alt

ঘাঁটি বানাতে রোহিঙ্গাদের গ্রাম ধ্বংস করে মায়ানমার সেনারা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

২০১৭ সালে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর লোকজনকে বিতাড়নের পর দেশটির সামরিক বাহিনী তাদের গ্রাম, মসজিদ, অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। সেই সঙ্গে তারা রোহিঙ্গাদের বিস্তীর্ণ জমি দখল করে নেয়। একটি সামরিক ঘাঁটি তৈরির জন্য তারা এটি করেছে। রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর ধ্বংসের কাজে তারা ব্যক্তিমালিকাধীন কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে। তারাই বুলডোজার দিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছে।

মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন নিয়ে চালানো এক স্বাধীন তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে। জাতিসংঘ সমর্থিত ইন্ডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেশন মেকানিজম ফর মায়ানমার (আইআইএমএম) এ তদন্ত চালায়। তাদের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তৎকালীন মায়ানমার কর্তৃপক্ষ পদ্ধতিগতভাবে রোহিঙ্গাদের গ্রাম, তাদের মসজিদ, কবরস্থান ও কৃষিক্ষেত্র ধ্বংস করেছে। অফিশিয়াল রেকর্ড থাকার কারণে রোহিঙ্গাদের ভূমির অধিকার সম্পর্কে তাদের আগে থেকেই ধারণা ছিল। তথাপি তারা এটি করেছে।

মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি তখন ক্ষমতায় ছিলেন। সেনা সমর্থিত তাঁর সরকার ক্ষমতায় থাকাকালেই রোহিঙ্গাদের ওপর এ গণহত্যা চালানো হয়। প্রতিবেদনের বিষয়ে মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সঙ্গে কথা বলতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। প্রত্যক্ষদর্শী, স্যাটেলাইট ছবি, ভিডিও ফুটেজ, অফিশিয়াল রেকর্ড ও নথিপত্র ঘেঁটে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

এর আগে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী বলেছে, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো অভিযানের সময় রাখাইনে তারা কোনো গণহত্যা চালায়নি। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের একদিন আগে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো। প্রতিবেদনে বলা হয়, মায়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংস হামলার মুখে হাজার হাজার মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।

বর্তমানে তাদের প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে বসবাস করছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বিস্ময়কর একটি বিষয় উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানি ও তাদের সংশ্লিষ্টরা সরাসরি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তারা পরিকল্পনা ও কর্মী দিয়ে বুলডোজার ব্যবহার করে গ্রামগুলো ও অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। মায়ানমারের তৎকালীন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের এ-সংক্রান্ত চুক্তি হয়।

রাখাইনের ইন দিন গ্রামে নতুন স্থাপনা তৈরি করতে বসতি উচ্ছেদের সময় সামরিক বাহিনী ১০ রোহিঙ্গা পুরুষকে হত্যা করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ করে ইন দিন গ্রামে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী একটি ঘাঁটি নির্মাণ করে। নতুন করে সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। সেই সঙ্গে তৈরি করা হয় দুটি হেলিকপ্টার প্যাডও। মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় অপরাধ তদন্তে ২০১৮ সালে আইআইএমএম গঠন করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল।

ছবি

গাজায় ত্রাণবাহী জাহাজ আটকে দিলো ইসরায়েল

ছবি

জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল মরক্কো

ছবি

বিশ্বের প্রথম হাফ-ট্রিলিয়নিয়ার হলেন ইলন মাস্ক

ছবি

আমরা ইন্টারনেট বন্ধ করিনি: তালেবান

ছবি

ফ্লোটিলার জাহাজ আটকের প্রতিবাদে ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ

ছবি

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় কি উভয় সংকটে নেতানিয়াহু?

ছবি

কংগ্রেসে অর্থ বিল নাকচ, সংকটে ট্রাম্প প্রশাসন

ছবি

চাকরি, ভ্রমণ ও পার্ক—শাটডাউনে যেসব সমস্যায় পড়তে পারেন মার্কিনিরা

ছবি

গাজামুখী ১৩ নৌযান আটকাল ইসরায়েল, আটক ৩৭ দেশের ২০০ অধিকারকর্মী

ছবি

ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনায় প্যালেস্টাইন প্রসঙ্গ নেই

ছবি

ফিলিপাইনে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬৯

ছবি

এবার মরক্কোতে জেন-জির ঢেউ, গণগ্রেপ্তারের পাশাপাশি সংলাপের প্রস্তাব

ছবি

আফগানিস্তানে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট, ‘শেষ আশা’ও হারাচ্ছেন নারীরা

ছবি

শাটডাউন কী? কতদিন অচল থাকতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন?

ছবি

ট্রাম্প হামাসকে সময় দিলো ৩–৪ দিন, নয়তো ‘দুঃখজনক পরিণতির’ হুঁশিয়ারি

ছবি

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ নেই: হামাস

ছবি

ফিলিপিন্সে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ৬৯

ছবি

লেবার পার্টি গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ভোট দিল

ছবি

কানাডা ভারতের বিষ্ণোই গ্যাংকে ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ ঘোষণা

ছবি

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনায় অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানা

ছবি

এবার ‘জেন–জি’ আন্দোলনে মাদাগাস্কারে সরকার ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট

ছবি

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে ভোট

ছবি

কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত রাখলেন লাদাখের নেতারা

ছবি

কাতারে হামলার জন্য ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন মঙ্গলবার

ছবি

মানবাধিকার কর্মীদের ঘন ঘন বাংলাদেশ সফরের আহ্বান ইউনূসের

ছবি

‘গাজায় যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ হবে’, বললেন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু

ছবি

নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী অলি’র দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে গির্জায় বন্দুকধারী গুলিতে নিহত ৪, আহত ৮

ছবি

মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ কিছুর ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

ছবি

বিশ্বের সর্বোচ্চ সেতুর উদ্বোধন করলো চীন

ছবি

নতুন অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কা ইরানিদের

ছবি

গাজায় অবিরাম বোমা হামলার শিকার বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারাও

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে মিশিগানের গির্জায় বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৪

ছবি

‘ভিত্তিহীন’ সরকারের হাতে দেশ ছেড়ে দিয়ে পালাবেন না, জনসম্মুখে এসে ঘোষণা নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির পক্ষে বারাক ওবামা

tab

ঘাঁটি বানাতে রোহিঙ্গাদের গ্রাম ধ্বংস করে মায়ানমার সেনারা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

২০১৭ সালে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর লোকজনকে বিতাড়নের পর দেশটির সামরিক বাহিনী তাদের গ্রাম, মসজিদ, অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। সেই সঙ্গে তারা রোহিঙ্গাদের বিস্তীর্ণ জমি দখল করে নেয়। একটি সামরিক ঘাঁটি তৈরির জন্য তারা এটি করেছে। রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর ধ্বংসের কাজে তারা ব্যক্তিমালিকাধীন কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে। তারাই বুলডোজার দিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছে।

মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন নিয়ে চালানো এক স্বাধীন তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে। জাতিসংঘ সমর্থিত ইন্ডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেশন মেকানিজম ফর মায়ানমার (আইআইএমএম) এ তদন্ত চালায়। তাদের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তৎকালীন মায়ানমার কর্তৃপক্ষ পদ্ধতিগতভাবে রোহিঙ্গাদের গ্রাম, তাদের মসজিদ, কবরস্থান ও কৃষিক্ষেত্র ধ্বংস করেছে। অফিশিয়াল রেকর্ড থাকার কারণে রোহিঙ্গাদের ভূমির অধিকার সম্পর্কে তাদের আগে থেকেই ধারণা ছিল। তথাপি তারা এটি করেছে।

মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি তখন ক্ষমতায় ছিলেন। সেনা সমর্থিত তাঁর সরকার ক্ষমতায় থাকাকালেই রোহিঙ্গাদের ওপর এ গণহত্যা চালানো হয়। প্রতিবেদনের বিষয়ে মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সঙ্গে কথা বলতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। প্রত্যক্ষদর্শী, স্যাটেলাইট ছবি, ভিডিও ফুটেজ, অফিশিয়াল রেকর্ড ও নথিপত্র ঘেঁটে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

এর আগে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী বলেছে, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো অভিযানের সময় রাখাইনে তারা কোনো গণহত্যা চালায়নি। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের একদিন আগে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো। প্রতিবেদনে বলা হয়, মায়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংস হামলার মুখে হাজার হাজার মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।

বর্তমানে তাদের প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে বসবাস করছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বিস্ময়কর একটি বিষয় উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানি ও তাদের সংশ্লিষ্টরা সরাসরি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তারা পরিকল্পনা ও কর্মী দিয়ে বুলডোজার ব্যবহার করে গ্রামগুলো ও অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। মায়ানমারের তৎকালীন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের এ-সংক্রান্ত চুক্তি হয়।

রাখাইনের ইন দিন গ্রামে নতুন স্থাপনা তৈরি করতে বসতি উচ্ছেদের সময় সামরিক বাহিনী ১০ রোহিঙ্গা পুরুষকে হত্যা করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ করে ইন দিন গ্রামে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী একটি ঘাঁটি নির্মাণ করে। নতুন করে সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। সেই সঙ্গে তৈরি করা হয় দুটি হেলিকপ্টার প্যাডও। মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় অপরাধ তদন্তে ২০১৮ সালে আইআইএমএম গঠন করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল।

back to top