আহমেদাবাদে ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ২৪২ আরোহীর সবাই প্রাণ হারালেও অলৌকিকভাবে একজনের বেঁচে থাকার খবর পাওয়া গেছে।
দুর্ঘটনার পর ‘কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই’ এমন বক্তব্যের মাঝেই আহমেদাবাদ পুলিশ একজন জীবিত যাত্রীর তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীর নাম বিশ্বাস কুমার রমেশ, যিনি একজন ব্রিটিশ-ভারতীয় নাগরিক। তিনি উড়োজাহাজের ১১এ নম্বর আসনে ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। তার গায়ে থাকা সাদা টি-শার্ট ও কালো ট্রাউজারে নোংরা ও রক্তের দাগ ছিল। পায়ে আঘাত পেয়ে তিনি খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন।
আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জানান, রমেশকে হাসপাতালে পাওয়া গেছে এবং তার চিকিৎসা চলছে।
ভারত ভ্রমণ শেষে রমেশ যুক্তরাজ্যে ফিরছিলেন। উড়োজাহাজটিতে তার ভাইও ছিলেন, দুর্ঘটনার পর যাকে তিনি খুঁজছেন।
হাসপাতালে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় রমেশ নিজের বোর্ডিং পাস দেখান, যাতে তার নাম ও আসন নম্বর স্পষ্ট দেখা যায়।
ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, উড্ডয়নের প্রায় ৩০ সেকেন্ড পর একটি বিকট শব্দ হয় এবং এরপরই উড়োজাহাজটি ভূপাতিত হয়। সবকিছু খুব দ্রুত ঘটে যায়।
বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দিয়েই দুর্ঘটনায় পড়ে।
উড়োজাহাজটিতে ২৩২ জন যাত্রী ও ১০ জন ক্রু ছিলেন বলে ভারতের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
উড্ডয়নের কিছু সময় পর আরও ওপরে উঠতে ব্যর্থ হয়ে উড়োজাহাজটি নিচে নেমে আসে এবং বিমানবন্দরের পাশে একটি মেডিকেল হোস্টেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এতে হোস্টেলের অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
উড়োজাহাজের যাত্রীদের মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডীয় এবং ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। বাকিরা সবাই ভারতীয়।
আহমেদাবাদের পুলিশপ্রধান জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের আরোহীদের কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২০৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে উদ্ধারকৃতরা সবাই উড়োজাহাজের যাত্রী কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
কারণ উড়োজাহাজটি একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়েছিল, যেখানে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সূত্রে জানা গেছে, দুপুর দেড়টার কিছু পর রানওয়ে ২৩ থেকে উড়াল দেওয়ার পর উড়োজাহাজটি ‘মে ডে’ সংকেত দেয় এবং তারপরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
আহমেদাবাদে ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ২৪২ আরোহীর সবাই প্রাণ হারালেও অলৌকিকভাবে একজনের বেঁচে থাকার খবর পাওয়া গেছে।
দুর্ঘটনার পর ‘কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই’ এমন বক্তব্যের মাঝেই আহমেদাবাদ পুলিশ একজন জীবিত যাত্রীর তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীর নাম বিশ্বাস কুমার রমেশ, যিনি একজন ব্রিটিশ-ভারতীয় নাগরিক। তিনি উড়োজাহাজের ১১এ নম্বর আসনে ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। তার গায়ে থাকা সাদা টি-শার্ট ও কালো ট্রাউজারে নোংরা ও রক্তের দাগ ছিল। পায়ে আঘাত পেয়ে তিনি খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন।
আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জানান, রমেশকে হাসপাতালে পাওয়া গেছে এবং তার চিকিৎসা চলছে।
ভারত ভ্রমণ শেষে রমেশ যুক্তরাজ্যে ফিরছিলেন। উড়োজাহাজটিতে তার ভাইও ছিলেন, দুর্ঘটনার পর যাকে তিনি খুঁজছেন।
হাসপাতালে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় রমেশ নিজের বোর্ডিং পাস দেখান, যাতে তার নাম ও আসন নম্বর স্পষ্ট দেখা যায়।
ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, উড্ডয়নের প্রায় ৩০ সেকেন্ড পর একটি বিকট শব্দ হয় এবং এরপরই উড়োজাহাজটি ভূপাতিত হয়। সবকিছু খুব দ্রুত ঘটে যায়।
বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দিয়েই দুর্ঘটনায় পড়ে।
উড়োজাহাজটিতে ২৩২ জন যাত্রী ও ১০ জন ক্রু ছিলেন বলে ভারতের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
উড্ডয়নের কিছু সময় পর আরও ওপরে উঠতে ব্যর্থ হয়ে উড়োজাহাজটি নিচে নেমে আসে এবং বিমানবন্দরের পাশে একটি মেডিকেল হোস্টেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এতে হোস্টেলের অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
উড়োজাহাজের যাত্রীদের মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডীয় এবং ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। বাকিরা সবাই ভারতীয়।
আহমেদাবাদের পুলিশপ্রধান জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের আরোহীদের কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২০৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে উদ্ধারকৃতরা সবাই উড়োজাহাজের যাত্রী কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
কারণ উড়োজাহাজটি একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়েছিল, যেখানে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সূত্রে জানা গেছে, দুপুর দেড়টার কিছু পর রানওয়ে ২৩ থেকে উড়াল দেওয়ার পর উড়োজাহাজটি ‘মে ডে’ সংকেত দেয় এবং তারপরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।