ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আহ্বান সত্ত্বেও দেশটিতে চলমান যুদ্ধ নিয়ে বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য শান্তি আলোচনায় থাকছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের তরফ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিন বছরের মধ্যে মস্কো ও কিইভের মধ্যে হতে যাওয়া প্রথম সরাসরি শান্তি আলোচনা হতে যাচ্ছে। এতে অংশ নিতে তুরস্কে যাচ্ছেন না বিশ্বের দুই ক্ষমতাধর নেতা ডনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন।
বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে এই শান্তি আলোচনা হওয়ার কথা। এতে প্রেসিডেন্ট পুতিন না গেলেও রাশিয়া অভিজ্ঞ টেকনোক্রেটদের একটি দল পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যদিও গত রোববার রুশ প্রেসিডেন্টই ‘কোনো শর্ত ছাড়া’ ইউক্রেইনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে সরাসরি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
কিন্তু বুধবার ক্রেমলিন শান্তি আলোচনায় মস্কোর প্রতিনিধিদের যে নাম ঘোষণা করেছে তাতে পুতিন নেই, আছেন তার উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মেদিনস্কি ও উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সান্ডার ফোমিনসহ কয়েকজন কুশলী আলোচক। ২০২২ সালে তুরস্কে ইউক্রেইনের সঙ্গে হওয়া আলোচনাতেও রাশিয়ার প্রতিনিধি দলে ছিলেন মেদিনস্কি ও ফোমিন।
ক্রেমলিনের প্রতিনিধি দলের নাম ঘোষণার পর মার্কিন এক কর্মকর্তা জানান, ট্রাম্পও ইস্তাম্বুল যাচ্ছেন না। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর আগে বলেছিলেন, পুতিন শান্তি আলোচনায় গেলে তিনিও তাতে অংশ নেওয়ার কথা ভাববেন।
তবে রুশ প্রেসিডেন্ট কখনোই শান্তি আলোচনায় নিজে উপস্থিত থাকবেন এমন কথা বলেননি। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের হেভিওয়েট দুই প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি ইস্তাম্বুলের আলোচনা থেকে বড় কিছু প্রাপ্তির প্রত্যাশা কমিয়ে দিল, বলছে রয়টার্স। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এর আগে ক্রেমলিনের নেতার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছিলেন, “ভয় না পেলে তিনি আলোচনায় আসবেন।” এর মাধ্যমে কিইভের এই নেতা সম্ভবত ট্রাম্পকে দেখাতে চেয়েছেন যে তিনি অন্যদের চেয়ে বেশি শান্তিকামী। জেলেনস্কি এরই মধ্যে তুরস্কের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেইনের এক কর্মকর্তা। এর আগে কিইভের এই নেতা বলেছিলেন, পুতিন উপস্থিত হলেই কেবল তিনি শান্তি আলোচনায় অংশ নেবেন।
ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি চাইছেন; এর বাইরে ইস্তাম্বুলের আলোচনায় যুদ্ধবন্দি বিনিময় নিয়েও কথা হতে পারে, বলেছেন রাশিয়ার এক আইনপ্রণেতা।
জেলেনস্কিও ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির পক্ষে। তবে পুতিন বলেছেন, আগে আলোচনা শুরু করতে হবে যেখানে এ ধরনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে বিস্তারিত কথা হতে পারে।
শান্তি আলোচনায় মস্কো বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাদের ওপর ‘পরোক্ষ নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের বিষয়টি সবসময় বিবেচনাধীন রয়েছে বলে ট্রাম্প আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন।
নির্বাচনী প্রচারে ক্ষমতায় গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেইনে শান্তি প্রতিষ্ঠার ওয়াদা দেওয়া রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্টকে গত কিছুদিন ধরে মস্কো ও কিইভ উভয়ের ওপরই ব্যাপক হতাশ হতে দেখা গেছে।
শান্তি আলোচনায় কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় মার্কিন কর্মকর্তারাও এখন রাশিয়ার ওপর আরও আর্থিক নিষেধাজ্ঞা এবং রুশ তেলের ক্রেতাদের ওপর সম্ভাব্য পরোক্ষ নিষেধাজ্ঞার কথা বলাবলি করছেন।
বুধবার ইউক্রেইনের একটি কূটনৈতিক সূত্র রয়টার্সকে বলেছিল, পুতিনের উপস্থিতির ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পরই কিইভের নেতারা শান্তি আলোচনা নিয়ে নিজেদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।
তুরস্কে আলোচনায় মার্কিন প্রতিনিধি দলে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং দুই জ্যেষ্ঠ দূত স্টিভ উইটকফ ও কিথ কেলগ। এরপর বৃহস্পতিবার ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা জানান, তিনি রুবিওর সঙ্গে দেখা করে জেলেনস্কির শান্তি পরিকল্পনা শেয়ার করেছেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কোর ভাষায় ‘নব্য নাৎসিদের মূলোৎপাটনে’ শুরু হওয়া ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ পুতিন কয়েক লাখ সেনা ইউক্রেইনে পাঠানোর এক মাস পর ইস্তাম্বুলে দুই পক্ষ মুখোমুখি আলোচনায় বসেছিল। তাতে সাময়িক কিছু অগ্রগতি দেখা গেলেও যুদ্ধ বন্ধ করা যায়নি।
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আহ্বান সত্ত্বেও দেশটিতে চলমান যুদ্ধ নিয়ে বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য শান্তি আলোচনায় থাকছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের তরফ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিন বছরের মধ্যে মস্কো ও কিইভের মধ্যে হতে যাওয়া প্রথম সরাসরি শান্তি আলোচনা হতে যাচ্ছে। এতে অংশ নিতে তুরস্কে যাচ্ছেন না বিশ্বের দুই ক্ষমতাধর নেতা ডনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন।
বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে এই শান্তি আলোচনা হওয়ার কথা। এতে প্রেসিডেন্ট পুতিন না গেলেও রাশিয়া অভিজ্ঞ টেকনোক্রেটদের একটি দল পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যদিও গত রোববার রুশ প্রেসিডেন্টই ‘কোনো শর্ত ছাড়া’ ইউক্রেইনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে সরাসরি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
কিন্তু বুধবার ক্রেমলিন শান্তি আলোচনায় মস্কোর প্রতিনিধিদের যে নাম ঘোষণা করেছে তাতে পুতিন নেই, আছেন তার উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মেদিনস্কি ও উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সান্ডার ফোমিনসহ কয়েকজন কুশলী আলোচক। ২০২২ সালে তুরস্কে ইউক্রেইনের সঙ্গে হওয়া আলোচনাতেও রাশিয়ার প্রতিনিধি দলে ছিলেন মেদিনস্কি ও ফোমিন।
ক্রেমলিনের প্রতিনিধি দলের নাম ঘোষণার পর মার্কিন এক কর্মকর্তা জানান, ট্রাম্পও ইস্তাম্বুল যাচ্ছেন না। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর আগে বলেছিলেন, পুতিন শান্তি আলোচনায় গেলে তিনিও তাতে অংশ নেওয়ার কথা ভাববেন।
তবে রুশ প্রেসিডেন্ট কখনোই শান্তি আলোচনায় নিজে উপস্থিত থাকবেন এমন কথা বলেননি। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের হেভিওয়েট দুই প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি ইস্তাম্বুলের আলোচনা থেকে বড় কিছু প্রাপ্তির প্রত্যাশা কমিয়ে দিল, বলছে রয়টার্স। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এর আগে ক্রেমলিনের নেতার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছিলেন, “ভয় না পেলে তিনি আলোচনায় আসবেন।” এর মাধ্যমে কিইভের এই নেতা সম্ভবত ট্রাম্পকে দেখাতে চেয়েছেন যে তিনি অন্যদের চেয়ে বেশি শান্তিকামী। জেলেনস্কি এরই মধ্যে তুরস্কের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেইনের এক কর্মকর্তা। এর আগে কিইভের এই নেতা বলেছিলেন, পুতিন উপস্থিত হলেই কেবল তিনি শান্তি আলোচনায় অংশ নেবেন।
ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি চাইছেন; এর বাইরে ইস্তাম্বুলের আলোচনায় যুদ্ধবন্দি বিনিময় নিয়েও কথা হতে পারে, বলেছেন রাশিয়ার এক আইনপ্রণেতা।
জেলেনস্কিও ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির পক্ষে। তবে পুতিন বলেছেন, আগে আলোচনা শুরু করতে হবে যেখানে এ ধরনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে বিস্তারিত কথা হতে পারে।
শান্তি আলোচনায় মস্কো বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাদের ওপর ‘পরোক্ষ নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের বিষয়টি সবসময় বিবেচনাধীন রয়েছে বলে ট্রাম্প আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন।
নির্বাচনী প্রচারে ক্ষমতায় গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেইনে শান্তি প্রতিষ্ঠার ওয়াদা দেওয়া রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্টকে গত কিছুদিন ধরে মস্কো ও কিইভ উভয়ের ওপরই ব্যাপক হতাশ হতে দেখা গেছে।
শান্তি আলোচনায় কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় মার্কিন কর্মকর্তারাও এখন রাশিয়ার ওপর আরও আর্থিক নিষেধাজ্ঞা এবং রুশ তেলের ক্রেতাদের ওপর সম্ভাব্য পরোক্ষ নিষেধাজ্ঞার কথা বলাবলি করছেন।
বুধবার ইউক্রেইনের একটি কূটনৈতিক সূত্র রয়টার্সকে বলেছিল, পুতিনের উপস্থিতির ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পরই কিইভের নেতারা শান্তি আলোচনা নিয়ে নিজেদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।
তুরস্কে আলোচনায় মার্কিন প্রতিনিধি দলে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং দুই জ্যেষ্ঠ দূত স্টিভ উইটকফ ও কিথ কেলগ। এরপর বৃহস্পতিবার ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা জানান, তিনি রুবিওর সঙ্গে দেখা করে জেলেনস্কির শান্তি পরিকল্পনা শেয়ার করেছেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কোর ভাষায় ‘নব্য নাৎসিদের মূলোৎপাটনে’ শুরু হওয়া ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ পুতিন কয়েক লাখ সেনা ইউক্রেইনে পাঠানোর এক মাস পর ইস্তাম্বুলে দুই পক্ষ মুখোমুখি আলোচনায় বসেছিল। তাতে সাময়িক কিছু অগ্রগতি দেখা গেলেও যুদ্ধ বন্ধ করা যায়নি।