গাজা শহর থেকে অন্তত চার লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে -এএফপি
যুদ্ধ থামাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাবের তোয়াক্কা না করেই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা যেখানেই যাচ্ছে, সেখানেই বোমা হামলার শিকার হচ্ছে। গতকাল রোববার গাজা শহর ও মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক বিমান হামলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দখলদার বাহিনী ১৪০ টাগের্টে বোমা ফেলেছে। গাজা শহর থেকে অন্তত চার লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
নুসাইরাত, মাগাজি, দেইর এল-বালাহ এবং বুরেইজ এলাকার হাজার হাজার পরিবার এখন বাস্তুচ্যুত। তথাকথিত মানবিক অঞ্চল আল-মাওয়াসি এবং খান ইউনিসে আশ্রয়ের জন্য ছুটছে মানুষ। কিন্তু সেখানেও রেহাই মিলছে না। ড্রোন হামলা তাদের পিছু ছাড়ছে না। সোমবার, (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এপি ও আলজাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। গাজার বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা উপকূলীয় সড়কের ধারে তাঁবু খাটাতে বাধ্য হচ্ছে। যদিও সেখানে খাবার ও পানি নেই। এ অবস্থায় তারা নরকে বসবাসের মতো কঠিন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনী অবকাঠামো, আবাসিক বাড়ি, ভবন এবং আশপাশের এলাকা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করছে। ফলে চিকিৎসা ও উদ্ধাকারী দল ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অস্ত্রবাহী ড্রোন ফিলিস্তিনিদের পিছু ছাড়ছে না। এপি জানায়, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো গাজার আরও গভীরে আঘাত হেনেছে।
ধ্বংসস্তূপে অনেক বাসিন্দা আটকা পড়েছেন। গতকাল ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক গাজা শহরের সাবরা, তেল আল-হাওয়া, শেখ রাদওয়ান এবং আল-নাসের পাড়ায় জনবসতির কাছে স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে ড্রোন ও গোলা ছোড়া হচ্ছে। এসব এলাকায় লাখ লাখ মানুষের বসবাস। জীবন বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আরব দেশগুলোর কাছে নতুন পরিকল্পনা উত্থাপন করলেও মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে কোনো নতুন প্রস্তাব পায়নি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তবে তারা যে কোনো নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলার পর থেকে যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থগিত রয়েছে।
সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠককে সামনে রেখে গাজায় যুদ্ধ অবসানের জন্য একটি চুক্তির দাবিতে সোমবার,ও তেল আবিবে হাজার হাজার ইসরায়েলি সমাবেশ করেছে।
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নৃশংস হামলা অব্যাহত থাকায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ৬৬ হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবার, ভোর থেকে গাজায় ৪০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। অপুষ্টিতে মারা গেছে একটি শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৬৬ হাজার ৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯টি মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত বেড়ে এক লাখ ৬৮ হাজার ১৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সাহায্য পেতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ছয় ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬৬ জন আহত হয়েছেন। ত্রাণপ্রত্যাশী ফিলিস্তিনির সংখ্যা দুই হাজার ৫৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
গাজায় ক্রমাগত বোমাবর্ষণ ও বাস্তুচ্যুতির মধ্যে একজন ফিলিস্তিনি মা তাঁর অটিস্টিক ছেলের যতœ নেওয়ার চ্যালেঞ্জগুলো বর্ণনা করেছেন। আলজাজিরাকে তিনি বলেন, ‘আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছি, তিনি আমাদের জীবন যেন একসঙ্গেই নিয়ে যান। আমার ছেলে আবদুল্লাহ যাতে একা না থাকে। তিনি জানান, ‘প্রচ- গরম এবং আমরা কোথায় যাব জানি না। আবদুল্লাহ তার বেশির ভাগ সময় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জীবন কাটায়। আমি তাকে সাহায্য না করলে বেঁচে থাকা তার জন্য অসহ্য হয়ে উঠবে।’
এদিকে, গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে জিম্মিদের জীবন। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, গাজা সিটির সাবরা ও তাল আল-হাওয়া এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের ‘নৃশংস সামরিক অভিযান ও তীব্র হামলার’ পর তাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এসব যোদ্ধারা ওমরি মিরান ও মাতান আংগ্রেস্ট নামে দুই ইসরায়েলি জিম্মির দায়িত্বে ছিল। হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেড বলছে, বন্দিদের জীবন এখন গুরুতর ঝুঁকিতে এবং ইসরায়েলকে অবিলম্বে রোড-৮ এর দক্ষিণে সরে গিয়ে ২৪ ঘণ্টার জন্য সব ধরনের বিমান হামলা বন্ধ করতে হবে যেন বন্দিদের উদ্ধার করা যায়। হামাস চলতি মাসে গাজায় আটক বন্দিদের ‘শেষ ছবি’ প্রকাশ করে ইসরায়েলি সেনাদের হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল। ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজায় এখনো ৪৮ জন বন্দি রয়েছে। এর মধ্যে ২০ জন জীবিত। তবে আন্তর্জাতিক মহলের গণহত্যার অভিযোগ ও দেশটির নাগরিকদের বিক্ষোভ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ডানপন্থী সরকার যুদ্ধ থামাতে রাজি হয়নি।
হামাসের রাজনৈতিক শাখা জানিয়েছে, কাতার ও মিশরের পক্ষ থেকে কোনো নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তারা পায়নি, যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েক সপ্তাহ ধরে একাধিকবার যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। হামাস আরও দাবি করেছে, ইসরায়েল গত ৯ সেপ্টেম্বর দোহায় হামাস নেতাদের হত্যাচেষ্টার পর আলোচনা স্থগিত হয়ে গেছে। তবে তারা বলছে, জাতীয় অধিকার সংরক্ষিত থাকে এমন যে কোনো প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত।
গাজা শহর থেকে অন্তত চার লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে -এএফপি
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যুদ্ধ থামাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাবের তোয়াক্কা না করেই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা যেখানেই যাচ্ছে, সেখানেই বোমা হামলার শিকার হচ্ছে। গতকাল রোববার গাজা শহর ও মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক বিমান হামলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দখলদার বাহিনী ১৪০ টাগের্টে বোমা ফেলেছে। গাজা শহর থেকে অন্তত চার লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
নুসাইরাত, মাগাজি, দেইর এল-বালাহ এবং বুরেইজ এলাকার হাজার হাজার পরিবার এখন বাস্তুচ্যুত। তথাকথিত মানবিক অঞ্চল আল-মাওয়াসি এবং খান ইউনিসে আশ্রয়ের জন্য ছুটছে মানুষ। কিন্তু সেখানেও রেহাই মিলছে না। ড্রোন হামলা তাদের পিছু ছাড়ছে না। সোমবার, (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এপি ও আলজাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। গাজার বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা উপকূলীয় সড়কের ধারে তাঁবু খাটাতে বাধ্য হচ্ছে। যদিও সেখানে খাবার ও পানি নেই। এ অবস্থায় তারা নরকে বসবাসের মতো কঠিন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনী অবকাঠামো, আবাসিক বাড়ি, ভবন এবং আশপাশের এলাকা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করছে। ফলে চিকিৎসা ও উদ্ধাকারী দল ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অস্ত্রবাহী ড্রোন ফিলিস্তিনিদের পিছু ছাড়ছে না। এপি জানায়, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো গাজার আরও গভীরে আঘাত হেনেছে।
ধ্বংসস্তূপে অনেক বাসিন্দা আটকা পড়েছেন। গতকাল ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক গাজা শহরের সাবরা, তেল আল-হাওয়া, শেখ রাদওয়ান এবং আল-নাসের পাড়ায় জনবসতির কাছে স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে ড্রোন ও গোলা ছোড়া হচ্ছে। এসব এলাকায় লাখ লাখ মানুষের বসবাস। জীবন বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আরব দেশগুলোর কাছে নতুন পরিকল্পনা উত্থাপন করলেও মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে কোনো নতুন প্রস্তাব পায়নি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তবে তারা যে কোনো নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলার পর থেকে যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থগিত রয়েছে।
সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠককে সামনে রেখে গাজায় যুদ্ধ অবসানের জন্য একটি চুক্তির দাবিতে সোমবার,ও তেল আবিবে হাজার হাজার ইসরায়েলি সমাবেশ করেছে।
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নৃশংস হামলা অব্যাহত থাকায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ৬৬ হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবার, ভোর থেকে গাজায় ৪০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। অপুষ্টিতে মারা গেছে একটি শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৬৬ হাজার ৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯টি মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত বেড়ে এক লাখ ৬৮ হাজার ১৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সাহায্য পেতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ছয় ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬৬ জন আহত হয়েছেন। ত্রাণপ্রত্যাশী ফিলিস্তিনির সংখ্যা দুই হাজার ৫৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
গাজায় ক্রমাগত বোমাবর্ষণ ও বাস্তুচ্যুতির মধ্যে একজন ফিলিস্তিনি মা তাঁর অটিস্টিক ছেলের যতœ নেওয়ার চ্যালেঞ্জগুলো বর্ণনা করেছেন। আলজাজিরাকে তিনি বলেন, ‘আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছি, তিনি আমাদের জীবন যেন একসঙ্গেই নিয়ে যান। আমার ছেলে আবদুল্লাহ যাতে একা না থাকে। তিনি জানান, ‘প্রচ- গরম এবং আমরা কোথায় যাব জানি না। আবদুল্লাহ তার বেশির ভাগ সময় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জীবন কাটায়। আমি তাকে সাহায্য না করলে বেঁচে থাকা তার জন্য অসহ্য হয়ে উঠবে।’
এদিকে, গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে জিম্মিদের জীবন। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, গাজা সিটির সাবরা ও তাল আল-হাওয়া এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের ‘নৃশংস সামরিক অভিযান ও তীব্র হামলার’ পর তাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এসব যোদ্ধারা ওমরি মিরান ও মাতান আংগ্রেস্ট নামে দুই ইসরায়েলি জিম্মির দায়িত্বে ছিল। হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেড বলছে, বন্দিদের জীবন এখন গুরুতর ঝুঁকিতে এবং ইসরায়েলকে অবিলম্বে রোড-৮ এর দক্ষিণে সরে গিয়ে ২৪ ঘণ্টার জন্য সব ধরনের বিমান হামলা বন্ধ করতে হবে যেন বন্দিদের উদ্ধার করা যায়। হামাস চলতি মাসে গাজায় আটক বন্দিদের ‘শেষ ছবি’ প্রকাশ করে ইসরায়েলি সেনাদের হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল। ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজায় এখনো ৪৮ জন বন্দি রয়েছে। এর মধ্যে ২০ জন জীবিত। তবে আন্তর্জাতিক মহলের গণহত্যার অভিযোগ ও দেশটির নাগরিকদের বিক্ষোভ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ডানপন্থী সরকার যুদ্ধ থামাতে রাজি হয়নি।
হামাসের রাজনৈতিক শাখা জানিয়েছে, কাতার ও মিশরের পক্ষ থেকে কোনো নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তারা পায়নি, যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েক সপ্তাহ ধরে একাধিকবার যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। হামাস আরও দাবি করেছে, ইসরায়েল গত ৯ সেপ্টেম্বর দোহায় হামাস নেতাদের হত্যাচেষ্টার পর আলোচনা স্থগিত হয়ে গেছে। তবে তারা বলছে, জাতীয় অধিকার সংরক্ষিত থাকে এমন যে কোনো প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত।