোলাস হাইসোম। বেসামরিক লোকদের উপর এমন নির্বিচারে হামলার ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ হতাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধের ফলে আনুমানিক ৬৩ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ‘এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি বিবেচনায় দক্ষিণ সুদান আবার গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে’, জাতিসংঘ এমনটিই মনে করছে বলে তিনি জানান।