জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা
প্রায় এক দশক পর আবারও জাতিসংঘের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে ইরান। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির ‘স্ন্যাপব্যাক’ ধারা সক্রিয় করার পর রোববার রাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। নতুন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে– অস্ত্র কেনাবেচা, ভ্রমণ, সম্পদ জব্দ ও ব্যাংকিং সীমাবদ্ধতা। এগুলো ইরানের দুর্বল অর্থনীতির সব খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তেহরানের খোলাবাজারে ইরানি রিয়ালের রেকর্ড পতন হচ্ছে। প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইরানি রিয়ালের বিনিময় মূল্য এখন ১৩ লাখ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দাম বাড়লেই আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আরও কমে যায়।
এর আগে গত জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনা ও সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়। এতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং কয়েক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। হামলার পর ইরান আইএইএর পরিদর্শন স্থগিত করে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইরানের কোনোদিনই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ইচ্ছা নেই। তিনি নতুন এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অন্যায়, অবিচার ও বেআইনি’ বলেছেন।
ইরান, রাশিয়া ও চীন বলছে– পশ্চিমা দেশগুলো স্ন্যাপব্যাক ধারার অপব্যবহার করেছে। কারণ হিসেবে তারা বলছে, ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন একতরফাভাবে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গিয়ে নিজস্ব নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তখনও ইরান চুক্তি মেনে চলছিল। এই ঘটনার এক বছর পর ধীরে ধীরে শর্ত ভাঙা শুরু করে ইরান।
ইউরোপীয় দেশগুলো দাবি করছে, তারা বহুবার আলোচনার চেষ্টা করেছে; কিন্তু ইরান আইএইএর পরিদর্শনে সহযোগিতা না করে ইউরেনিয়াম মজুত বাড়িয়ে গেছে। তাই তাদের হাতে আর কোনো বিকল্প ছিল না। এদিকে গভীর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ ইরানিরা। এরই মধ্যে দেশটিতে ৪০ শতাংশের ওপরে থাকা মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ইসরায়েল এই পরিস্থিতিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে আরেক দফা হামলা চালাতে পারে।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রায় এক দশক পর আবারও জাতিসংঘের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে ইরান। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির ‘স্ন্যাপব্যাক’ ধারা সক্রিয় করার পর রোববার রাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। নতুন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে– অস্ত্র কেনাবেচা, ভ্রমণ, সম্পদ জব্দ ও ব্যাংকিং সীমাবদ্ধতা। এগুলো ইরানের দুর্বল অর্থনীতির সব খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তেহরানের খোলাবাজারে ইরানি রিয়ালের রেকর্ড পতন হচ্ছে। প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইরানি রিয়ালের বিনিময় মূল্য এখন ১৩ লাখ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দাম বাড়লেই আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আরও কমে যায়।
এর আগে গত জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনা ও সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়। এতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং কয়েক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। হামলার পর ইরান আইএইএর পরিদর্শন স্থগিত করে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইরানের কোনোদিনই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ইচ্ছা নেই। তিনি নতুন এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অন্যায়, অবিচার ও বেআইনি’ বলেছেন।
ইরান, রাশিয়া ও চীন বলছে– পশ্চিমা দেশগুলো স্ন্যাপব্যাক ধারার অপব্যবহার করেছে। কারণ হিসেবে তারা বলছে, ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন একতরফাভাবে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গিয়ে নিজস্ব নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তখনও ইরান চুক্তি মেনে চলছিল। এই ঘটনার এক বছর পর ধীরে ধীরে শর্ত ভাঙা শুরু করে ইরান।
ইউরোপীয় দেশগুলো দাবি করছে, তারা বহুবার আলোচনার চেষ্টা করেছে; কিন্তু ইরান আইএইএর পরিদর্শনে সহযোগিতা না করে ইউরেনিয়াম মজুত বাড়িয়ে গেছে। তাই তাদের হাতে আর কোনো বিকল্প ছিল না। এদিকে গভীর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ ইরানিরা। এরই মধ্যে দেশটিতে ৪০ শতাংশের ওপরে থাকা মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ইসরায়েল এই পরিস্থিতিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে আরেক দফা হামলা চালাতে পারে।