আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের ঘন ঘন বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার নিউ ইয়র্কের একটি হোটেলে রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি কেরি কেনেডির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনাদের নিয়মিত বাংলাদেশ সফর করা। প্রত্যেকবার আপনারা এলে ভুলে যাওয়া বিষয়গুলো নতুন করে আলোচনায় আসে। শেষ পর্যন্ত আপনারাই জনগণের কণ্ঠস্বর।” বৈঠকে তিনি আসন্ন নির্বাচন, সংস্কার প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার সুরক্ষায় নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়েও আলোকপাত করেন।
মুহাম্মদ ইউনূস জানান, একটি ভেঙে পড়া ব্যবস্থা পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। গুম সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তে কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে আসছে, বহু বছর ধরে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার তদন্ত চলছে।
রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য ১১টি কমিশন গঠনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংস্কার প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো এতে অংশ নিচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত সাংবিধানিক সংস্কারের খসড়া অক্টোবরের মধ্যে তৈরি হবে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ইউনূস বলেন, “আমরা চাই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হোক অবাধ ও শান্তিপূর্ণ—এমন নির্বাচন, যা বাংলাদেশে আগে কখনো হয়নি।” তিনি বিশেষভাবে নারীদের ভোটদানে উৎসাহিত করার পরিকল্পনার কথাও জানান।
তিনি সতর্ক করে বলেন, কিছু আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। বিপুল অর্থ ব্যয় করে দেশে ও বিদেশে একটি সংগঠিত শক্তি সক্রিয় রয়েছে, যা সবচেয়ে বড় ঝুঁকি।
অর্থপাচার রোধে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারের আইনি প্রক্রিয়া জটিল। আমি আশা করি, মানবাধিকার সংস্থাগুলো আওয়াজ তুলবে, যেন কোনো ব্যাংক এই অর্থ লুকিয়ে রাখতে না পারে।”
বৈঠকে অংশ নেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা তাসনিম জারা বলেন, তরুণরা কাঠামোগত সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছে, যাতে দেশ আর কখনো সংকটময় পরিস্থিতিতে না পড়ে। মানবাধিকার কর্মীরা নিরাপত্তা খাতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক জন সিফটন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে, যেন সংসদ গঠনের পরও সংস্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন—রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকার সংস্থার আইনজীবী ক্যাথরিন কুপার, সিভিকাস’র সাধারণ সম্পাদক মনদীপ তিওয়ানা, ফোর্টিফাই রাইটসের প্রধান নির্বাহী ম্যাথিউ স্মিথ, টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক সাবহানাজ রাশিদ দিয়া, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ক্যারোলিন ন্যাশ, ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং আন্তর্জাতিক পণ্ডিত মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ও সিভিকাস’র জাতিসংঘ উপদেষ্টা জেসেলিনা রানা।
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের ঘন ঘন বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার নিউ ইয়র্কের একটি হোটেলে রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি কেরি কেনেডির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনাদের নিয়মিত বাংলাদেশ সফর করা। প্রত্যেকবার আপনারা এলে ভুলে যাওয়া বিষয়গুলো নতুন করে আলোচনায় আসে। শেষ পর্যন্ত আপনারাই জনগণের কণ্ঠস্বর।” বৈঠকে তিনি আসন্ন নির্বাচন, সংস্কার প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার সুরক্ষায় নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়েও আলোকপাত করেন।
মুহাম্মদ ইউনূস জানান, একটি ভেঙে পড়া ব্যবস্থা পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। গুম সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তে কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে আসছে, বহু বছর ধরে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার তদন্ত চলছে।
রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য ১১টি কমিশন গঠনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংস্কার প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো এতে অংশ নিচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত সাংবিধানিক সংস্কারের খসড়া অক্টোবরের মধ্যে তৈরি হবে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ইউনূস বলেন, “আমরা চাই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হোক অবাধ ও শান্তিপূর্ণ—এমন নির্বাচন, যা বাংলাদেশে আগে কখনো হয়নি।” তিনি বিশেষভাবে নারীদের ভোটদানে উৎসাহিত করার পরিকল্পনার কথাও জানান।
তিনি সতর্ক করে বলেন, কিছু আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। বিপুল অর্থ ব্যয় করে দেশে ও বিদেশে একটি সংগঠিত শক্তি সক্রিয় রয়েছে, যা সবচেয়ে বড় ঝুঁকি।
অর্থপাচার রোধে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারের আইনি প্রক্রিয়া জটিল। আমি আশা করি, মানবাধিকার সংস্থাগুলো আওয়াজ তুলবে, যেন কোনো ব্যাংক এই অর্থ লুকিয়ে রাখতে না পারে।”
বৈঠকে অংশ নেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা তাসনিম জারা বলেন, তরুণরা কাঠামোগত সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছে, যাতে দেশ আর কখনো সংকটময় পরিস্থিতিতে না পড়ে। মানবাধিকার কর্মীরা নিরাপত্তা খাতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক জন সিফটন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে, যেন সংসদ গঠনের পরও সংস্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন—রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকার সংস্থার আইনজীবী ক্যাথরিন কুপার, সিভিকাস’র সাধারণ সম্পাদক মনদীপ তিওয়ানা, ফোর্টিফাই রাইটসের প্রধান নির্বাহী ম্যাথিউ স্মিথ, টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক সাবহানাজ রাশিদ দিয়া, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ক্যারোলিন ন্যাশ, ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং আন্তর্জাতিক পণ্ডিত মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ও সিভিকাস’র জাতিসংঘ উপদেষ্টা জেসেলিনা রানা।