জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প অবিলম্বে ফিলিস্তিন ‘যুদ্ধ’ বন্ধে ‘কার্যকর পদক্ষেপ’ নেওয়ার উপর জোর দিয়েছেন। তবে তিনি হামাসকে দায়ি করেছেন ‘যৌক্তিক’ শান্তি প্রস্তাব ‘প্রত্যাখ্যানের’ জন্য।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। আমাদের এটি থামাতেই হবে।’
ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ‘হামাস বারবার যৌক্তিক শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।’ তিনি আগেও এমন অভিযোগ করেছেন। তবে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি নাকচ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি আটকে দেয়ার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে গোষ্ঠীটি।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের এটা (গাজা যুদ্ধ) শেষ করতে হবে। আমাদের আলোচনা করতে হবে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা ২০ জনকে ফিরিয়ে আনতে চাই। আমাদের এখনই তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা ৩৮ জন মৃতদেহও ফেরত চাই।’
গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের মধ্যে মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন চলছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে বিতর্ক-পর্ব। এই পর্বের শুরুতে ভাষণ দেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস। এরপর বক্তব্য দেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের পর পোডিয়ামে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভাষণে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
পশ্চিমা দেশগুলোর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি হামাসের জন্য ‘পুরস্কার’।
*জাতিসংঘকে অকার্যকর ঘোষণা ট্রাম্পের*
ভাষণে জাতিসংঘের কঠোর সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। দাবি করেছেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ অকার্যকর’। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের অসাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে। আমি সবসময় বলেছি - এর এত অসাধারণ, অসাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এটি তার কাছাকাছিও পৌঁছাচ্ছে না।’
বিশ্বব্যাপী সংঘাতে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রচেষ্টায় নিজের অনন্য ভূমিকা তুলে ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি সাতটি ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। যদিও এর মধ্যে কয়েকটিতে ওয়াশিংটনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবুও বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে তিনি দাবি করেন, এ সাফল্য তার নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা প্রমাণ করে এবং একই সঙ্গে জাতিসংঘের অকার্যকারিতা স্পষ্ট করে।
ট্রাম্প বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, এসব কাজ আমাকে করতে হলো, অথচ জাতিসংঘ কিছুই করলো না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, কোনো ক্ষেত্রেই সংস্থাটি সহায়তা করার চেষ্টা পর্যন্ত করেনি।’ তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে একবার ভাঙা লিফট (এসকেলেটর) আর নষ্ট টেলিপ্রম্পটারের অভিজ্ঞতার কথাও উল্লেখ করেন।
ট্রাম্পের ভাষায়, ‘জাতিসংঘ থেকে আমি শুধু দুটো জিনিসই পেয়েছি-একটি হচ্ছে খারাপ এসকেলেটর আর আরেকটি টেলিপ্রম্পটার।’
তিনি আরও বলেন, ‘তখন এটি নিয়ে ভাবার সময় পাইনি, কারণ আমি লাখো প্রাণ বাঁচাতে আর যুদ্ধ থামাতে ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু পরে বুঝেছি, জাতিসংঘ আমাদের জন্য ছিল না।’
জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি এমনটাই হয়, তবে জাতিসংঘের উদ্দেশ্য আসলে কী? জাতিসংঘের অসাধারণ সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু সংস্থাটি এর ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেনি। এখন যা করছে তা হলো কঠোর ভাষায় চিঠি লেখা-তারপর আর কোনো পদক্ষেপই নেয় না।’
বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প অবিলম্বে ফিলিস্তিন ‘যুদ্ধ’ বন্ধে ‘কার্যকর পদক্ষেপ’ নেওয়ার উপর জোর দিয়েছেন। তবে তিনি হামাসকে দায়ি করেছেন ‘যৌক্তিক’ শান্তি প্রস্তাব ‘প্রত্যাখ্যানের’ জন্য।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। আমাদের এটি থামাতেই হবে।’
ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ‘হামাস বারবার যৌক্তিক শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।’ তিনি আগেও এমন অভিযোগ করেছেন। তবে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি নাকচ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি আটকে দেয়ার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে গোষ্ঠীটি।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের এটা (গাজা যুদ্ধ) শেষ করতে হবে। আমাদের আলোচনা করতে হবে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা ২০ জনকে ফিরিয়ে আনতে চাই। আমাদের এখনই তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা ৩৮ জন মৃতদেহও ফেরত চাই।’
গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনের মধ্যে মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন চলছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে বিতর্ক-পর্ব। এই পর্বের শুরুতে ভাষণ দেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস। এরপর বক্তব্য দেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের পর পোডিয়ামে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভাষণে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
পশ্চিমা দেশগুলোর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি হামাসের জন্য ‘পুরস্কার’।
*জাতিসংঘকে অকার্যকর ঘোষণা ট্রাম্পের*
ভাষণে জাতিসংঘের কঠোর সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। দাবি করেছেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ অকার্যকর’। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের অসাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে। আমি সবসময় বলেছি - এর এত অসাধারণ, অসাধারণ সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এটি তার কাছাকাছিও পৌঁছাচ্ছে না।’
বিশ্বব্যাপী সংঘাতে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রচেষ্টায় নিজের অনন্য ভূমিকা তুলে ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি সাতটি ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। যদিও এর মধ্যে কয়েকটিতে ওয়াশিংটনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবুও বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে তিনি দাবি করেন, এ সাফল্য তার নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা প্রমাণ করে এবং একই সঙ্গে জাতিসংঘের অকার্যকারিতা স্পষ্ট করে।
ট্রাম্প বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, এসব কাজ আমাকে করতে হলো, অথচ জাতিসংঘ কিছুই করলো না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, কোনো ক্ষেত্রেই সংস্থাটি সহায়তা করার চেষ্টা পর্যন্ত করেনি।’ তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে একবার ভাঙা লিফট (এসকেলেটর) আর নষ্ট টেলিপ্রম্পটারের অভিজ্ঞতার কথাও উল্লেখ করেন।
ট্রাম্পের ভাষায়, ‘জাতিসংঘ থেকে আমি শুধু দুটো জিনিসই পেয়েছি-একটি হচ্ছে খারাপ এসকেলেটর আর আরেকটি টেলিপ্রম্পটার।’
তিনি আরও বলেন, ‘তখন এটি নিয়ে ভাবার সময় পাইনি, কারণ আমি লাখো প্রাণ বাঁচাতে আর যুদ্ধ থামাতে ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু পরে বুঝেছি, জাতিসংঘ আমাদের জন্য ছিল না।’
জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি এমনটাই হয়, তবে জাতিসংঘের উদ্দেশ্য আসলে কী? জাতিসংঘের অসাধারণ সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু সংস্থাটি এর ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেনি। এখন যা করছে তা হলো কঠোর ভাষায় চিঠি লেখা-তারপর আর কোনো পদক্ষেপই নেয় না।’