যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে, তবে চুপ থাকবে না তেহরান। এমন পরিস্থিতির জন্য এখন থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে নিশানা করে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান।
এই তথ্য জানিয়েছেন ইরানের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তারা বলেন, প্রথমে ইরাকে থাকা মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে। এরপর অন্যান্য আরব দেশে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোতেও হামলা চালাবে তেহরান।
এমন খবর এমন সময় এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ফরদো পারমাণবিক কেন্দ্রে ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলা পরিকল্পনায় সমর্থন দেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন।
ইরানের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনাটি এখনও পর্যন্ত টিকে আছে এবং সেটিকে লক্ষ্য করেই নতুন হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী চান, যুক্তরাষ্ট্র যেন ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনা ফোর্দোয় বোমা ফেলে। কারণ, এই স্থাপনাটি ধ্বংস করতে যে ধরনের বোমা দরকার, তা কেবল যুক্তরাষ্ট্রেরই রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে ইরানের আশঙ্কা, যেকোনো সময় যুক্তরাষ্ট্র তাদের উপর হামলা চালাতে পারে। আর এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে পাল্টা জবাবও দেবে ইরান।
তেহরানের কর্মকর্তারা আরও সতর্ক করে বলেছেন, প্রয়োজনে ইরান হরমুজ প্রণালীতে মাইন বসিয়ে দিতে পারে। এই প্রণালী বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ। সেখানে মাইন পেতে দিলে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। এতে বিশ্বজুড়ে হঠাৎ করেই বেড়ে যেতে পারে জ্বালানির দাম।
এ ছাড়া আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরাও আবার লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করতে পারে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উড়োজাহাজগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে, যা ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে সামরিক প্রস্তুতি বাড়ানোরই ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ওদিকে, একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প এখন এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জড়ানোর ব্যাপারে আগের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে, তবে চুপ থাকবে না তেহরান। এমন পরিস্থিতির জন্য এখন থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে নিশানা করে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান।
এই তথ্য জানিয়েছেন ইরানের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তারা বলেন, প্রথমে ইরাকে থাকা মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে। এরপর অন্যান্য আরব দেশে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোতেও হামলা চালাবে তেহরান।
এমন খবর এমন সময় এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ফরদো পারমাণবিক কেন্দ্রে ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলা পরিকল্পনায় সমর্থন দেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন।
ইরানের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনাটি এখনও পর্যন্ত টিকে আছে এবং সেটিকে লক্ষ্য করেই নতুন হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী চান, যুক্তরাষ্ট্র যেন ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনা ফোর্দোয় বোমা ফেলে। কারণ, এই স্থাপনাটি ধ্বংস করতে যে ধরনের বোমা দরকার, তা কেবল যুক্তরাষ্ট্রেরই রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে ইরানের আশঙ্কা, যেকোনো সময় যুক্তরাষ্ট্র তাদের উপর হামলা চালাতে পারে। আর এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে পাল্টা জবাবও দেবে ইরান।
তেহরানের কর্মকর্তারা আরও সতর্ক করে বলেছেন, প্রয়োজনে ইরান হরমুজ প্রণালীতে মাইন বসিয়ে দিতে পারে। এই প্রণালী বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ। সেখানে মাইন পেতে দিলে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। এতে বিশ্বজুড়ে হঠাৎ করেই বেড়ে যেতে পারে জ্বালানির দাম।
এ ছাড়া আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরাও আবার লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করতে পারে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উড়োজাহাজগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে, যা ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে সামরিক প্রস্তুতি বাড়ানোরই ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ওদিকে, একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প এখন এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জড়ানোর ব্যাপারে আগের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।