ইরানে ইসরায়েলের বিমান হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সোমবার ভোর থেকে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ শুরু করেছে তেহরান। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। পরিস্থিতি সামাল দিতে সারা দেশে জারি করা হয়েছে জরুরি সতর্কতা।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব, জেরুজালেমসহ একাধিক শহরে সাইরেন বাজতে শুরু করেছে। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে বিভিন্ন এলাকা। আইডিএফ-এর মুখপাত্র জানিয়েছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে, তবে সেটি পুরোপুরি অপ্রবেশযোগ্য নয়।
সিএনএনের এক প্রযোজক জেরুজালেমে থেকে সাইরেন ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পাশাপাশি আকাশে উড়ন্ত ক্ষেপণাস্ত্রের দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করেন। ইসরায়েলের জরুরি চিকিৎসা সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের টিম আক্রান্ত এলাকায় পৌঁছেছে।
পেতাহ টিকভা শহরের একটি আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে আগুন ধরে যায় বলে জানিয়েছে ওয়াইনেট নিউজ। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে মধ্য ইরানে একাধিক স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এসব হামলা মূলত ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র লক্ষ্য করে চালানো হয়।
আইডিএফ-এর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “আমাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, মধ্য ইরানের যেসব স্থান থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল, সেসবকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছে।”
ইসরায়েলি হামলায় রোববার পর্যন্ত ইরানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৪ জনে, আহত হয়েছেন ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। নিহতদের ৯০ শতাংশেরও বেশি সাধারণ বেসামরিক নাগরিক বলে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলেও প্রাণহানি ঘটেছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিন শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৮৫ জন, এর মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তেল আবিবের দক্ষিণে বাত ইয়াম শহরে নিহত হয়েছেন ছয়জন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও সাতজন। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন জরুরি পরিষেবার সদস্যরা।
১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এখন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পরিণত হয়েছে। ইরানের বিভিন্ন শহরে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
ইরানে ইসরায়েলের বিমান হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সোমবার ভোর থেকে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ শুরু করেছে তেহরান। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। পরিস্থিতি সামাল দিতে সারা দেশে জারি করা হয়েছে জরুরি সতর্কতা।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব, জেরুজালেমসহ একাধিক শহরে সাইরেন বাজতে শুরু করেছে। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে বিভিন্ন এলাকা। আইডিএফ-এর মুখপাত্র জানিয়েছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে, তবে সেটি পুরোপুরি অপ্রবেশযোগ্য নয়।
সিএনএনের এক প্রযোজক জেরুজালেমে থেকে সাইরেন ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পাশাপাশি আকাশে উড়ন্ত ক্ষেপণাস্ত্রের দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করেন। ইসরায়েলের জরুরি চিকিৎসা সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের টিম আক্রান্ত এলাকায় পৌঁছেছে।
পেতাহ টিকভা শহরের একটি আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে আগুন ধরে যায় বলে জানিয়েছে ওয়াইনেট নিউজ। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে মধ্য ইরানে একাধিক স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এসব হামলা মূলত ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র লক্ষ্য করে চালানো হয়।
আইডিএফ-এর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “আমাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, মধ্য ইরানের যেসব স্থান থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল, সেসবকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছে।”
ইসরায়েলি হামলায় রোববার পর্যন্ত ইরানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৪ জনে, আহত হয়েছেন ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। নিহতদের ৯০ শতাংশেরও বেশি সাধারণ বেসামরিক নাগরিক বলে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলেও প্রাণহানি ঘটেছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিন শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৮৫ জন, এর মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তেল আবিবের দক্ষিণে বাত ইয়াম শহরে নিহত হয়েছেন ছয়জন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও সাতজন। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন জরুরি পরিষেবার সদস্যরা।
১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এখন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পরিণত হয়েছে। ইরানের বিভিন্ন শহরে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।