যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন হাজারো মানুষ। ‘৫০৫০১’ নামের ব্যানারে দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যে একযোগে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে শনিবার।
এই কর্মসূচির নামের অর্থ—৫০টি বিক্ষোভ, ৫০টি রাজ্য, ১টি আন্দোলন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা বিপ্লবী যুদ্ধ শুরুর ২৫০তম বার্ষিকীর সঙ্গে মিলিয়ে এ আয়োজন।
বিবিসি জানায়, হোয়াইট হাউস, টেসলা ডিলারদের শোরুম এবং বড় বড় শহরের প্রাণকেন্দ্রে মানুষ জমায়েত হয়ে নানা দাবিদাওয়া ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকে ভুলবশত এল সালভাদরে নির্বাসিত আব্রেগো গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে প্ল্যাকার্ড বহন করেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ট্রাম্প প্রশাসন নাগরিকদের অধিকার খর্ব করছে, সরকারি চাকরি ছাঁটাইসহ ব্যয় সংকোচন নীতিতে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়ানো হচ্ছে, এবং অভিবাসন ইস্যুতে মানবিকতা বিবর্জিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিক্ষোভকারী গিহাদ এলগেন্ডি বলেন, “আব্রেগো গার্সিয়ার নির্বাসন পুরোপুরি অমানবিক। ট্রাম্প চাইলে এল সালভাদরকে চাপ দিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে আনতে পারেন।”
বিবিসি জানায়, বিক্ষোভগুলো মূলত শান্তিপূর্ণ হলেও ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসম্যান সুহাস সুব্রহ্মণ্যমের এক্স পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাম্পের সমর্থক একজন উত্তেজিত হয়ে তাঁর সামনে গিয়ে প্রতিবাদ করেন।
‘নো কিংস’ লেখা প্ল্যাকার্ড ও স্বাধীনতা যুদ্ধের পোশাকে বিক্ষোভকারীদের অনেকে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকার সংগ্রামের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। ম্যাসাচুসেটসের লেক্সিংটন ও কনকর্ডের স্মৃতিতে বোস্টনের বিক্ষোভে দেখা গেছে ঐতিহাসিক পোশাকে অংশগ্রহণ।
বস্টনে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া টমাস বাসফোর্ড বলেন, “আমার ছেলে ও নাতিদের সঙ্গে নিয়ে এসেছি যেন তারা বুঝতে পারে, কখনো কখনো স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে হয়।”
গ্যালাপের সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের বর্তমান জনপ্রিয়তা ৪৫ শতাংশ। যদিও তাঁর প্রথম মেয়াদের শুরুর তুলনায় এই হার খানিকটা বেশি, তবে ১৯৫২ থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রেসিডেন্টদের গড় জনপ্রিয়তার (৬০ শতাংশ) তুলনায় তা অনেক কম।
রয়টার্স/ইপসোস জরিপেও দেখা গেছে, ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতিতে জনসমর্থন ৪২ শতাংশ থেকে কমে ৩৭ শতাংশে নেমেছে।
সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ ছিল এ মাসের শুরুতে, যেখানে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ১২০০ স্থানে কর্মসূচি পালিত হয়। শনিবারের ‘৫০৫০১’ কর্মসূচি ছিল তারই ধারাবাহিকতায় আরেকটি শক্তিশালী বার্তা।
রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন হাজারো মানুষ। ‘৫০৫০১’ নামের ব্যানারে দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যে একযোগে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে শনিবার।
এই কর্মসূচির নামের অর্থ—৫০টি বিক্ষোভ, ৫০টি রাজ্য, ১টি আন্দোলন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা বিপ্লবী যুদ্ধ শুরুর ২৫০তম বার্ষিকীর সঙ্গে মিলিয়ে এ আয়োজন।
বিবিসি জানায়, হোয়াইট হাউস, টেসলা ডিলারদের শোরুম এবং বড় বড় শহরের প্রাণকেন্দ্রে মানুষ জমায়েত হয়ে নানা দাবিদাওয়া ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকে ভুলবশত এল সালভাদরে নির্বাসিত আব্রেগো গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে প্ল্যাকার্ড বহন করেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ট্রাম্প প্রশাসন নাগরিকদের অধিকার খর্ব করছে, সরকারি চাকরি ছাঁটাইসহ ব্যয় সংকোচন নীতিতে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়ানো হচ্ছে, এবং অভিবাসন ইস্যুতে মানবিকতা বিবর্জিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিক্ষোভকারী গিহাদ এলগেন্ডি বলেন, “আব্রেগো গার্সিয়ার নির্বাসন পুরোপুরি অমানবিক। ট্রাম্প চাইলে এল সালভাদরকে চাপ দিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে আনতে পারেন।”
বিবিসি জানায়, বিক্ষোভগুলো মূলত শান্তিপূর্ণ হলেও ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসম্যান সুহাস সুব্রহ্মণ্যমের এক্স পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাম্পের সমর্থক একজন উত্তেজিত হয়ে তাঁর সামনে গিয়ে প্রতিবাদ করেন।
‘নো কিংস’ লেখা প্ল্যাকার্ড ও স্বাধীনতা যুদ্ধের পোশাকে বিক্ষোভকারীদের অনেকে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকার সংগ্রামের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। ম্যাসাচুসেটসের লেক্সিংটন ও কনকর্ডের স্মৃতিতে বোস্টনের বিক্ষোভে দেখা গেছে ঐতিহাসিক পোশাকে অংশগ্রহণ।
বস্টনে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া টমাস বাসফোর্ড বলেন, “আমার ছেলে ও নাতিদের সঙ্গে নিয়ে এসেছি যেন তারা বুঝতে পারে, কখনো কখনো স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে হয়।”
গ্যালাপের সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের বর্তমান জনপ্রিয়তা ৪৫ শতাংশ। যদিও তাঁর প্রথম মেয়াদের শুরুর তুলনায় এই হার খানিকটা বেশি, তবে ১৯৫২ থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রেসিডেন্টদের গড় জনপ্রিয়তার (৬০ শতাংশ) তুলনায় তা অনেক কম।
রয়টার্স/ইপসোস জরিপেও দেখা গেছে, ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতিতে জনসমর্থন ৪২ শতাংশ থেকে কমে ৩৭ শতাংশে নেমেছে।
সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ ছিল এ মাসের শুরুতে, যেখানে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ১২০০ স্থানে কর্মসূচি পালিত হয়। শনিবারের ‘৫০৫০১’ কর্মসূচি ছিল তারই ধারাবাহিকতায় আরেকটি শক্তিশালী বার্তা।