ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে এইচ-ওয়ান বি ভিসার জন্য এক লাখ ডলারের ফি চালুর ঘোষণা দিয়েছেন। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে দেশটিতে অভিবাসনপ্রত্যাশী হাজারো তরুণ প্রযুক্তি পেশাজীবীর মধ্যে। ঠিক এমন সময়ই নতুন ‘কে ভিসা’ ঘোষণা করেছে চীন, যা আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
নতুন প্রবর্তিত কে ভিসাধারীরা চীনের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি খাতে কাজ করার পাশাপাশি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়িক কাজে অংশ নিতে পারবেন। এই ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া তুলনামূলক সহজ হবে এবং এর জন্য কোনো দেশীয় প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র লাগবে না। চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের উন্নয়নে বৈশ্বিক প্রতিভার অংশগ্রহণ জরুরি বলে মনে করে তারা। তাই এ সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াবে।
এদিকে এই পরিস্থিতিকে সুযোগ হিসেবে দেখছে যুক্তরাজ্যও। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানী, গবেষক ও আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের আকৃষ্ট করতে ভিসা ফি পুরোপুরি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসার আবেদন ফি প্রায় ৭৬৬ পাউন্ড। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে যারা হতাশ হচ্ছেন, তাদের অনেকেই ব্রিটেনে যাওয়ার কথা ভাববেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এইচ-ওয়ান বি ভিসা নীতিতে সবচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছে ভারত। দেশটির ২৮৩ বিলিয়ন ডলারের আইটি খাত বহু বছর ধরে এইচ-ওয়ান বি ভিসার ওপর নির্ভরশীল। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত মানবিক সংকট তৈরি করবে এবং পরিবারগুলোকে বিপদে ফেলবে। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, ‘তারা আমাদের প্রতিভাকে ভয় পাচ্ছে।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একজন প্রযুক্তি কর্মী বলেন, ‘এটি একরকম ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মতো। কেউ জানে না প্রক্রিয়াটি কীভাবে চলবে।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে বৈশ্বিক প্রতিভা বিনিময়ের মানচিত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে এইচ-ওয়ান বি ভিসার জন্য এক লাখ ডলারের ফি চালুর ঘোষণা দিয়েছেন। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে দেশটিতে অভিবাসনপ্রত্যাশী হাজারো তরুণ প্রযুক্তি পেশাজীবীর মধ্যে। ঠিক এমন সময়ই নতুন ‘কে ভিসা’ ঘোষণা করেছে চীন, যা আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
নতুন প্রবর্তিত কে ভিসাধারীরা চীনের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি খাতে কাজ করার পাশাপাশি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়িক কাজে অংশ নিতে পারবেন। এই ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া তুলনামূলক সহজ হবে এবং এর জন্য কোনো দেশীয় প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র লাগবে না। চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের উন্নয়নে বৈশ্বিক প্রতিভার অংশগ্রহণ জরুরি বলে মনে করে তারা। তাই এ সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াবে।
এদিকে এই পরিস্থিতিকে সুযোগ হিসেবে দেখছে যুক্তরাজ্যও। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানী, গবেষক ও আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের আকৃষ্ট করতে ভিসা ফি পুরোপুরি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসার আবেদন ফি প্রায় ৭৬৬ পাউন্ড। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে যারা হতাশ হচ্ছেন, তাদের অনেকেই ব্রিটেনে যাওয়ার কথা ভাববেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এইচ-ওয়ান বি ভিসা নীতিতে সবচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছে ভারত। দেশটির ২৮৩ বিলিয়ন ডলারের আইটি খাত বহু বছর ধরে এইচ-ওয়ান বি ভিসার ওপর নির্ভরশীল। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত মানবিক সংকট তৈরি করবে এবং পরিবারগুলোকে বিপদে ফেলবে। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, ‘তারা আমাদের প্রতিভাকে ভয় পাচ্ছে।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একজন প্রযুক্তি কর্মী বলেন, ‘এটি একরকম ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মতো। কেউ জানে না প্রক্রিয়াটি কীভাবে চলবে।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে বৈশ্বিক প্রতিভা বিনিময়ের মানচিত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।