alt

নতুন অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কা ইরানিদের

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রায় এক দশক পর আবারও জাতিসংঘের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে ইরান। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির ‘স্ন্যাপব্যাক’ ধারা সক্রিয় করার পর রোববার রাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। নতুন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে– অস্ত্র কেনাবেচা, ভ্রমণ, সম্পদ জব্দ ও ব্যাংকিং সীমাবদ্ধতা। এগুলো ইরানের দুর্বল অর্থনীতির সব খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তেহরানের খোলাবাজারে ইরানি রিয়ালের রেকর্ড পতন হচ্ছে। প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইরানি রিয়ালের বিনিময় মূল্য এখন ১৩ লাখ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দাম বাড়লেই আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আরও কমে যায়।

এর আগে গত জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনা ও সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়। এতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং কয়েক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। হামলার পর ইরান আইএইএর পরিদর্শন স্থগিত করে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইরানের কোনোদিনই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ইচ্ছা নেই। তিনি নতুন এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অন্যায়, অবিচার ও বেআইনি’ বলেছেন।

ইরান, রাশিয়া ও চীন বলছে– পশ্চিমা দেশগুলো স্ন্যাপব্যাক ধারার অপব্যবহার করেছে। কারণ হিসেবে তারা বলছে, ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন একতরফাভাবে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গিয়ে নিজস্ব নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তখনও ইরান চুক্তি মেনে চলছিল। এই ঘটনার এক বছর পর ধীরে ধীরে শর্ত ভাঙা শুরু করে ইরান।

ইউরোপীয় দেশগুলো দাবি করছে, তারা বহুবার আলোচনার চেষ্টা করেছে; কিন্তু ইরান আইএইএর পরিদর্শনে সহযোগিতা না করে ইউরেনিয়াম মজুত বাড়িয়ে গেছে। তাই তাদের হাতে আর কোনো বিকল্প ছিল না। এদিকে গভীর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ ইরানিরা। এরই মধ্যে দেশটিতে ৪০ শতাংশের ওপরে থাকা মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ইসরায়েল এই পরিস্থিতিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে আরেক দফা হামলা চালাতে পারে।

ছবি

গাজায় ত্রাণবাহী জাহাজ আটকে দিলো ইসরায়েল

ছবি

জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল মরক্কো

ছবি

বিশ্বের প্রথম হাফ-ট্রিলিয়নিয়ার হলেন ইলন মাস্ক

ছবি

আমরা ইন্টারনেট বন্ধ করিনি: তালেবান

ছবি

ফ্লোটিলার জাহাজ আটকের প্রতিবাদে ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ

ছবি

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় কি উভয় সংকটে নেতানিয়াহু?

ছবি

কংগ্রেসে অর্থ বিল নাকচ, সংকটে ট্রাম্প প্রশাসন

ছবি

চাকরি, ভ্রমণ ও পার্ক—শাটডাউনে যেসব সমস্যায় পড়তে পারেন মার্কিনিরা

ছবি

গাজামুখী ১৩ নৌযান আটকাল ইসরায়েল, আটক ৩৭ দেশের ২০০ অধিকারকর্মী

ছবি

ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনায় প্যালেস্টাইন প্রসঙ্গ নেই

ছবি

ফিলিপাইনে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬৯

ছবি

এবার মরক্কোতে জেন-জির ঢেউ, গণগ্রেপ্তারের পাশাপাশি সংলাপের প্রস্তাব

ছবি

আফগানিস্তানে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট, ‘শেষ আশা’ও হারাচ্ছেন নারীরা

ছবি

শাটডাউন কী? কতদিন অচল থাকতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন?

ছবি

ট্রাম্প হামাসকে সময় দিলো ৩–৪ দিন, নয়তো ‘দুঃখজনক পরিণতির’ হুঁশিয়ারি

ছবি

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ নেই: হামাস

ছবি

ফিলিপিন্সে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ৬৯

ছবি

লেবার পার্টি গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ভোট দিল

ছবি

কানাডা ভারতের বিষ্ণোই গ্যাংকে ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ ঘোষণা

ছবি

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনায় অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানা

ছবি

এবার ‘জেন–জি’ আন্দোলনে মাদাগাস্কারে সরকার ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট

ছবি

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে ভোট

ছবি

ঘাঁটি বানাতে রোহিঙ্গাদের গ্রাম ধ্বংস করে মায়ানমার সেনারা

ছবি

কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত রাখলেন লাদাখের নেতারা

ছবি

কাতারে হামলার জন্য ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন মঙ্গলবার

ছবি

মানবাধিকার কর্মীদের ঘন ঘন বাংলাদেশ সফরের আহ্বান ইউনূসের

ছবি

‘গাজায় যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ হবে’, বললেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু

ছবি

নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী অলি’র দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে গির্জায় বন্দুকধারী গুলিতে নিহত ৪, আহত ৮

ছবি

মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ কিছুর ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

ছবি

বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতুর উদ্বোধন করলো চীন

ছবি

গাজায় অবিরাম বোমা হামলার শিকার বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারাও

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে মিশিগানের গির্জায় বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৪

ছবি

‘ভিত্তিহীন’ সরকারের হাতে দেশ ছেড়ে দিয়ে পালাবেন না, জনসম্মুখে এসে ঘোষণা নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির পক্ষে বারাক ওবামা

tab

নতুন অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কা ইরানিদের

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রায় এক দশক পর আবারও জাতিসংঘের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে ইরান। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির ‘স্ন্যাপব্যাক’ ধারা সক্রিয় করার পর রোববার রাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। নতুন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে– অস্ত্র কেনাবেচা, ভ্রমণ, সম্পদ জব্দ ও ব্যাংকিং সীমাবদ্ধতা। এগুলো ইরানের দুর্বল অর্থনীতির সব খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তেহরানের খোলাবাজারে ইরানি রিয়ালের রেকর্ড পতন হচ্ছে। প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইরানি রিয়ালের বিনিময় মূল্য এখন ১৩ লাখ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দাম বাড়লেই আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আরও কমে যায়।

এর আগে গত জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনা ও সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়। এতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং কয়েক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। হামলার পর ইরান আইএইএর পরিদর্শন স্থগিত করে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইরানের কোনোদিনই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ইচ্ছা নেই। তিনি নতুন এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অন্যায়, অবিচার ও বেআইনি’ বলেছেন।

ইরান, রাশিয়া ও চীন বলছে– পশ্চিমা দেশগুলো স্ন্যাপব্যাক ধারার অপব্যবহার করেছে। কারণ হিসেবে তারা বলছে, ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন একতরফাভাবে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গিয়ে নিজস্ব নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তখনও ইরান চুক্তি মেনে চলছিল। এই ঘটনার এক বছর পর ধীরে ধীরে শর্ত ভাঙা শুরু করে ইরান।

ইউরোপীয় দেশগুলো দাবি করছে, তারা বহুবার আলোচনার চেষ্টা করেছে; কিন্তু ইরান আইএইএর পরিদর্শনে সহযোগিতা না করে ইউরেনিয়াম মজুত বাড়িয়ে গেছে। তাই তাদের হাতে আর কোনো বিকল্প ছিল না। এদিকে গভীর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ ইরানিরা। এরই মধ্যে দেশটিতে ৪০ শতাংশের ওপরে থাকা মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ইসরায়েল এই পরিস্থিতিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে আরেক দফা হামলা চালাতে পারে।

back to top